দ্য হিডেন পাওয়ার : সত্যজিৎ চক্রবর্তী PDF

0

    দ্য হিডেন পাওয়ার pdf সত্যজিৎ চক্রবর্তী এর বাংলা বই।

    দ্য হিডেন পাওয়ার 

    সত্যজিৎ চক্রবর্তী এর দ্য হিডেন পাওয়ার একটি আত্মউন্নয়নমূলক মোটিভেশনাল বাংলা বই। বইটি জনপ্রিয় মোটিভেটর ও বেস্টসেলার লেখক সত্যজিৎ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় বই। এই লেখকের আরেকটি বইয়ের নাম রোড টু সাকসেস। বইটি দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত হয়েছে।

    দ্য হিডেন পাওয়ার এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এই বইটি মানুষের আশ্চর্য ক্ষমতা যা তার অজানা, তার সাথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেয়। যেকারণে পাঠক নিজের মধ্যে উদ্ভুত ক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগাতে পারে। 

    দ্য হিডেন পাওয়ার pdf বই


    দ্য হিডেন পাওয়ার pdf বইটি পাঠ করা সকল বয়সী মানুষের জন্য অত্যাবশাক। কারণ বইটি পাঠ করার মাধ্যমে শিশু কিশোর যুবা বৃদ্ধ সকলেই নিজেদের হিডেন পাওয়ার কাজে লাগিয়ে সকল কর্মকান্ড দ্বিগুণ গতিতে সম্পাদন করতে পারবে। 

    শুধু নিঃশ্বাসে নয়, বিশ্বাসেও বাঁচুন।

    শুধু নিঃশ্বাস নয়, মানুষ বিশ্বাসও নিয়ে বাঁচে। আপনার নিজের নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে কখনাে এটা আশা করবেন না, অন্য কেউ এসে প্রতিমাসে সে একাউন্টে টাকা দিয়ে যাবে। নিজের ক্যারিয়ার, ভালাে রেজাল্ট কিংবা ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্যও এটা অন্তত আশা করবেন না, অন্য কেউ এসে আপনার স্বপ্ন পূরণ করে দিয়ে যাবে।
    হোঁচট খেয়ে পড়ে থাকলে সবাই আপনাকে দেখে আফসােস করবে, দুঃখ করবে, কেউ কেউ হয়তাে মায়াকান্নাও করবে; কিন্তু হাত ধরে কেউ তুলবে না। 

    কেউ হাত ধরে আপনাকে তখনই তুলবে, যখন আপনি নিজে আগে হাত বাড়িয়ে দিবেন। অতএব, নিজের ব্যর্থতার জন্য কখনাে দারিদ্র্যকে, কখনাে সিস্টেমকে, কখনাে সরকারকে দোষ দেয়া যতক্ষণ বন্ধ না করবেন, ততক্ষন আপনি ভুল পথে সফলতার সন্ধান করে পুনরায় ব্যর্থ হবেন। আপনি ঠিক ততদূর যাবেন যতদূর আপনি হাঁটবেন। ২ মাইল হেঁটে কেউ আড়াই মাইল যেতে পারেনি। আপনিও পারবেন না। এই ধ্রুব সত্যটি মেনে নিন। দুঃখিত, কথাগুলাে কঠোর ভাষায় ছিল; কিন্তু দরকার ছিল।

    আপনি গতকাল পারেননি, আজকেও পারেননি; এর মানে এই নয় যে, আর কোনােদিন আপনি পারবেন না। আজকের এই না পারাটাকেসেঁদি আপনি জেদ ও চ্যালেঞ্জে পরিণত করতে পারেন, তবে আজ যারা পেরেছে আপনি তাদেরকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। যে ছেলেটি আত্মবিশ্বাসের অভাবে বিসিএস এ কোনােদিন আবেদনই করেনি, শুধু চেয়েছে এক ছোট খাট সেকেন্ড ক্লাস জব। আজ শুনলাম সে বিসিএস গেজেটেড অফিসারে হয়েছেন এএসপি। প্রায় সবকটি সেকেন্ড ক্লাস জবে আবেদন করেও কোথাও টিকেননি, অথচ বয়সের শেষ সীমানায় এসে ফার্স্ট ক্লাস সরকারি চাকুরি করা বন্ধুর "ভাব দেখানাে কথা"কে যেই মাত্র দাঁতে দাঁত চেপে জিদ করে বিসিএসে আবেদন করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসলেন, ঠিক তার বছরখানেক পর তার সেই জেদ আজ তাকে এএসপি বানিয়ে দিল।
    আপনি চাইছেন পুলিশের এস আই হতে কিন্তু বিধাতা চাইছেন আপনাকে এস আই পদের ও কয়েক ধাপ উপরে এএসপি পদে বসানাের জন্য, তাহলে তিনি কেন আপনাকে এস আই পদের জন্য আশীর্বাদ করবেন? 

