মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন একটি আত্মউন্নয়নমূলক প্রেরণা সৃষ্টিকারী বাংলা বই। আপনি যদি একজন সুখী মানুষ হতে চান, তবে এই বইটি হতে যাচ্ছে আপনার উত্তম পথপ্রদর্শক।
মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন হল আপনার যখন যা ইচ্ছে, তাই করার স্বাধীনতা। আপনার ইচ্ছে হল আপনি হাঁটবেন, আপনি হাঁটতে গেলেন। ইচ্ছে হল মেডিটেশন করবেন, আপনি ব্যায়াম করলেন। আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী কর্মসম্পাদন করে যে তৃপ্তি পান, তাই সুখ। আর এই সুখ অর্জনের জন্য যে মানসিক পরিশ্রম এবং চর্চা করেন, তারই নাম মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন।
‘মানুষ তখন সফল হয় যখন সে পৃথিবীকে নয়, নিজেকে বদলায়।
এই বইটি কোনাে লেকচার নয়; আপনাকে মােটিভেটেড করার জন্য। এই বই আপনাকে কোনাে অসাধারণ মানুষ বানানাের জন্যও নয়। এই বইটি লেখার উদ্দেশ্য হাজার বছর ধরে চলে আসা মানবজাতির একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা বলার জন্য। সমস্যাটি হলাে দুঃখবােধ। সুখের অভাব।
আর সমাধানটাও আপনার সাধ্যের মধ্যে। এই বইয়ে আপনি সেই টেকনােলজি শিখতে চলেছেন।
তবে শেখার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে, কোনাে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি ৮০% আবেগ আর ২০% দক্ষতার ওপর নির্ভর করেন। হয়তাে ভাবছেন অনেক ভেবেচিন্তে আপনি আপনার জীবনকে পরিচালনা করছেন। আসলে তা নয়। আপনি জীবনে সফল অথবা ব্যর্থ যা-ই হন, সারা জীবন ধরে আপনি যা করেন তার। ৮০% করেন আবেগের ওপর নির্ভর করে এবং মাত্র ২০% করেন দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। আসলে যেকোনাে প্রচেষ্টায় সাফল্য ৮০% মনােবিজ্ঞান এবং ২০% দক্ষতা। এর মানে হচ্ছে, আপনি ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ছাত্র-শিক্ষক বা বিজ্ঞানী যা-ই হন সেখানে সাফল্যের জন্য মাত্র ২০% সে কাজের দক্ষতা ও ৮০% দরকার আবেগের পরিচালনা করার ক্ষমতা। আপনার কাছে এই পরিসংখ্যানটি অবাক লাগতে পারে কিন্তু এটাই সত্য। | আজ আপনি কেমন অনুভব করছেন সুখী না দুঃখী এটাও নির্ভর করে আপনার আবেগের ওপর। আপনি বুদ্ধির দক্ষতার ওপর নয়। বেশিরভাগ মানুষ তার আবেগের কাছে জিম্মি? কেন এমন হচ্ছে?
আবেগ হচ্ছে একটি শক্তি, সেই শক্তি নিজের দখলে না থাকলে মনে ভয়, উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের অভাব হবে এটাই স্বাভাবিক।
এ বই লেখার সময় রিসার্চের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করছিলাম- বই পড়া, বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়া এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেডিটেশন করে। আমার এই অমানুষিক পরিশ্রমের একটি উদ্দেশ্য ছিল কী করে সহজ উপায়ে মানুষের মন থেকে ভয় ও স্ট্রেস কমাতে পারি এবং হ্যাপিনেস বৃদ্ধি করতে পারি। কিন্তু হাজার হাজার কৌশল পড়েও বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে আমি কাজটি করব। কোভিড-১৯ দেশে আক্রমণ করার এক বছর পর আমি ব্যাপারটা উদ্ধার করতে পারলাম। আপনার নিশ্চয় মনে আছে যখন কোভিড-১৯ দেশে শুরু হয় মানুষের মধ্যে ভয়াবহ রকমের আতঙ্ক শুরু হয়। কেউ করােনায় আক্রান্ত হলে অন্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত এমনকি পাশে বাড়ির মানুষটি ঘরের জানালা পর্যন্ত বন্ধ করে রাখত। মানুষ ভয়ে, আতঙ্কে হাসপাতালেও ভর্তি হতাে না, অনেকেরই ধারণা ছিল যেহেতু করােনার কোনাে ওষুধ নেই তাই হাসপাতালে তাদের পয়জন দিয়ে মেরে ফেলা হবে। আত্মীয়স্বজন মারা গেলে মানুষ জানাজা করতে পর্যন্ত যেত না। এমনকি গ্রামে করােনা রােগীকে দাফন করতে দিত না। এসব কেন হতাে? ভয়ে!

