ইকিগাই বাংলা Pdf ❤️ Ikigai Bangla PDF in Bengali

19 minute read
0
Ikigay Bangla pdf


ইকিগাই বাংলা PDF

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইকিগাই বাংলা pdf  সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানব এবং কিভাবে ikigai bangla pdf পড়বেন তা জানাব।

আধুনিক জীবন আমাদেরকে আমাদের প্রকৃত স্বভাব থেকে দূরে নিয়ে যায়। পয়সা, ক্ষমতা ও পদোন্নতি আমাদের মূল স্বভাবের থেকে দূরে নিয়ে যায়। এই তিনটি জিনিসকে কখনই নিজের জীবনে চেপে বসতে দেবেন না।

আপনার জীবনের ইকিগাই বাংলা pdf  কি?

আমাদের ভেতরে যে উৎসুকতা এবং ইন্টিউশন আছে তাকে। দিক নির্ধারণ যন্ত্রের মতাে ব্যবহার করুন, তাই আমাদেরকে 'ইকিগাই' পর্যন্ত নিয়ে যাবে। তার থেকে লাভবান হন এবং নিজের প্রকৃত আনন্দ পর্যন্ত পৌঁছানাের চেষ্টা করুন। যা পছন্দ হয়না, তার থেকে দূরে থাকুন। নিজের ভেতরের উৎসুকতাকে মরতে দেবেন না, কারণ সেটাই আপনার জীবনের আসল অর্থ খুঁজে বার করে কোনও মহান কাজ করা জীবনের উদ্দেশ্য, এমনটা নাও হতে পারে।হয়তাে ভালাে বাবা-মা হওয়া বা নিজের প্রতিবেশীকে সাহায্য করাও আপনার জীবনের 'ইকিগাই' হতে পারে। জীবন কোনও ধাঁধা নয়, যে আপনি তার উত্তর খুঁজে পাবেন। 

শুধুমাত্র এমন কিছু ভাবুন যার দ্বারা আপনি নিজের সবচেয়ে পছন্দের কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন, আর সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকুন।যেকোনও অনুষ্ঠানে যােগ দেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারেন।

ইকিগাই pdf এর দশটা নিয়ম

ওগিমি-র লােকেদের দেখার পর ও তাদের সাথে কথা বলার পর আমরা 'ইকিগাই'-এর দশটা নিয়ম বুঝতে পেরেছি। তা বুঝিয়ে আমরা এই যাত্রা শুরু করতে চাই।

১. সবসময় কাজের মধ্যে থাকুন, কখনও অবসরের কথা ভাববেন না।

যারা নিজেদের পছন্দের কাজ বন্ধ করে দেয়, তারা নিজেদের জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলে। তাই আপনার যা করতে ভালাে লাগে তা করতে থাকুন বিকাশের পথে এগিয়ে যাওয়া, অপরের কাজে লাগতে পারে এমন বস্তুর নির্মাণ করা এবং সেবানিবৃত্তির সময় এসে গেলেও বড়াে কিছু করার কথা ভাবতে থাকুন।

২. কখনও তাড়াহুড়াে করবেন না

সর্বদা তাড়াহুড়াে করা আপনার দীর্ঘায়ুর জন্য প্রাণঘাতী বলে প্রমাণিত হতে পারে একটা অতি প্রাচীন প্রবাদ আছে, ধীরে চললে বহুদূর যেতে। পারবেন। আমরা যখন অকারণ তাড়াহুড়াে না করে কোনও কিছুকে বেরিয়ে যেতে দিই, তখন জানবেন নতুন সময় আপনার জীবনে নতুন কোনও অর্থ নিয়ে আসবে।

৩. পেট ভরে খাবেন না

যদি দীর্ঘ জীবন লাভ করতে চান তাহলে কম খান।পেট ভরে না খেয়ে নিজের ক্ষমতার ৮০ শতাংশ খান।

৪. ভালাে বন্ধু ও পরিবার 

বন্ধুর মতাে ভালাে ঔষধ আর কিছু হতে পারেনা। চিন্তার থেকে দূরে থাকার জন্য গল্প করুন, একে অপরের সাথে মন খুলে কথা বলুন। পরামর্শ দিন ও নিন। মজা করুন, স্বপ্ন দেখুন, মন খুলে জীবন উপভােগ করুন।

৫. পরের জন্মদিন আসার পূর্বেই আরও  সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠুন।

মনে রাখবেন যে জল প্রবাহিত হয় তাই স্বচ্ছ ও নির্মল থাকে, বদ্ধ জল পচে যায় তেমনি যদি আপনি নিজের জীবন শক্তিশালী ও দৃঢ় করে রাখতে পারেন তাহলে আপনার শরীরও দৃঢ় ও বলশালী থাকবে। তেমনি আপনি যদি বলশালী জীবন চান তাহলে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হবে।ব্যায়ামের দ্বারা আমাদের শরীর আনন্দ লাভ করে এবং প্রয়ােজনীয় হরমােনও প্রস্তুত হতে থাকে।

