হতাশ হবার কোন কারণ নেই pdf
“বিপদ ভয়কে ডেকে আনে ঠিকই কিন্তু ভয়ই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপদকে ডেকে আনে।”
হতাশ হবার ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
- (ক) নিজের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে অগাধ বিশ্বাসের অভাবে তথা আত্মবিশ্বাসের অভাবে।
- (খ) অপরিসীম ধৈর্য্যের অভাবে।
- (গ) কর্ম সম্পাদন কৌশলকে আবিষ্কার করতে না পারলে অথবা অন্যের আবিষ্কৃত কৌশলে চলতে গিয়ে সেটা আয়ত্বে না আনতে পারলে।
হতাশ হবেন না pdf
জনাব ফ্রাঙ্কলিন বলেন, “সফলতা অনেক সময় মানুষের জীবনে পতনকে ডেকে আনে। সফল ও সার্থক লােকদের সামনে সাধারণত যা অপেক্ষা করে, সেটা হচ্ছে স্থবিরতা ও নতুন করে আশা ভঙ্গের সম্ভাবনা।
এডিসন বলেছেন “কোন মানুষেরই হতাশ হবার কারণ নেই যদি সে জীবনের ক্ষেত্রে ৪টি বিষয়ে মনােযােগী হয়।"
- (১) অধ্যবসায়কে বানাও তােমার অন্তরঙ্গ সুহৃদ। (২) অভিজ্ঞতাকে কর তােমার বিজ্ঞ মন্ত্রণাদাতা।
- (৩) সতর্কতাকে বানাও তােমার অগ্রজ।
- (৪) আশাকে বানাও তােমার তত্ত্বাবধায়ক প্রতিভা।
“মানুষ যদি ন্যায় সঙ্গত আশা করে, তদানুযায়ী কর্ম করলে সমস্যা সমাধান অবশ্যই করতে পারবে।”
- (১) তােমার কাজে অধ্যয়নশীল হও, তুমি বিশেষজ্ঞ হবে।
- (২) পরিশ্রমী ও মিতব্যয়ী হও, তুমি ধনবান হবে।
- (৩) সংযমী ও মিতচারী হও, তুমি সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
- (৪) সাধারণ ভাবে সুনীতি সম্পন্ন হও, তুমি সুখী হবে।
সাসিয়ারাস, এমারসনের কথাই বলেছে। তবে গাছের শাখাপ্রশাখা, পত্র-মঞ্জরীর ব্যাখ্যা না দিয়ে মূল বিষয় বা কান্ডের বর্ননা দিয়েছে।
আমাদের মাঝে উপরােক্ত দু'ধরনের লােকই রয়েছেন। একই দল সমস্ত সমস্যাকে বিস্তৃত করে দেখেন। অন্যদল সমস্ত সমস্যার মূলটি লক্ষ্য করে সংক্ষিপ্তভাবে তাকে চিন্তা করেন। আমাদেরকে সাইসিয়ারােসর মতাে সমস্ত সমস্যাকে ছােট করে তার মূল বিষয়ে আসতে হবে। মূলতঃ মানুষের সমস্যা খুব বেশি নয়।
আজকাল দরিদ্র দেশগুলি সমস্যায় জর্জরিত একথা না বলে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, তাদের সমস্যার সংখ্যা মাত্র চার বা পাঁচটি।
- (১) তারা পরিমিত খাদ্য চায়।
- (২) প্রয়ােজনীয় বস্ত্র চায়।
- (৩) থাকবার উপযুক্ত বাসস্থান চায়।
- (৪) শিক্ষা বা চিকিৎসার সুবন্দবস্ত চায়।
মানুষের জীবনকেও সমস্যাপূর্ণ করে দেখার কোন মানে হয় না। এত মানুষ অনায়াসে বিভ্রান্ত ও পর্যদস্ত হয়ে পড়বে। আমার কি নেই, কিসের কিসের অভাব এগুলাে বের করে নিজেরা নাজেহাল ও ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
হতাশ হবার কোন কারণ নেই by ডেল কার্নেগী pdf
পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্যই মােট ১০টার বেশি সমস্যা নেই। মাত্র ১০টা? বলেন কি? এরকম মনে হতে পারে । তবুও আমার ফরিস্তিটা পড়ে দেখুন আপনার সমস্যা এর বাইরে যায় কি না? সমস্যাগুলাে হচ্ছে?