    সেখানে তাে আপনার ফেল করাটাই সৌভাগ্যের। আপনি চাইছেন সেকেন্ড ক্লাস জব অথচ বিধাতা চাইছে আপনি ফার্স্ট ক্লাস জব করুন। আপনি চাইছেন বড় কোনাে কোম্পানীর বড় অফিসার হতে; অথচ বিধাতা নকশা করে রেখেছেন আপনাকে বড় কোনাে কোম্পানীর মালিক বানাতে। তাহলে আপনি তাে সকল চাকরিতে ব্যর্থ হওয়ার মত গৌরব অর্জন করবেনই। আজ যারা বড় বড় পদে আছেন, তারা প্রত্যেকে ছােট ছােট পদে একসময় ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রমাণ চাইলে আমার আর্টিকেলগুলাে পড়ে নিবেন।

    গতকাল পর্যন্ত যে কাজটা আপনি পারবেন না বলে মনে হয়েছিল, সে কাজটা যদি আজ শুরু করে দেন তবে আগামীকাল হয়তাে কাজটি আপনি পেরেও যেতে পারেন। আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনা আমাদের অযােগ্যতার কারণে নয়; শুধু কাজটা 'আমার দ্বারা হবেনা ভেবে শুরুই করতে পারিনা বলে। জন্মের পর তাে আপনি হাঁটতেও পারতেন না; অথচ আজ আপনি দোঁড়াতে পারেন। আপনার অসাধ্য সেটাই, যেটাকে আপনি নিজে অসাধ্য করে রেখেছেন এবং যেটা পারবেন।

    এমন এক ভিত্তিহীন বিশ্বাসে শুরু করেননি। কোনাে কাজ শুরু করে যদি আপনি সাকসেস হতে নাও পারেন, তাতেও কী কোনাে সমস্যা আছে? ব্যর্থতার জন্য কখনাে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়না; তবে চেষ্টা না করার কারণে আপনার একটা সুযােগ মিস হয়ে যেতে পারে । সফল হওয়ার মূলমন্ত্র একটাই আগে শূন্য থেকে উঠে সবার মত হব; এরপর সবাইকে ছাড়িয়ে যাব বড় কিছু অর্জন করতে হলে বড় কোনাে শ্রম দিতে হয়। পুকুর পাড়ে আরাম করে বসে বড়শি দিয়ে সর্বোচ্চ ছােট ছােট পুটি মাছ ধরা যায়, কিন্তু বােয়াল মাছ নয় । বড় বােয়াল মাছ ধরতে হলে আপনাকে অবশ্যই বড় জাল নিয়ে পানিতে নামতে হবে। 

    আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা ভুলই হতে পারে আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ। যদি সফলতা অর্জন করতে গিয়ে আপনি সর্বোচ্চ শ্রম দেয়ার পর ও ব্যর্থ হােন, তবে শ্রমের স্টাইল পরিবর্তন করুন, প্রয়ােজুনেরিকল্পনা পরিবর্তন করুন; কিন্তু ভুলেও নিজের স্বপ্ন কিংবা টার্গেটকে পরিবর্তনকরবেন না।

    চ্যাম্পিয়ান রাতারাতি হওয়া যায়না। আমার কাছে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার একটাই সূত্র- আগে শূন্য থেকে উঠে আসব, সবার মত হব; তারপর অধিক শ্রমে সবাইকে ছাড়িয়ে যাব। আজ যিনি দৌঁড়ে চ্যাম্পিয়ানু তিনি যতক্ষণ দৌঁড় অনুশীলন করেন, আপনি যদি তার চেয়ে অল্প কিছু সময় বেশি অনুশীলন করতে পারেন, তবে কালকের চ্যাম্পিয়ান আপনিই। 

