হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf | Hotash Hoben Na | ডেল কার্নেগী

0

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf, তবু মানুষ হতাশ হয় কেন? আমাদের সাধারণ ধারণাটা হচ্ছে, মানুষ যখন বিশেষ একটা আশা নিয়ে কাজ করে এবং বিফলতার মধ্য দিয়ে তার সেই আশা ভঙ্গ হয়, তখনই মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। আসলে কি কথাটা ঠিক? বিকলতা, মানুষকে অকেজো করে ফেলে ঠিকই, কিন্তু জীবনে যারা জয়ী হয়েছেন, তারাতাে কম বেশি সবাই এই বিফলতার উপর পা ফেলেই সামনের সৌভাগ্যের প্রাসাদের সিড়ি খুঁজে পেয়েছেন। তাহলে যখন মানুষ হতাশ হয়?

    কাজের মধ্যে একের পর এক বাধা সৃষ্টি হলে? না তাও নয়। মিল্টন তাে বলেই গেছেন, উচ্ছল, বেগবান নদীকে বয়ে চলতে চলতে কতাে বাধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে যেতে হয়, জীবনে এমনটি আসবে। তাতে বিচিত্র কি? অল্প বাধা বরং মানুষের কর্মশক্তিকে পূর্ণভাবে নাচিয়ে তােলে। মানুষের হতাশ হবার কারণ নেই pdf সম্পর্কে পরে আপনি নিজেই সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। 

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই by ডেল কার্নেগী pdf

    তার আগে একটি কথা, শ্ৰেণীগতভাবে যারা হতাশার শিকার হতে থাকে তাদের মাঝে নিদারুণভাবে যে গুণটির অভাব পরিলক্ষিত হয়, সেটি হচ্ছে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান কোনাে ব্যক্তিকে ব্যক্তি সমস্ত পরাজয়, বাধা, বিপত্তি ও বিফলতাকে সাদর আমন্ত্রণ জানায়। তাকে এড়িয়ে যায় না। কারণ সে জানে, নিজের কর্মক্ষমতা ও চরিত্রকে মজবুত করে গড়ে তােলার জন্য এগুলাে হচ্ছে প্রয়ােজনীয় লােহার কড়ি-বর্গ। বিপদকে তারা জীবনের কঠোর শিক্ষাদাতা হিসেবে গ্রহণ করে। হয়তাে তারা রিচার্ড বাক্সটরের মতাে মনে করে—, 

    “বিপদ ভয়কে ডেকে আনে ঠিকই কিন্তু ভয়ই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপদকে ডেকে আনে।”

     

    হতাশ হবার ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ 

    • (ক) নিজের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে অগাধ বিশ্বাসের অভাবে তথা আত্মবিশ্বাসের অভাবে। 
    • (খ) অপরিসীম ধৈর্য্যের অভাবে। 
    • (গ) কর্ম সম্পাদন কৌশলকে আবিষ্কার করতে না পারলে অথবা অন্যের আবিষ্কৃত কৌশলে চলতে গিয়ে সেটা আয়ত্বে না আনতে পারলে। 
    এবার নিজেই বুঝতে পারবেন, মানুষ কখন হতাশ হয়? মানুষের হতাশ হবার কি কোন কারণ আছে? 
    উত্তর কোন কারণ নেই।

    হতাশ হবেন না pdf

    পৃথিবীতে যতােটা সমস্যা রয়েছে তার চেয়ে
    বেশি রয়েছে সমাধানের পথ। যারা এই পৃথিবীতে ব্যর্থ ও পরাজিত, তাদের জন্য একটি পরােক্ষ সুসংবাদ দিয়েছেন বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন। 
    জনাব ফ্রাঙ্কলিন বলেন, “সফলতা অনেক সময় মানুষের জীবনে পতনকে ডেকে আনে। সফল ও সার্থক লােকদের সামনে সাধারণত যা অপেক্ষা করে, সেটা হচ্ছে স্থবিরতা ও নতুন করে আশা ভঙ্গের সম্ভাবনা। 
    অথচ ব্যর্থ, অস্বার্থক ও হতাশাগ্রস্তরা যদি বারংবার বিফলতার পর পুনরায় পদক্ষেপ নেয় তবে তারা স্বার্থকতার স্বর্ণসিড়ি খুঁজে পাবে ও পেয়ে থাকে।