- (১) অর্থনৈতিক সমস্যা।
- (২) সামাজিক সমস্যা।
- (৩) রাষ্ট্রীয় সমস্যা।
- (৪) পারলৌকিক সমস্যা।
- (৫) পারিবারিক সমস্যা।
- (৬) দুর্ভাগ্যজনিত সমস্যা।
- (৭) জন্মগত সমস্যা।
- (৮) ভুল করা, বিভ্রান্ত হওয়া জনিত সমস্যা।
- (৯) মানুষিক সমস্যা।
- (১০) যৌন সমস্যা।
আপনার যে কোন সমস্যাকে এই দশটি সমস্যার আওতাভুক্ত করা কি সম্ভ নয়? সাদা একটা কাগজ নিয়ে ধীর, স্থির চিত্তে আপনার যাবতীয় সমস্যার কথা লিখে ফেলুন । তারপর উপরের শ্রেণী বিভাগে তাকে ফেলুন, গুনে দেখুন আপনার সমস্যা মােট ক’টি। এর বাইরে আর সমস্যা নিয়ে টানাটানি করবেন না।
(১) অর্থনৈতিক সমস্যা মানুষের পার্থিব ও বাহ্যিক জগতের একটি মুল সমস্যা। অর্থের অসমবন্টন তথা প্রাচীন যুগের সম্পদের হেরফের সর্দারী আদিম যুগ থেকে মানুষের জন্য অমঙ্গল জনিত ফলাফল দিয়ে এসেছে।
পৃথিবীর মােট অর্থ এবং মানুষ সংখ্যা পরিসংখ্যান বিভিন্ন বক্তারা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। ধর্মীয় প্রথায় এ বিষয়ে সদাচার সম্ভব হলেও ধর্মীয় শক্তিকে কাজে লাগাতে গেলে রাষ্ট্রগত বিরােধ ও শ্রেণীগত সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়বে।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা মােটামুটি ভাবে আশান্বিত। তাদের মতে পুঞ্জিভূত পাহাড় তুল্য অর্থ একক হাতে যেভাবে কুক্ষিগত হয়ে আছে তার সমবন্টন হলে বিশ্বের দারিদ্রতা মােটামুটি ঘুচে যেতে পারে।
অনেকে বলেছেন, এ সমস্যাটিকে বিশ্ব সমস্যা হিসেবে ধরাটা বেজায় ভুল হবে এবং অর্থকে এভাবে বন্টন করলে দেখা যাবে অর্থ আবার অর্থপতিদের হাতে চলে যাবে এবং হৃত অর্থবানরাই পুনরায় একইভাবে ধনী হয়ে উঠবে।'
তার কারণ হিসেবে তারা বলেন, “এ জগতে যারা অর্থনৈতিকভাবে। চরম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন, তাদের বেশির ভাগই জন্মেছেন সাধারণভাবে আর দশজনের মতাে এবং আর দশ জনেরই সঙ্গেই তারা বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু কালক্রমে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠার দ্বারা তারা যে সাধারণের উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ মাল মসলার সাহায্যেই।
অর্থশালী হওয়াটা যতােটা না ভাগ্যের ব্যাপার তার চেয়ে বেশি একটা অনুশীলনী ও কৌশলগত ব্যাপার। যার জন্য অর্থের সমবন্টন হলেও মেধা ও কৌশলের অসমবন্টনের জন্য পুনরায় অর্থকৌশলী অর্থ অর্জনের মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিদের হাতেই পুনরায় এই অর্থ পুঞ্জিভূত হবে।”
এর কারণ হিসেবে তারা বিশ্বের বহুঘটনার উল্লেখ করেছেন। অর্থলাভ করা যে একটি কৌশলগত দিক এতে আর সন্দেহ কি? অর্থলাভের কৌশলগত দিক নিয়ে আমরা অবশ্যই বিষদ আলােচনা করবাে। এ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনায় ফল লাভের সম্ভাবনা কম। প্লেটো বলেন, অর্থগ্রহীতা থেকে দূরে থাক তাহলেই তােমার জীবনে অর্থের প্রাচুর্য আসবে।”
