বেলা ফুরাবার আগে pdf বইটি বর্তমান বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মপ্রাণ তরুণ-তরুণীদের কাছে একটি জনপ্রিয় মোটিভেশনাল ইসলামি বাংলা বই। আপনি যদি বইটির পিডিএফ খুঁজে থাকেন, তবে তা পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনী শক্তির মাধ্যমে ইসলামের বিপথে যাওয়া তরুণ যুবক-যুবতী কিশোরদের ধর্মচর্চার পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। যেকারণে আমরা দেখতে পাই ইতোমধ্যে তার প্রচুর ভক্তসংখ্যা তৈরি হয়েছে। প্রতি বইমেইলায় তার বইয়ের কপি বেস্টসেলার তালিকায় থাকে। আগে যেখানে উপন্যাস কবিতা গল্প প্রবন্ধের বই সর্বোচ্চ বিক্রি হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে আরিফ আজাদ এর ইসলামি বইসমূহ। আরিফ আজাদ তার বই বেলা ফুরাবার আগে দিয়ে পাঠকদের সাথে ইসলাম ধর্মের একটা সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।
খুব মন খারাপ? হৃদয়ের অন্দরমহলে ভাঙনের জোয়ার? চারপাশের পৃথিবীটাকে বিস্বাদ আর বিরক্তিকর লাগছে? মনে হচ্ছে, আপন মানুষগুলাে দূরে সরে যাচ্ছে? হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয়জন, প্রিয়মানুষ? কিংবা অযাচিত, অন্যায্য সমালােচনায় ক্ষতবিক্ষত অন্তর? নিন্দুকের নিন্দায় হৃদয়ের গভীরে গভীর দুঃখবােধের প্লাবন? তাহলে চলুন আমরা ঘুরে আসি অন্য একটা জগত থেকে।
বলছিলাম সেই সময়কার কথা যখন পৃথিবীতে রাজত্ব করছিল সবচাইতে নিকৃষ্ট, নির্দয়, নরপিশাচ শাসক ফিরাউন। সম্ভবত, পৃথিবী আর কখনােই তার মতন দ্বিতীয় কোনাে যালিম শাসককে অবলােকন করবে না। তার অত্যাচার আর নির্যাতনের মাত্রা ছিল অতি ভয়ংকর। হবেই-বা না কেন? নিজেকে সে ‘খােদা দাবি করত। খােদার শান, মান আর মর্যাদার আসনে কল্পনা করে সে নিজেকে জগতের একচ্ছত্র অধিপতি ধরে নিত। তার এই মিথ্যে দাবির সাথে যারাই দ্বিমত করত, তাদের কপালে জুটত—মৃত্যু! সেই মৃত্যুগুলাে কোনাে সাধারণ মৃত্যু ছিল না। কাউকে আগুনে পুড়িয়ে মারত, কাউকে পানিতে চুবিয়ে মারত। যেন মৃত্যুর বাহারি আয়ােজনে ভরপুর থাকত তার সংসদ।
বেলা ফুরাবার আগে বইটি আরো জানায় ফিরাউন ধরে ধরে বনি ইসরাইলের পুত্র সন্তানদের হত্যা করত। ফিরাউন জানত, তাকে বধ করার জন্য এই বনি ইসরাইলের মধ্যেই সত্য ইলাহের একজন সত্য নবি প্রেরিত হবে। সে ভাবত, বনি ইসরাইলের ঘরে জন্ম নেওয়া সকল পুত্র সন্তানকে হত্যা করতে পারলেই তার পথের কাঁটা সাফ করে ফেলা যাবে।
বেলা ফুরাবার আগে এমন হয় যে, আমি তাে এই কাজ আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই করেছি, তাহলে নিশ্চিন্ত মনে আপনার পরবর্তী কাজে মনােযােগ দিন। এ রকম বিশুদ্ধ নিয়তের কারণে ভুল কাজটার জন্যও আপনার আমলনামায় হয়তাে সাওয়াব যােগ হয়ে গেছে।
মন খারাপের দিনগুলােতে আল্লাহর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন—কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে, সালাতের সিজদার মধ্যে। আল্লাহকে বলুন তিনি যেন আপনার অশান্ত মনটাকে প্রশান্ত করে দেন। তাঁকে অনুনয়-বিনয় করে বলুন, বুকের মধ্যে যে কালবৈশাখী ঝড় আপনার মনের উঠোনটাকে তছনছ করে দিচ্ছে, সেই কালবৈশাখী তিনি যেন থামিয়ে দেন। সেখানে যেন রহমতের বারিধারা প্লাবিত হয়। একটিবার নিজের জীবনে কুরআনকে জায়গা করে দিন। দেখবেন, জীবনের গতিপথ কীভাবে পাল্টে যায়। কুরআনের সারনির্যাসকে একবার নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেই দেখুন না।