    আবার বিজ্ঞানী জোসেফ এডিসন হতাশা গ্রস্তদের জন্য একটা জবরদস্থ মজার কথা শুনিয়েছেন। এডিসন নিজেই বহুবার ব্যর্থতার শিকার হয়েছেন। এমনভাবে ব্যর্থ খুব কম লােককেই হতে দেখা যায়। অথচ এডিসন থেমে যাননি বা হতাশার শিকার হননি। এভাবে ভেঙে পড়লে, কালের ইতিহাসের পাতা অমর বিজ্ঞানী এই জোসেফের নাম বহু আগেই তার বুক থেকে মুছে ফেলত। 
    এডিসন বলেছেন “কোন মানুষেরই হতাশ হবার কারণ নেই যদি সে জীবনের ক্ষেত্রে ৪টি বিষয়ে মনােযােগী হয়।"
    কি সেই ৪টি বিষয়? যেটাকে জীবনে গ্রহণ করে এডিসন বিজয়ের মালা পেয়েছেন এবং হতাশাগ্রস্তদের জন্য উপদেশ দিয়েছেন?
    • (১) অধ্যবসায়কে বানাও তােমার অন্তরঙ্গ সুহৃদ। (২) অভিজ্ঞতাকে কর তােমার বিজ্ঞ মন্ত্রণাদাতা।
    • (৩) সতর্কতাকে বানাও তােমার অগ্রজ। 
    • (৪) আশাকে বানাও তােমার তত্ত্বাবধায়ক প্রতিভা।
    এই চারটি বিষয়কে যিনি নিজের জীবনে আঁকড়ে ধরতে পারেন। ব্যর্থতা তাঁকে দেখে পালাবে, হতাশা তার ধারে কাছেও ঘেষতে পারবে না ।
    আত্মবিশ্বাসী মানুষই হচ্ছে, সফল মানুষদের প্রাথমিক চেহারার মানুষ।


    অথবা, বলা চলে, আত্মবিশ্বাস হচ্ছে সাফল্যের প্রথম গুঢ়তত্ত্ব। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন, নিজের কর্মক্ষমতাকে প্রকৃতই বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি খুঁজে পাবেন। অনেক জীবনকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, আপনার এই সমস্যাটি পৃথিবীতে নতুন নয়; এর চেয়ে জটিলতার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েও অনেকেই এই সমসার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। তাদের কৌশলটি আপনার জীবনেও কাজে লাগাতে পারেন।

    হােমারের কথা আজকাল সবাই মানে না। হােমার বলেছেন, মানুষের কাজ হচ্ছে লড়াই করে যাওয়া, কিন্তু সাফল্য দান করা ঈশ্বরের হাতে। একদল মানুষ তার কথার প্রথমটুকু গ্রহণ করেছে অর্থাৎ তারা মনে করে মানুষের কাজ হচ্ছে লড়াই করে যাওয়া এবং সঠিকভাবে লড়াই করলে যে যুদ্ধে জয়ী হবেই, ঈশ্বর এদের বঞ্চিত করেন না। 

    বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন এই দলের লােক। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন—, 
    “মানুষ যদি ন্যায় সঙ্গত আশা করে, তদানুযায়ী কর্ম করলে সমস্যা সমাধান অবশ্যই করতে পারবে।”
    তাঁর জীবনের 'বায়ােগ্রাফী অব লাইফ' 'হতাশ হবেন না' এবং হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf একটি স্বরণীয় ও অনুস্বরণীয় গ্রন্থ। যেখনে তিনি দুঃখী, গরীব, স্বাস্থ্যহীনদের জন্য প্রচুর সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। আমি সংক্ষেপে তার কথাটা তুলে ধরছি। 
    • (১) তােমার কাজে অধ্যয়নশীল হও, তুমি বিশেষজ্ঞ হবে। 
    • (২) পরিশ্রমী ও মিতব্যয়ী হও, তুমি ধনবান হবে। 
    • (৩) সংযমী ও মিতচারী হও, তুমি সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
    • (৪) সাধারণ ভাবে সুনীতি সম্পন্ন হও, তুমি সুখী হবে।
    এ ধরনের কাজ দ্বারা কি মানুষ সহজ অভিষ্ট লাভ করতে পারবে? হ্যা অন্ততঃ এই ধরনের আচরণে উক্ত ধরনের ফললাভের প্রকৃষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
    বেশির ভাগ মানুষ, আসলে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে, নিজেকে এক রকমের জড়পদার্থের রুপান্তরিত করে ফেলে। এই ধরনের লােকেরা খুব সহজেই উদ্যমহীন, কর্মহীন হয়ে পড়ে। 

    চেতনা বা বােধশক্তি এদের লােপ পেতে থাকে। কীভাবে জীবন পথে এগুতে হবে এটা বুঝতে না পেরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে পরন্ত হতাশার শিকার হয়। আমার বয়ােপ্রাপ্তদের শিক্ষাকেন্দ্রে আমি এই ধরনের লােককেই বেশি সংখ্যায় দেখেছি। এরা মানুসিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না।

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf by ডেল কার্নেগী

    জীবন জুড়েই সমস্যা রয়েছে, এটি একটি বহুপ্রাচীন সত্য কথা । সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই অগনন। এই ধরনের একটা কথা ভাবতে ভাবতে, আমি এক সময় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকায়, একটা সাহায্যার্থে স্বেচ্ছাসেবক সংঘের সঙ্গে দুর্গত এলাকায় যাচ্ছিলাম।

    দুর্গত এলাকাটা ছিলাে নিকটো নামক একটা পাহাড়িয়া পাদদেশের অঞ্চল। যানবাহনের অসুবিধার জন্য আমাদের দ্রুত যান। হিসেবে হেলিকপ্টার চড়ে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে যেতে হয়েছিলাে। প্রথমতঃ আমরা এলাকাটা উপর থেকে অনুমান করতে পারিনি। তার কারণ, উপর থেকে পাইন ও ফারগাছগুলােকে এমনই লাগছিল যে, মনে হচ্ছিল ঐ এলাকায় শুধুমাত্র জঙ্গল রয়েছে। পরে নিচে নেমে দেখতে পেলাম, স্থানটি খুবই খােলামেলা এবং ফাঁকা স্থান। 

    কিছু কিছু পাইন ফার গাছ এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বটে, তবে এটাকে তেমন জঙ্গল এলাকা মনে হচ্ছে না, যেমনটি উপর থেকে মনে হয়েছিলাে। সেই কথাটা আজ এই অধ্যায় লিখবার সময় আমার মনে আসছে। 

    একই স্থানকে উপর থেকে জঙ্গল মনে হলাে এবং সেই একই স্থানকে নিচে থেকে ফাকা খােলামেলা। স্থান মনে হলাে। এটা কেন? একেকটা জিনিসকে একেকভাবে একেক রকমের দেখা যায়। সমস্যাও ঠিক তাই। কেউ যদি এটাকে বাড়িয়ে দেখে তবে সমস্যার চেহারা তার কাছে বড়ই মনে হবে এবং কেউ যদি এটাকে কমিয়ে দেখে তবে তার কাছে এটাকে কমই মনে হবে। 

    আমি আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দু’জন লােকের ভর্তি সাক্ষাৎ নিয়েছিলাম। একজনের নাম জোসেফিন এমারসান এবং অন্যজনের নাম সাইসিয়ারাস । আমি উভয়কেই তাদের সমস্যা কি এ বিষয়ে প্রশ্ন করি এবং যে যার সমস্যার জবাব দেয়। জবাব দুটি খুবই মজার এবং প্রাসঙ্গিক বলে এখানে তুলে দিচ্ছি। 