    বিধাতা সবার জন্য সবকিছু নির্ধারন করে রেখেছেন। শুধু আপনার পরিশ্রমই বলে দিবে আপনার নির্ধারিত জিনিসটা আপনি কত আগে বা পরে পাবেন। যা আপনার পাওয়া হয়নি, ভাববেন বিধাতা তা আপনার জন্য রাখেননি। কিন্তু তিনি যা আপনার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, তা। আপনার হবেই। পৃথিবীর কোনাে শক্তিশালী কুস্তিগির কিংবা পালােয়ানের ও সাধ্য নেই বিধাতার নির্ধারিত জিনিসটা থেকে আপনাকে বঞ্চিত করে। বিশ্বাসটা স্রষ্টার উপর রেখে নিজেই হয়ে যান আত্মবিশ্বাসী।

    আবেগ নয়, বেগ দরকার

    আপনি কারাে সাহায্য চেয়েও পাননি- এর মানে এই নয় যে সে খুব খারাপ। বরং এর মানে হলাে, তার সাহায্য পাওয়ার মত সম্পর্ক আপনি এখনাে তৈরি করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে দেখেন আপনি যার কাছে ১০০ টাকা চেয়েও পাননি, তিনি হয়তাে অন্য কাউকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়ে বসে আছেন। কেউ আপনাকে তখনই সাহায্য করবে যখন সে আপনার দ্বারা কনভিন্সড হবে বা কোনাে না কোনােভাবে সে আপনার দ্বারা মুগ্ধ হবে। 

    ইন্টারভিউ বাের্ডেও আপনাকে নিয়ােগকর্তাদের কনভিন্সড করেই এপয়েন্টমেন্ট লেটারটি নিয়ে আসতে হয়। পথিবীতে কোনাে কাজ বিনা স্বার্থে হয় না। অযথা কাউকে দোষারােপ করবেন। । আপনাকে সাহায্য করবে- এমন চুক্তিতে পৃথিবীর কোনাে ব্যক্তির জন্ম হয়নি।

    আপনি নিজেও পথের সব ভিক্ষুককে টাকা দেন না। আপনার পকেটের টাকা সেই ভিক্ষুকের হাতেই যায়, যে কোনাে না কোনােভাবে আপনাকে কনভিন্সড করতে পেরেছে। রাস্তায় হাজারাে ময়লা পড়ে থাকলে আপনি তা সরান না, অথচ নিজের বাসার সামনে ছােট্ট একটা কাগজের টুকরা দেখলেও আপনি তা নিজ হাতে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসেন। এটাই স্বার্থ। 

    আপনার এসাইনমেন্ট আপনার যে বন্ধু করে দিয়েছে, সে কিন্তু একই কাজে অন্য আরেকজনকে রিফিউজ করেছে। এখানে স্বার্থটা কী? হয়তাে এর আগে তার কোনাে কাজে আপনি খুব প্রশংসা করেছিলেন অথবা তার আপনাকে খুব ভালাে লাগে আপনি নিজেকে তার ভালাে লাগার জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন-আপনাকে র্তার ভালাে লাগে এটাই তার স্বার্থ। Don't be emotional বিশ্বাস করুন, পৃথিবীর সব কিছুই Give vs Take নীতিতে চলে। যে ব্যক্তি বিনা কারণেই আপনাকে সাহায্য করছে, হয়তাে তিনি তার ভবিষ্যত কোনাে কাজের জন্য আপনাকে প্রয়ােজন মনে করছে বলেই সে আজ আপনাকে সাহায্য করছে।

    আপনি আপনার ঘরের ফ্যানটিকে ততদিন পর্যন্ত যত্ন করবেন, যতদিন এটি আপনাকে ভালােভাবে বাতাস দিবে। মানুষ ও আপনাকে তখনই গুরুত্ব দিবে, যখন আপনি তার জন্য গুরুত্ত্বপুর্ণ হয়ে উঠবেন। অযথা "কেউ তাে আমাকে পাত্তা দেয়না " বলে মানুষের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং নিজের মাঝে এমন কিছু করুণ সষ্টি করুন, যেন সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেয়। 