দেখবেন আপনার জীবনটা অন্য রকম এক শীতলতায় ভরে উঠেছে। দুনিয়ার মানুষ যে অন্তর ভেঙে দেয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সেই অন্তর ভালােবাসার প্রলেপে জোড়া লাগিয়ে দেন।
আপনার মনে হচ্ছে, আপনি ব্যর্থ হয়ে গেছেন, তাই না? মনে হচ্ছে, পৃথিবীটা আপনার জন্য সংকীর্ণ হয়ে গেছে। জীবনের কোনাে মানে খুঁজে না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত আপনার তনুমন, এই তাে? কুরআন খুলুন। দেখুন আপনার রব আপনার জন্যই বলছেন—
قد أفلح المؤمون
অবশ্যই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে।
আপনি একজন মুমিন। একজন বিশ্বাসী। একজন তাকওয়াবান। আপনি তাে হতাশ হতে পারেন না। আল্লাহর দয়া থেকে, তাঁর করুণা, ভালােবাসা এবং রহমতের যে বারিধারা আপনার ওপর বর্ষিত হচ্ছে, তা থেকে আপনি কীভাবে নিরাশ হবেন? দুনিয়াবি ব্যর্থতা, অসফলতায় আপনার কী আসে যায়, বলুন? আল্লাহর ওপর যারা ভরসা করে, নির্ভর করে, তারা হতাশ হয় না। দুনিয়ার ব্যর্থতা তাদের আঘাত দেয় না। তারা বরং অপেক্ষার প্রহর গােনে মহাসাফল্যের।
বেলা ফুরাবার আগে pdf এই নিষ্ঠুর, নির্দয় যালিমের হাত থেকে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল শিশু মুসার মায়ের অন্তর। চোখের সামনে প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানের নির্মম মৃত্যুদৃশ্য অবলােকন করা দুনিয়ার কোনাে বাবা-মায়ের পক্ষেই সম্ভব নয়। কীভাবে বাঁচাবেন পুত্রকে তিনি? কীভাবে তাকে আড়াল করবেন যালিম বাহিনীর নাগপাশ থেকে? অস্থির চলা হয়ে পড়লেন তিনি। মুসার মায়ের হৃদয়ের এই ব্যাকুলতা আল্লাহর কাছে গােপন থাকল না। তিনি শিশু মুসা আলাইহিস সালামকে একটা বাক্সে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য মুসার মাকে নির্দেশ দিলেন। ব্যাপারটা কুরআনে এসেছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলছেন—
وأوحينا إلى أبي موسى أن أرضعيه فإذا خفت عليه فألقيه في اليم
আর আমি মুসার মায়ের নিকট এই মর্মে নির্দেশ পাঠালাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও। অতঃপর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে তখন
তাকে নদীতে নিক্ষেপ করবে।
চিন্তা করুন। একদিকে ফিরাউন বাহিনীর হাত থেকে সন্তানকে প্রাণে বাঁচাতে মায়ের অন্তর মরিয়া। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, শিশুটাকে যেন বাক্সবন্দি করে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে আমাদের মনে হতে পারে, এ যেন মৃত্যুর আগেই মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়া। ডাঙার বাঘের ভয়ে জলের কুমিরের সামনে সন্তানকে ঠেলে দেওয়ার মতন ব্যাপার। আমার এবং আপনার মনে যে ভাবনার উদয় হচ্ছে তা কি মুসা আলাইহিস সালামের মায়ের মনেও উদয় হয়নি?