কিছুদিনের মধ্যেই মানুষ জানতে শুরু করল কীভাবে করােনা রােগীকে চিকিৎসা করতে হয়। বাসায় কারাে করােনা হলে কীভাবে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হয়। করােনায় কত পারসেন্ট রােগী মারা যায়। কাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি আর কাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। যখন আমরা এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান জানতে পারলাম তখন আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কমতে শুরু করে। মানুষ এখন আর করােনা ভয় পায় না। কারণ তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। | এ বই জুড়ে আমি আপনাকে কোনাে হ্যাপিনেসের উপদেশ দেব না। আমি শুধু কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান দেব যা আপনি আপনার সফটওয়্যার ইন্সটল করে নিজেকে রি-প্রােগ্রামিং করতে পারবেন। তখনই আপনার মন থেকে ভয় উড়ে যাবে আর সেখানে বাসা বাঁধবে পরমানন্দ।
মাইন্ডফুলনেস প্রকাশকের কথা
সুখ বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়ে থাকে। এক কথায় বললে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু এই সােনার হরিণ ধরার ক্ষমতা যেন কারাে নাই।।
আসল কথা হলাে, সুখের সংজ্ঞাই আমরা ঠিকভাবে জানি না। অধিকাংশ মানুষ সুখ বলতেই বােঝায় অঢেল ধনসম্পত্তি, জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি, সুন্দরী নারী। কিন্তু বাস্তবতায় অধিকাংশ নায়িকার একাধিক বিয়ে হয়। তারা সুন্দরী হওয়ার পরও সুখী নয়। | আমার পরিচিত এমন মানুষও এ দেশেই আছে, যতক্ষণে আমি এই প্রকাশকের কথা’ লেখাটা লিখলাম, ততক্ষণে তিনি এক লাখ টাকা আয় করেছেন। মজার ব্যাপার হলাে, যে ব্যক্তির কথা আমি বলছি তিনি দুপুরে কিছুই খেতে পারেন না। ফ্রান্স থেকে আনা দুটো শসা আর একটা গাজর- এই হলাে তার দুপুরের খাবার। রাতে ঘুমানাের জন্য বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করেন। তার নাকি শরীরের রক্ত একদিকে চলে যায়। অদ্ভুত রােগ। ঘুমে উল্টাপাল্টা হলে মৃত্যু নিশ্চিত। যে লােক মনমতাে খেতে আর ঘুমােতেই পারে না তিনি কতটা সুখী তা চিন্তার বিষয়। আমি এই ভদ্রলােককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার কোম্পানির সিইওরা কেমন স্যালারি পান? তিনি বলেছেন, ঠিক নেই, কেউ দশ-বারাে পায়, কেউ পায় পনেরাে-বিশ লাখ।
আমি ভাবলাম এরা মনে হয় বেজায় সুখী।
একজন সিইওর সাথে ঘনিষ্ঠতা হলাে। জানলাম তার মেয়ে ড্রাগ অ্যাডিক্টেট। বনানীর এক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় ইন্ডিয়ায় দৌড়াচ্ছেন। সেই মেয়ে নাকি তার ড্রাইভারের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। নানান চিন্তায় সিইও সাহেব হাই ব্লাড প্রেশার-ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে সর্বরােগের আধার হয়ে গেছেন।