    আপনি নিজেও তাে সবাইকে পাত্তা দেননা। আপনি একজন ভিখারির চেয়ে তাকেই বেশি গুরুত্ব দেন, যার কাছ থেকে আপনি টাকা ধার নেন। জীবনটা সিম্পল। শুধু আপনি বেঁচে থাকার কারণগুলাে সৃষ্টি করুন। লােকে তখনই আপনাকে গুরুত্ব দিবে, যখন গুরুত্ব দেয়ার মত কোনাে কারণ আপনি নিজের মাঝে তৈরি করতে পারবেন।

    "আপনি একটা ভুল করুন, দেখবেন আপনাকে উপদেশ দেয়ার মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু দশটা সঠিক কাজ করার পরও দেখবেন কেউ আপনাকে অভিনন্দন জানাতে আসবে না। আপনি একবার রেজাল্ট খারাপ করুন, দেখবেন ৩ বার রেজাল্ট খারাপ করা লােকটিও আপনাকে পরামর্শ দিতে আসবে। কিন্তু খুব ভালাে রেজাল্ট করুন, দেখবেন আপনার পাশের মিষ্টি খেতেও অনেকের গলায় আটকে যাবে। 

    আপনি একবার ইন্টারভিউতে ব্যর্থ হােন, দেখবেন আপনি ব্যর্থ হওয়ার ১০১ টি কারণ বলে দিবে আপনার প্রতিবেশি হিংসুক। কিন্তু আপনি স্মার্ট বেতনের হ্যান্ডসাম জবটা একবার পেয়ে যান, দেখবেন 'ব্যর্থতার ১০১ টি কারণ আবিষ্কার করা লােকটির কয়েক রাত স্লিপিং টেবলেট ছাড়া ঘুম হবে না।

    আপনাকে সাহায্য করবে- এমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে পৃথিবীতে কেউই জন্মায়নি। তবে জন্মের পর প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী অলরেডি তৈরী হয়ে গেছে, যারা মনে প্রাণে চায় আপনার পজিশান তাদের নিচে হােক। মেনে নিন আর নাই মানুন, এটাই চরম বাস্তবতা। সবাইকে হারানাের কম্পিটিশনে নামলে আপনি নিজেই হেরে যেতে পারেন। আপনি শুধু নিজেকে টার্গেট করে নিজেকেই জয়ী করার প্ল্যান করুন, বাকিরা তাে এমনিতেই হেরে যাবে।

    কোথাও কোনাে সহযোেগী নেই, সবাই প্রতিযােগী। এই পৃথিবীতে সহযােগিতার চেয়ে প্রতিযােগিতায় হয়েছে বেশি। সুযােগকে কখনাে হাতছুর্ভিা, করবেন না। প্রয়ােজনে নিজেই সুযােগ সৃষ্টি করবেন। মনে রাখবেন -৫hance comes once. So, Care your career নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। Just Live in Belief. সব বিশ্বাস হারিয়ে গেলে যাক তবে আত্মবিশ্বাস যেন না হারায়। কারণ এই আত্মবিশ্বাসটুকুই আপনার নিজের তৈরি শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

    এখানে অসংখ্য বন্ধুর মাঝে শত্রু লুকিয়ে থাকে অথচ হাজারজন শত্রু খুঁজেও এমন কাউকে পাবেন না, যার মাঝে বন্ধু লুকিয়ে থাকে। জীবন আপনার, জীবনের ভাবনাগুলােও আপনার। পথিবীতে কাউকে দোষারােপ করে একটা সমস্যারও সমাধান করা যায়নি। কিন্তু নিজের দোষ যে খুঁজে বের করতে পেরেছে, সে অসংখ্য সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। অন্যের কাজের সমালােচক না হয়ে নিজের কাজের বিচারক হােন। দেখবেন একদিন আপনিও হয়ে যাবেন সেরাদের সেরা।