হ্যাঁ, হয়েছে। তবে, তার মনের সেই ভীতি, সেই ভয়, সেই সন্দেহ তখনই দূর হয়ে গেল, যখন তিনি আল্লাহর কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে পেলেন। সুমহান আল্লাহ বললেন—
ولا تخافي ولا تحزني إليا ردوه إليك وجاعلوه من المرسلين
আর একদম ভয় করবে না এবং চিন্তাও করবে না। নিশ্চয়ই আমি তােমার সন্তানকে তােমার নিকট ফিরিয়ে দেবাে এবং তাকে রাসুলদের অন্তর্ভুক্ত করব।
মন খারাপের দিনে ওই জায়গায় আমি কিংবা আপনি হলে যে ভয় এবং যে ভীতি আমাদের অন্তরকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরত, একই ভয় মুসা আলাইহিস সালামের মায়ের মনেও জেঁকে বসেছিল। তবে তিনি হতােদ্যম হয়ে যাননি। আশা ছেড়ে দেননি। তিনি চোখমুখ বন্ধ করে এমন এক সত্তার ওপর ভরসা করেছিলেন যার দেওয়া আশা কখনাে মিথ্যে হয় না। যিনি কখনােই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। এরপর ফলাফল কী হলাে তা আমরা সকলেই জানি।
মুসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা রক্ষা করেছিলেন। কেবল রক্ষাই করেননি, যে শত্রু হন্যে হয়ে তাকে হত্যা করার জন্য ওঁৎ পেতে বসে ছিল, সেই শত্রুর অন্দরমহলেই শিশু মুসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা বড় করে তুলেছিলেন। এই পরিকল্পনা কার? কে এমন নিখুঁত পরিকল্পনা করার ক্ষমতা রাখেন? তিনি সুমহান আল্লাহ।
ومگژوأ مگر الله والله خير الماكرين
তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহ কৌশল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।
আমরা ইয়াকুব আলাইহিস সালামের ঘটনাও স্মরণ করতে পারি। শিশু ইউসুফ ছিলেন পিতা ইয়াকুব আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান। ইউসুফের প্রতি নিতে পারেনি তার অন্য সহােদরেরা। হিংসার বশবর্তী হয়ে, খেলার নাম করে তারা ছােট্ট ইউসুফকে ফেলে দেয় এক অন্ধকার কূপের মধ্যে।
পিতা ইয়াকুব আলাইহিস সালামের কাছে এসে তারা খুব সুন্দর কাহিনি ফেঁদে বসল। বলল, “বাবা, খেলার মাঠ থেকে ইউসুফকে বাঘ খেয়ে ফেলেছে!’ ইয়াকুব আলাইহিস সালাম জানতেন যে, তার ছেলেরা তার কাছে এসে মিথ্যে কথা বলছে। তিনি এটাও জানতেন যে, তারা নিশ্চিত ইউসুফের কোনাে ক্ষতি করে বসেছে। এতৎসত্ত্বেও তিনি কোনাে প্রতিশােধ গ্রহণ করলেন না। প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানকে হারানাের বেদনায় মাথা চাপড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন না। এমনকি ছেলেদের তিনি কোনাে কটু কথা, কোনাে হুমকি-ধমকি পর্যন্তও দিলেন না।
আমার এত দুঃখ কেন? by বেলা ফুরাবার আগে pdf
মাঝে মাঝে ভীষণ কষ্ট লাগে। বুকের ভেতরে বাসা বাঁধে দুঃখের কালাে মেঘ। অবিরাম বৃষ্টিরধারার মতাে বিষন্নতা এসে আছড়ে পড়ে মনের উঠোনে। আকাশছোঁয়া হিমালয় যেন তার সমস্ত ঐশ্বর্য নিয়ে ভেঙে পড়তে চায় বুকের ওপর। জগৎসংসার তখন বিষাক্ত লাগে।
মাঝে মাঝে প্রচণ্ড দুঃখবােধে ভেঙে পড়ি আমরা। হয়তাে হঠাৎ করে হারিয়ে বসি কোনাে প্রিয় মানুষকে। খুব আশা করে থাকি এবারের পৌষের শীতে মায়ের হাতে বানানাে ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা খাব বলে। কিন্তু পৌষ আসার আগেই মা হয়তাে দুনিয়ার পাঠ চুকিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন। অথবা, আস্তে আস্তে করে জমানাে টাকা, যে টাকা দিয়ে বাবাকে ঈদে উপহার দিয়ে চমকে দেবাে ভেবেছিলাম, ঈদ আসার আগেই হয়তাে বাবা চলে গেছেন রবের সাক্ষাতে।