আসলে সুখের জন্য অনেক অর্থ-বাড়ি-গাড়ি-নারীর প্রয়ােজন হয় না। বরং শরীর ঠিক রাখুন, আপনার চাহিদা আপনার ক্ষমতার মধ্যে রাখুন। যেকোনাে সুস্থ মানসিকতার চর্চায় মনােনিবেশ করুন। তবেই হয়ে উঠবেন আপনি প্রকৃত সুখী।
জোবায়ের রুবেলের সুখের স্কুল হতে পারে এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। আর এ বইটি দিতে পারে আপনার শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির বিভিন্ন দিকনির্দেশনা। এনজয় ইয়াের হ্যাপি মাইন্ডফুলনেস জার্নি। আহমেদ ফারুক একজন সুখী মানুষ মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন।
মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন পরিচিতি
আপনি কি খুব বেশি চাপের মধ্যে আছেন? নাকি খুব শান্তিতে আছেন? অথবা বুঝতে পারছেন না আপনি কতটা চাপের মধ্যে আছেন? আপনার স্ট্রেস লেভেল শনাক্ত করতে এই সাধারণ স্ট্রেস টেস্টটিতে অংশগ্রহণ করুন। নিচে দেয়া প্রশ্নের উত্তর দিন এবং ক্যালকুলেট করুন আপনার স্ট্রেস স্কোর।
বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সবার জন্য চাপ অনিবার্য বিষয়। প্রত্যেকেই কমবেশি চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি আপনার স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণ বা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চান, তাহলে অবশ্যই আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি কতখানি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি স্ট্রেসের কোন লেভেলে নিয়ে যেতে চান সেটা জানতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন লেভেলে আছেন? তবেই আপনি তা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। এছাড়া স্ট্রেস এবং টেনশন আপনাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঠেলে দেবে কেবল তা নয়, বরং আপনার স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পারিবারিক জীবনকে ধ্বংসের মুখেও ফেলবে।
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনার স্ট্রেস লেভেল রেটিং করুন এবং আপনার স্ট্রেস স্কোর জানুন। একটি সুস্থ মন আপনাকে দীর্ঘজীবী করতে এবং রােগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। স্ট্রেস মােকাবেলা করার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি আপনাকে জানাবে যে আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং স্ট্রেস রিলিফের জন্য আপনাকে কী করতে হবে ।
প্রতিটি প্রশ্নের হ্যা অথবা না উত্তর দিন। প্রশ্নটা পড়ে সাথে সাথে যে উত্তরটি মাথায় আসে কেবল সে উত্তরেই (V) টিক চিহ্ন দিন। অনুগ্রহ করে আপনার উত্তর লেখার আগে উত্তরপত্র দেখবেন না। এবার শুরু করুন।
১. হঠাৎ করে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে আমার খুব মন খারাপ হয়?