    এমারসান তার সমস্যা সম্পর্কে বললাে ও তার প্রতিদিন সংসারে ঝগড়া করতে হয় তার কারণ তার রুগ্না স্ত্রী ডেলিফিনের জন্য বড়দিনে সে একটা উপযুক্ত দামী গাউন কিনে দিতে পারেনি। প্রতিদিন স্ত্রী এই নিয়ে খচ খচ করে। সে বাচ্চাদের মনের মতাে স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারেনি। এবং বাচ্চারা পড়শীদের ছেলেমেয়েদের মতাে ডিনার এবং লাঞ্চে স্কইচিক খাবার খেতে পারছে না বলে তার প্রতি প্রায়ই মারমুখাে হয়ে উঠে ইত্যাদি ইত্যাদি। 

    মােটমাট এমারসনের সমস্যা সে প্রায় সাত মিনিটকাল একাধারে বয়ান করেছে। অথচ ঠিক একই ধরনের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি সাইসিয়ারাস তার সমস্যাকে কীভাবে ব্যক্ত করেছে দেখুন। সে আমাকে বললাে একটি মাত্র কথা, সমস্যাটি অর্থনৈতিক। আমার নিজের ও সংসারের জন্য আরাে অর্থ প্রয়ােজন।


    Hotash Hoben Na Pdf

    সাসিয়ারাস, এমারসনের কথাই বলেছে। তবে গাছের শাখাপ্রশাখা, পত্র-মঞ্জরীর ব্যাখ্যা না দিয়ে মূল বিষয় বা কান্ডের বর্ননা দিয়েছে।

    আমাদের মাঝে উপরােক্ত দু'ধরনের লােকই রয়েছেন। একই দল সমস্ত সমস্যাকে বিস্তৃত করে দেখেন। অন্যদল সমস্ত সমস্যার মূলটি লক্ষ্য করে সংক্ষিপ্তভাবে তাকে চিন্তা করেন। আমাদেরকে সাইসিয়ারােসর মতাে সমস্ত সমস্যাকে ছােট করে তার মূল বিষয়ে আসতে হবে। মূলতঃ মানুষের সমস্যা খুব বেশি নয়। 

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই by ডেল কার্নেগী

    আজকাল দরিদ্র দেশগুলি সমস্যায় জর্জরিত একথা না বলে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, তাদের সমস্যার সংখ্যা মাত্র চার বা পাঁচটি।

    • (১) তারা পরিমিত খাদ্য চায়। 
    • (২) প্রয়ােজনীয় বস্ত্র চায়। 
    • (৩) থাকবার উপযুক্ত বাসস্থান চায়। 
    • (৪) শিক্ষা বা চিকিৎসার সুবন্দবস্ত চায়।

    মানুষের জীবনকেও সমস্যাপূর্ণ করে দেখার কোন মানে হয় না। এত মানুষ অনায়াসে বিভ্রান্ত ও পর্যদস্ত হয়ে পড়বে। আমার কি নেই, কিসের কিসের অভাব এগুলাে বের করে নিজেরা নাজেহাল ও ক্লান্ত হয়ে পড়বে।


    হতাশ হবার কোন কারণ নেই by ডেল কার্নেগী pdf

    পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্যই মােট ১০টার বেশি সমস্যা নেই। মাত্র ১০টা? বলেন কি? এরকম মনে হতে পারে । তবুও আমার ফরিস্তিটা পড়ে দেখুন আপনার সমস্যা এর বাইরে যায় কি না? সমস্যাগুলাে হচ্ছে? 