৬. হাসি 

হাসি ও খুশি আপনাকে বন্ধু প্রদান করে।সেই সাথে শান্তিও পাওয়া যায়। ছােট ছােট জিনিসের থেকেও আনন্দ লাভ করা যায়। একটা কথা সবর্দা মাথায় রাখবেন, বর্তমান ক্ষণ বহু সম্ভাবনা নিয়ে আসে।

৭. প্রকৃতির সাথে যুক্ত থাকুন

আজকের দিনে মানুষরা শহরে থাকে ঠিকই কিন্তু প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার হিসাবেই আমাদের নির্মাণ করা হয়েছে। তাই মাঝে মাঝে প্রকৃতির কোলে আশ্রয় নিন ও ব্যাটারি চার্জ করুন।

৮. ধন্যবাদ জানান

আপনার যে পূর্বপুরুষ এই পৃথিবীকে আপনার জন্য বাস যােগ্য করে গেছেন তাকে ধন্যবাদ জানান। আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্যে আপনার জীবন সুন্দর ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।তাদের সারা দিনে একবার ধন্যবাদ জানান।এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার খুশির সিন্দুক দিনে দিনে ভরে উঠেছে।

৯. বর্তমান নিয়ে বাঁচুন

অতীত নিয়ে দুঃখ করা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা ছেড়েদিন। আমাদের কাছে শুধুমাত্র বর্তমান আছে। তার থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করুন এবং সেই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয় করে তােলার চেষ্টা করুন।

১০. নিজের ইকিগাই' অনুসারে জীবন অতিবাহিত করুন

আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা প্রেরণা লুকিয়ে আছে। আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এমন বিশেষ কিছু থাকে যা আমাদের জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রেরণা দিতে থাকে। আপনি যদি নিজের জীবনের 'ইকিগাই' সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হন, তাহলে ভিক্টর ফ্রাংকলের হিসাবে 'ইকিগাই'-'-এর সন্ধানই আপনার 'ইকিগাই' হয়ে উঠুক।

আপনাদের প্রত্যেককে দীর্ঘ, আনন্দিত এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনের জন্য শুভকামনা। 

- হেক্টর গার্সিয়া এবং ফ্রান্সিস মিরেলস।

 ইকিগাই বাংলা pdf অনুবাদ

প্রথম অধ্যায়

ইকিগাই

বয়স বাড়ুক, কিন্তু তার ছাপ যেন

আপনার উপর না পড়ে। 

আপনার অস্তিত্বের কারণ কী? জাপানের মানুষরা মনে করেন, প্রতিটা মানুষের জীবনেই কোন না, কোন 'ইকিগাই' থাকে।

হয়তাে ফ্রান্সের লােকেরা একে 'জীবনের উদ্দেশ্য বলবেন, বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে এটা বিভিন্ন নামে পরিচিত।তবে প্রতিটা মানুষের মধ্যেই 'ইকিগাই' লুকিয়ে থাকে।কিছু মানুষ নিজের 'ইকিগাই' খুঁজে পান, তাে কেউ তার সন্ধান চালিয়ে যান।

প্রত্যেকের ভেতরেই 'ইকিগাই' লুকিয়ে থাকে, তবে তা খোঁজার জন্য সংযমের প্রয়ােজন।ওকিনাওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পিছনে একটাই কারণ কাজ করে, আর সেটা হল তাদের পাওয়া 'ইকিগাই।

Passion + Mission

— What you love?

— What you are good at?

Profession + Vocation

— What you can be paid for?

— What the worlds need?


অলস জীবন যাপন করবে না ইকিগাই

মার্ক উইনের তথ্যের ভিত্তিতে জীবনে যায় করো না কেন, কখনই অলসের মতাে বসে জীবন অতিবাহিত করো না। 

একবার যদি আপনার কাছে নিজের 'ইকিগাই' স্পষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সমস্ত সুখ ও সন্তুষ্টি নিজের থেকেই আপনার কাছে ধরা দেবে। 

আপনি জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাবেন।এই পুস্তক পড়লেই এই বই লেখার মূল উদ্দেশ্য জানতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনি নিজের 'ইকিগাই'ও খুঁজে পাবেন। 

জাপানের মানুষরা কীভাবে সুস্থ-সবল মনের সাহায্যে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হন, সেই রহস্যও জানতে পারবেন আপনি।