- হ্যা অথবা না।
আপনার স্কোর দেখুন :
প্রতিটি প্রশ্নের ‘হ্যা উত্তরের জন্য ১০ নম্বর এবং ‘না’ উত্তরের জন্য ০ নম্বর। আপনার প্রাপ্ত নম্বর যােগ করুন।
১. আপনার প্রাপ্ত নম্বর যদি ১০ থেকে ৪০-এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি রয়েছেন- স্ট্রেসের গ্রিন লেভেলে। এতটুকু স্ট্রেস ঠিক আছে। এই স্ট্রেস আপনাকে কোনাে সমস্যায় ফেলতে পারবে না বলে আমরা আশা করছি। তবে আপনার পক্ষে এই স্ট্রেস স্কোর ১০ নামিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য কেবল আপনি নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন চর্চা করুন। এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।
২. আপনার প্রাপ্ত নম্বর যদি ৪০ থেকে ৭০-এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি রয়েছেন- স্ট্রেসের ইয়ােলাে লেভেলে। এর মানে হচ্ছে আপনি প্রায়ই খুব স্ট্রেসে ভােগেন। আবার কয়েক দিন পরই তা ঠিক হয়ে যায়। এ চক্রটি আপনার জীবনে চলতেই থাকে। এই ভালাে তাে এই মন্দ। এটা খুব খারাপ একটা অবস্থান যেকোনাে সময় আপনাকে খুব বিষন্নতা রােগে ভােগাতে পারে। হতে পারে শারীরিক আরাে নানা ধরনের অসুখের কারণ। তাই আপনার এই মুহূর্তে সচেতন হওয়া উচিত নিজের প্রতি। নিজের জন্য প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট সময় বের করুন আর সেই সময়টুকু নিজেকে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে এ সমস্যা কমতে শুরু করেছে। আপনি নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন চর্চা করুন। বিজ্ঞান বলছে এটা আপনাকে হেল্প করবে।
৩. আপনার প্রাপ্ত নম্বর যদি ৭০ থেকে ১০০-এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি রয়েছেন- স্ট্রেসের রেড লেভেলে। তার মানে আপনি শরীর এবং মনে দুই ক্ষেত্রেই অসুস্থতায় ভুগছেন। আপনি বােঝেন অথবা না বােঝেন, আপনি ভালাে নেই। পরিবারের মানুষদের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলুন। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন চর্চা করুন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন।
মেডিটেশন বিগেইনার লেভেল
বইয়ের প্রথম পর্ব নিজের প্রতিটি বিষয়ে মনােযােগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। জানেন নিশ্চয়ই, মনােযােগ হচ্ছে চুম্বকের মতাে। এজন্যই গুরুজনরা বলেন, চেঞ্জ ইউর থিনকিং, চেঞ্জ ইউর লাইফ। জীবনকে পরিবর্তন করতে চাইলে আগে মনকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, মন যেটাতে যােগ করবেন দেখবেন সেখানে সবকিছু বাড়তে শুরু করেছে।
এ পর্বে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের প্রাথমিক সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন pdf এর পরিচিতি
কেন এবং কখন এই মাইন্ডফুলনেস চর্চা, তা নিয়ে কিছু কথা।
এই বইটি পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আপনাকে স্বাগতম।
নিঃসন্দেহে আপনি একজন ভাগ্যবান। কারণ, আপনি মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনার এই সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে, আপনি নিজেকে ভালােবাসেন এবং নিজের পজিটিভ পরিবর্তন চান। নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস অনুশীলনে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিকভাবে সুখী হয়ে উঠবেন।
এর ফলে আপনার কর্মদক্ষতা বাড়বে, ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটবে এবং জীবনের গাড়ি আরাে দক্ষভাবে চালাতে শিখবেন। আগেই বলেছি এটি একটি প্রশিক্ষণ।
আপনার হাতে কোনাে অবসর সময় নেই যখন আপনি এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ। করবেন, এটা আমরা জানি। আবার যারা বড় শহরগুলােতে থাকেন তাদের জীবনকে আরাে অতিষ্ঠ করে তুলেছে যানজট। ঢাকায় প্রতিঘণ্টায় ৬ দশমিক ৮ কিলােমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করে। আপনার বাসা থেকে অফিসে যদি সাত কিলােমিটার দূরত্ব হয় তাহলে আপনি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় শুধু যানজটে থাকেন। সে হিসাবে বছরে ৭৩০ ঘণ্টা। এর মানে হচ্ছে বছরে ৩৬৫ দিনের ৩১ দিনই আপনি শুধু যানজটেই বসে থাকেন। | এ সময়টা কাজ করলে এক মাসের বেতনের সমান বাড়তি আয় করতে পারতেন। পরিবারকে সময় দিলে সুখের সংসার হতাে। বেড়াতে গেলে মানসিক অবস্থার উন্নতি হতাে। বই পড়লে ১০০টি বই পড়তে পারতেন।
যানজটে বসে থাকা এই দুই ঘণ্টায় ৯৭% মানুষ শুধু মানসিক চাপ, ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস বাড়ায়। দেখুন মাইন্ডফুলনেস চর্চার পর একজন মানুষের জীবনে কেমন হবে।