    • (১) অর্থনৈতিক সমস্যা। 
    • (২) সামাজিক সমস্যা। 
    • (৩) রাষ্ট্রীয় সমস্যা। 
    • (৪) পারলৌকিক সমস্যা। 
    • (৫) পারিবারিক সমস্যা। 
    • (৬) দুর্ভাগ্যজনিত সমস্যা। 
    • (৭) জন্মগত সমস্যা। 
    • (৮) ভুল করা, বিভ্রান্ত হওয়া জনিত সমস্যা। 
    • (৯) মানুষিক সমস্যা। 
    • (১০) যৌন সমস্যা।

    আপনার যে কোন সমস্যাকে এই দশটি সমস্যার আওতাভুক্ত করা কি সম্ভ নয়? সাদা একটা কাগজ নিয়ে ধীর, স্থির চিত্তে আপনার যাবতীয় সমস্যার কথা লিখে ফেলুন । তারপর উপরের শ্রেণী বিভাগে তাকে ফেলুন, গুনে দেখুন আপনার সমস্যা মােট ক’টি। এর বাইরে আর সমস্যা নিয়ে টানাটানি করবেন না।

    (১) অর্থনৈতিক সমস্যা মানুষের পার্থিব ও বাহ্যিক জগতের একটি মুল সমস্যা। অর্থের অসমবন্টন তথা প্রাচীন যুগের সম্পদের হেরফের সর্দারী আদিম যুগ থেকে মানুষের জন্য অমঙ্গল জনিত ফলাফল দিয়ে এসেছে। 

    পৃথিবীর মােট অর্থ এবং মানুষ সংখ্যা পরিসংখ্যান বিভিন্ন বক্তারা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। ধর্মীয় প্রথায় এ বিষয়ে সদাচার সম্ভব হলেও ধর্মীয় শক্তিকে কাজে লাগাতে গেলে রাষ্ট্রগত বিরােধ ও শ্রেণীগত সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়বে।

    আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা মােটামুটি ভাবে আশান্বিত। তাদের মতে পুঞ্জিভূত পাহাড় তুল্য অর্থ একক হাতে যেভাবে কুক্ষিগত হয়ে আছে তার সমবন্টন হলে বিশ্বের দারিদ্রতা মােটামুটি ঘুচে যেতে পারে। 

    অনেকে বলেছেন, এ সমস্যাটিকে বিশ্ব সমস্যা হিসেবে ধরাটা বেজায় ভুল হবে এবং অর্থকে এভাবে বন্টন করলে দেখা যাবে অর্থ আবার অর্থপতিদের হাতে চলে যাবে এবং হৃত অর্থবানরাই পুনরায় একইভাবে ধনী হয়ে উঠবে।'

    তার কারণ হিসেবে তারা বলেন, “এ জগতে যারা অর্থনৈতিকভাবে। চরম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন, তাদের বেশির ভাগই জন্মেছেন সাধারণভাবে আর দশজনের মতাে এবং আর দশ জনেরই সঙ্গেই তারা বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু কালক্রমে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠার দ্বারা তারা যে সাধারণের উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ মাল মসলার সাহায্যেই। 

    অর্থশালী হওয়াটা যতােটা না ভাগ্যের ব্যাপার তার চেয়ে বেশি একটা অনুশীলনী ও কৌশলগত ব্যাপার। যার জন্য অর্থের সমবন্টন হলেও মেধা ও কৌশলের অসমবন্টনের জন্য পুনরায় অর্থকৌশলী অর্থ অর্জনের মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিদের হাতেই পুনরায় এই অর্থ পুঞ্জিভূত হবে।”

    এর কারণ হিসেবে তারা বিশ্বের বহুঘটনার উল্লেখ করেছেন। অর্থলাভ করা যে একটি কৌশলগত দিক এতে আর সন্দেহ কি? অর্থলাভের কৌশলগত দিক নিয়ে আমরা অবশ্যই বিষদ আলােচনা করবাে। এ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনায় ফল লাভের সম্ভাবনা কম। প্লেটো বলেন, অর্থগ্রহীতা থেকে দূরে থাক তাহলেই তােমার জীবনে অর্থের প্রাচুর্য আসবে।”

    (2) সামাজিক সমস্যার মূল বিষয়টি হচ্ছে, নিজের সঠিক মান মর্যাদা সমাজ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাওয়া। আমরা জনপ্রিয় ও সম্মানীয় হতে চাই। সমাজে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই এবং সমাজ থেকে আমাদের প্রতি নিশ্চিত প্রাপ্যও আমরা কড়ায় গণ্ডায় পেতে চাই।