    দ্য হিডেন পাওয়ার Pdf


    Book Publisher Author  F Size
    দ্য হিডেন পাওয়ার  দাঁড়িকমা সত্যজিৎ চক্রবর্তী ৫ মেগাবাইট
    Bookshop Price Language  T Page
    Durdin Magazine Only 160 Taka Bangla 128


    আপনি ভুল করছেন বলেই সবাই আপনার দোষ ধরবে না। কেউ কেউ আপনার দোষ ধরবে শুধু আপনি কেন ভুল এত কম করেন এই হিংসায়। অনেকেই আপনাকে অযােগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করবে শুধু আপনি তার চেয়ে বেশি যােগ্য বলে। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করুন, যেন আপনার চিরশত্রু প্রকাশ্যে আপনার বিরােধীতা করলেও, মনে মনে তার ছেলেকে আপনার মত বানাতে চায়। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলুন, যেন আপনার হিংসুটে বন্ধুটি গােপনে আপনার বদনাম করলেও, লুকিয়ে সে আপনাকে ফলাে করে আপনারই মত হতে চায়।

    বিনা প্রতিশােধে কাউকে ক্ষমা করবেন না। প্রতিশােধ নিতে গিয়ে কারাে ক্ষতিও করবেন না। বােকারা অন্যের ক্ষতি করে প্রতিশােধ নেয়। আর বিচক্ষণেরা নিজেকে সেরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দেয়। এটাই সেরা প্রতিশােধ । আপনি সেরাটা। দেখিয়ে দিতে পারলে, আপনার বদনাম করা মানুষগুলাের ঘুম এমনিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি সুখে আছেন এটাই তাে বড় দুঃসংবাদ তাদের জন্য, যারা চেয়েছিল আপনি সুখে না থাকেন ।

    নিজের আইডেন্টিটি এমনভাবে তৈরি করুন যেন, যে দুঃসম্পর্কের আত্মীয়টি এতদিন দূরে দূরে থাকত, সেও আজ সু-সম্পর্ক কর্নার জন্য আপনার পেছনে পেছনে দৌঁড়ায়। যে আপনাকে আজ এভয়েড কচ্ছে, তাকে এভয়েড করতে দিন। নিজের ক্যারিয়ারকে এমনভাবে তৈরি করুন ফেন যে আপনাকে আজ এভয়েড করছে ভবিষ্যতে সে আপনার সাথে দেখা করতে চাইলে মিনিমাম দুই দিন আগে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। এটাই চ্যালেঞ্জ

    যে আজ তার অনুষ্ঠানে আপনাকে ইনভাইট করতে ভুলে গেল, তার নামটি স্মরণ রেখে নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান, যেন সেদিন আপনাকে ইনভাইট করতে ভুলে যাওয়া লােকটিই আপনাকে ভবিষ্যতে তার অনুষ্ঠানে চীফ গেস্ট করার জন্য সিরিয়াল নিতে লাইনে দাঁড়ায়।

    দ্য হিডেন পাওয়ার  pdf

    হয়তাে কোনাে একদিন কেউ কেউ আপনাকে হিংসা করবে, আপনাকে অনেকে ভালােবাসে বলে। কেউ কেউ আপনাকে পেছনে ফেলে দিতে চেষ্টা করবে, আপনি সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে। একজন মানুষ কখনাে সবার প্রিয় হতে পারেনা। একজন বিচারক একই সাথে আসামী এবং ভুক্তভােগীর প্রিয় হতে পারবেন না। আপনি ও কখনাে সবার প্রিয় হতে পারবেন না। মিষ্টি যতই সুস্বাদু হােক না কেন, ডায়াবেটিস রােগি তার বদনাম করতেই পারে। এতে মিষ্টির মিষ্টতা এতটুকু কমে। কেউ আপনার বদনাম করলেও আপনার গুণগুলাে কমে যাবে না। এই সিম্পল হিসেবটুকু যত দ্রুত বুঝতে পারবেন, আপনি তত সুখি হবেন; প্রেসারমুক্ত থাকবেন।

    Read More: আমি জানি তুমি মিথ্যা বলছো PDF

    Tags

    Post a Comment

    0Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
    Post a Comment (0)

    #buttons=(Accept !) #days=(20)

    Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
    Accept !