(2) সামাজিক সমস্যার মূল বিষয়টি হচ্ছে, নিজের সঠিক মান মর্যাদা সমাজ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাওয়া। আমরা জনপ্রিয় ও সম্মানীয় হতে চাই। সমাজে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই এবং সমাজ থেকে আমাদের প্রতি নিশ্চিত প্রাপ্যও আমরা কড়ায় গণ্ডায় পেতে চাই।
সমাজ থেকে আমাদের বড় প্রাপ্য হচ্ছে, সবার সহানুভূতিশীল আচরণ অথচ তার চেয়েও বেশি করে আমরা যেটা পেতে চাই সেটা হচ্ছে খ্যাতি।
অথচ রবার্ট সুম্যান বলেছেন—, 'পৃথিবীতে দুটো কাজ খুব শক্ত। একটা হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা এবং অপরটি হচ্ছে সেটাকে আগাগাড়াে ধরে রাখা।'
নিজের সুনামের জন্য সমাজ থেকে নিজের নাম যশকে আদায় করতে আমরা বহু রকমের ত্যাগ স্বীকার করে থাকি। একজন জননেতা তার জীবনে যতাে বার কারাবরণ করেন, গুলীর মুখোমুখী হন ও ঝড় ঝঞ্চার মােকাবিলা করেন সেটা একমাত্র অর্থের জন্য নয় কিংবা স্রেফ জন হিতার্থে নয়-এর পেছনে আরাে একটি বিষয় গােপনে কাজ করে থকে এবং সেটি হচ্ছে অন্যের কাছ থেকে নিজের নাম যশের স্বাধীকার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে এটাকে কিনতে হয়। কখনাে কখনাে নাম যশের সঙ্গে মানুষ গােপন প্রভুত্বের বাসনাকে চেপে রাখতে পারে না। আর তখন সে মানুষের উপর ক্ষমতা নিয়ে খেলতে চায়। এটা নেশার মতাে তাকে পেয়ে বসে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমরা একে বলে থাকি একনায়কতন্ত্র, সামাজিক পর্যায়ে বলে থাকি তালুকদারী এবং তারও নিমপর্যায়ের সুবিধা বিহীন এবং কিছুটা স্বার্থউদাসীন ব্যক্তিকে বলে থাকি কাপ্তান।
জর্জ ওয়াশিংটন সম্ভাবে জনপ্রিয়তার জন্য একটি উপদেশ দিয়েছিলেন, সেটি হচ্ছে—,
কেউ যদি জনপ্রিয় হতে চান তবে তাকে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হচ্ছে নিজের সুনামের উচ্চ মূল্যায়নের জন্য যাবতীয় জনকল্যাণকামী কাজ করা এবং সদগুণান্বিত ব্যক্তিগণের সঙ্গে মেশা।
বস্তুতঃ মন্দ সহচর্যের থেকে একাকীত্ব অনেক শ্ৰেয়। সমাজের হােতারা যখন আপনার যথার্থ যােগ্যতা ও পাওনার প্রতি অবহেলা করে, তখন কি করণীয় সেটা আমরা সামাজিক সমস্যা বিভাগে বিষদ আলােচনা করবাে।
(৩) রাষ্ট্রীয় সমস্যা অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ক। সার্বজনীন শিক্ষা, অবৈতনিক বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, চিকিৎসার পূর্ণ ও সরকারী সুযােগ, হতাশ হবার কোন কারণ নেই পিডিএফ পড়তে নিচের Veiw Now শব্দে ক্লিক করুন।
হতাশ হবার কোন কারণ নেই পিডিএফ
| Book | Publisher | Author | F Size |
|---|---|---|---|
| হতাশ হবার কোন কারণ নেই | নাঈম বুকস | ডেল কার্ণেগী | ৫ মেগাবাইট |
| Bookshop | Price | Language | T Page |
| Durdin Magazine | Only 80 Taka | Bangla | 12 |
মানবজীবনে দুঃখ-কষ্ট-বেদনা, ব্যর্থতা আসবেই, তাই বলে হতাশ হবার কোন কারণ নেই। পরিশ্রম, ধৈর্য্য নিয়ে বেঁচে থাকুন, সফল একদিন হবেনই। তাই কখনো হতাশ হবেন না।
Read More: ঠিক বেঠিক মার্কেটিং PDF