    সমাজ থেকে আমাদের বড় প্রাপ্য হচ্ছে, সবার সহানুভূতিশীল আচরণ অথচ তার চেয়েও বেশি করে আমরা যেটা পেতে চাই সেটা হচ্ছে খ্যাতি। 

    অথচ রবার্ট সুম্যান বলেছেন—, 'পৃথিবীতে দুটো কাজ খুব শক্ত। একটা হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা এবং অপরটি হচ্ছে সেটাকে আগাগাড়াে ধরে রাখা।'

    নিজের সুনামের জন্য সমাজ থেকে নিজের নাম যশকে আদায় করতে আমরা বহু রকমের ত্যাগ স্বীকার করে থাকি। একজন জননেতা তার জীবনে যতাে বার কারাবরণ করেন, গুলীর মুখোমুখী হন ও ঝড় ঝঞ্চার মােকাবিলা করেন সেটা একমাত্র অর্থের জন্য নয় কিংবা স্রেফ জন হিতার্থে নয়-এর পেছনে আরাে একটি বিষয় গােপনে কাজ করে থকে এবং সেটি হচ্ছে অন্যের কাছ থেকে নিজের নাম যশের স্বাধীকার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। 

    অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে এটাকে কিনতে হয়। কখনাে কখনাে নাম যশের সঙ্গে মানুষ গােপন প্রভুত্বের বাসনাকে চেপে রাখতে পারে না। আর তখন সে মানুষের উপর ক্ষমতা নিয়ে খেলতে চায়। এটা নেশার মতাে তাকে পেয়ে বসে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমরা একে বলে থাকি একনায়কতন্ত্র, সামাজিক পর্যায়ে বলে থাকি তালুকদারী এবং তারও নিমপর্যায়ের সুবিধা বিহীন এবং কিছুটা স্বার্থউদাসীন ব্যক্তিকে বলে থাকি কাপ্তান।

    জর্জ ওয়াশিংটন সম্ভাবে জনপ্রিয়তার জন্য একটি উপদেশ দিয়েছিলেন, সেটি হচ্ছে—,

    কেউ যদি জনপ্রিয় হতে চান তবে তাকে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হচ্ছে নিজের সুনামের উচ্চ মূল্যায়নের জন্য যাবতীয় জনকল্যাণকামী কাজ করা এবং সদগুণান্বিত ব্যক্তিগণের সঙ্গে মেশা।

    বস্তুতঃ মন্দ সহচর্যের থেকে একাকীত্ব অনেক শ্ৰেয়। সমাজের হােতারা যখন আপনার যথার্থ যােগ্যতা ও পাওনার প্রতি অবহেলা করে, তখন কি করণীয় সেটা আমরা সামাজিক সমস্যা বিভাগে বিষদ আলােচনা করবাে।

    (৩) রাষ্ট্রীয় সমস্যা অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ক। সার্বজনীন শিক্ষা, অবৈতনিক বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, চিকিৎসার পূর্ণ ও সরকারী সুযােগ, হতাশ হবার কোন কারণ নেই পিডিএফ পড়তে নিচের Veiw Now শব্দে ক্লিক করুন।

    হতাশ হবার কোন কারণ নেই পিডিএফ 



    Book Publisher Author  F Size
    হতাশ হবার কোন কারণ নেই নাঈম বুকস ডেল কার্ণেগী ৫ মেগাবাইট
    Bookshop Price Language  T Page
    Durdin Magazine Only 80 Taka Bangla 12

    মানবজীবনে দুঃখ-কষ্ট-বেদনা, ব্যর্থতা আসবেই, তাই বলে হতাশ হবার কোন কারণ নেই। পরিশ্রম, ধৈর্য্য নিয়ে বেঁচে থাকুন, সফল একদিন হবেনই। তাই কখনো হতাশ হবেন না।

    Read More: ঠিক বেঠিক মার্কেটিং PDF

    Tags

    Post a Comment

    0Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
    Post a Comment (0)

    #buttons=(Accept !) #days=(20)

    Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
    Accept !