এমনও হতে পারে, ভালাে বেতনের কোনাে চাকরি হঠাৎ করেই চলে গেল। অথবা, আমার এক বন্ধু আমার সমান যােগ্যতা নিয়ে জীবনে সাঁই সাঁই করে উন্নতি করছে, কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না। আমার বন্ধু আমার সমান খাটা-খাটুনি করে খুব ভালাে রেজাল্ট করছে, কিন্তু আমি পারছি না।
পারিবারিক অথবা দাম্পত্য জীবনটাও খুব একটা ভালাে যাচ্ছে না। ব্যবসায় লােকসান হচ্ছে। খেতে নষ্ট হচ্ছে ফসল। উর্বরতা হারাচ্ছে আবাদি জমি। মরে যাচ্ছে গবাদি পশু বন্যায় ভেসে গেছে একমাত্র আশ্রয়। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিলে তিলে জমানাে সম্পদ। মাথার ওপর বেড়েই চলেছে ঋণের বােঝা। আবার, এমনও হতে পারে, কাছের মানুষগুলাে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিও আজ আর ফিরে তাকাচ্ছে না। বাড়ছে দূরত্ব। ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্কের বন্ধন।
এমন নানান রকম জীবন সমস্যার মুখােমুখি কমবেশি আমরা সকলেই হয়ে থাকি। আমরা ভেঙে পড়ি। ভেতরে ভেতরে গুঁড়িয়ে যাই। আশাহত হই। বিষন্নতার বিষবাষ্পে ছেয়ে যায় আমাদের হৃদয়কোণ। কিন্তু আমাদের সাথে কেন এমনটা হয়?
আমরা সকলেই পরীক্ষা’ শব্দটির সাথে পরিচিত। স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিগুলােতে আমরা পরীক্ষা দিই। পরীক্ষায় পাশের জন্য আমরা দিনরাত পড়াশুনা করি। নােট করি। নিয়মিত ক্লাস করি। দুনিয়ার জীবনটাও আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য ঠিক সে রকম একটা পরীক্ষা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্যই। আমরা তাঁর অনুগত বান্দা কি না তা যাচাইয়ের জন্য। নাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা অবশ্যই এই যাচাই-বাছাইয়ের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল নন। তিনি আলিমুল গায়েব। ভূত-ভবিষ্যৎ সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি জানেন আমাদের মধ্যে কে কে তাঁর অনুগত আর কে কে তাঁর অবাধ্য। চাইলেই তিনি আমাদের দুনিয়াতে না পাঠিয়ে সরাসরি আমাদের রূহ তথা আত্মাগুলােকে হয় জান্নাতে আর না হয় জাহান্নামে | দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি এমনটি করেননি। কারণ, তিনি আমাদের কোনাে প্রশ্ন করার সুযােগ দিতে চাননি। কী রকম প্রশ্ন? কিয়ামতের মাঠে যাতে আমরা অভিযােগ করে বলতে না পারি, আপনি আমাদের তাে পরীক্ষাই করেননি। পরীক্ষা ছাড়াই আমাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। অথচ আমার পরীক্ষা নিলে আজকে আমি জাহান্নামের বদলে জান্নাতে থাকতে পারতাম!'
দুনিয়াকে আল্লাহ তাআলা বানিয়েছেন বিশাল একটা পরীক্ষাকেন্দ্র। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে বলছেন—
ولنبلونكم بشيء من الخوف والجوع ونقص من الأموال والأنفي والممرات وتير الصابرين
আমি অবশ্যই তােমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তােমাদের) জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।