আপনি যদি জাপানে গিয়ে থাকেন, তাহলে একটা কথা অবশ্যই জানেন যে, অবসর গ্রহণের পরেও সেখানকার মানুষরা সক্রিয়তা ও ব্যস্ততার সাথেই জীবন অতিবাহিত করেন। সত্যি বলতে কী, জাপানের মানুষরা অবসর কী তা জানেই না, কারণ সেখানে এমন কোনও শব্দই নেই।

ইংরেজিতে 'রিটায়রমেন্ট' বলে একটা শব্দ আছে, কোনও একটা বয়সের পর প্রত্যেককেই অবসর জীবন যাপন করতে হয়। 

কিন্তু জাপানের ভাষায় এমন কোনও শব্দই নেই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সাংবাদিক ড্যান ব্যুটেনরনে বহু বছর জাপানে কাটিয়েছিলেন, তার মতে জাপানের মানুষদের কাছে তাদের জীবনের উদ্দেশ্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, তারা জীবনে অবসর গ্রহণের কথা ভাবতেই পারেন না।

যুবকরা বেশি দীর্ঘায়ু কীভাবে পান সেই রহস্য উদঘাটনের সময় বিভিন্ন তথ্য হাতে আসে, তাতে করে আমরা জাপানের মানুষরা কী খান, কী পান করেন তা জানার সাথে সাথে খাদ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারি। 

তাতে করে বােঝা যায় যে, এই দীর্ঘায়ুর পিছনে 'ইকিগাই' এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।ওকিনাওয়া এমন একটা গ্রাম (যা ব্লু জোন নামে পরিচিত) যেখানে বহু বয়ঃজ্যেষ্ঠ মানুষ বাস করেন। সেখানে গবেষণা চলাকালীন আমাদের হাতে বেশ কিছু অসাধারণ তথ্য উঠে আসে।

যেমন ধরুন: 

• এরা যে শুধু বহু বছর বাঁচে তাই নয়, সেই সাথে ক্যান্সার বা হৃদরােগের মতাে কঠিন অসুখও তাদের শরীরে দেখা যায় না। 


• এখানকার মানুষেরা এতটাই আনন্দের সাথে নিজেদের জীবন কাটান যে, দেশের বাকি মানুষরা তা কল্পনা পর্যন্ত করতে পারে না।


• বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শরীরের রক্তে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, এদের ক্ষেত্রে সেটা খুব কমই দেখা যায়। তারা নিজের পেট ৮০ শতাংশ খাবার আর বাকিটা চা দিয়ে ভরায়, তাদের মতে এই অভ্যাসই এর প্রধান কারণের মধ্যে অন্যতম। 


• রজঃস্বলা শেষ হওয়ার পরেও সেখানকার মহিলারা যথেষ্ট সুস্থ থাকেন এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় স্ত্রী-পুরুষের সম্পর্কও অনেক বয়স পর্যন্ত থাকে। 


• আলঝাইমারের মতাে অসুখের সম্ভাবনাও তাদের ক্ষেত্রে খুবই কম দেখা যায়। যদিও আমরা এই পুস্তকে এই বিষয়ে আলােচনা করতে বসিনি, তবে তাদের দীর্ঘায়ুর পিছনে 'ইকিগাই'-এর ভূমিকা কতটা সেটা এই অধ্যয়নের থেকে স্পষ্ট করতে হবে।

ইকিগাই শব্দের অর্থ কি?

ইকিগাই শব্দের অর্থ যিনি সুন্দর এবং সর্বদা যুদ্ধে প্রথম স্থানে থাকেন

দীর্ঘায়ু লােকেদের পাঁচটি টাপু (রু জোন্স)। 

ব্লু জোনের প্রথম স্থানে ওকিনাওয়া গ্রামের মানুষদের দেখা যায়। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের তুলনায় এখানকার মহিলারাও অনেক বেশি বাঁচেন এবং তারা সুস্থ জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হন।

ড্যান ব্যুটেনর এমন পাঁচটি স্থানের অধ্যয়ন করেছিলেন, নিম্নে সেই বিষয়ে আলােচনা করা হল:

1. ওকিনাওয়া, জাপান (দক্ষিণ প্রান্ত)

এখনকার মানুষরা খাদ্য তালিকায় টোফুর মতাে উপকারী সবজি রাখেন। সেই সাথে তারা 'ইকিগাই' সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন ও 'বন্ধুত্বের সামান্য স্পর্শ তাদের দীর্ঘায়ু প্রদান করে।

2. সার্ডিনিয়া, ইতালি (নিউওরা এবং ওগ্নিস্ট্রে-র এলাকা)লােকেরা খুব বেশি পরিমাণ সবজি খান, সেই সাথে তারা প্রতিদিন দুই গ্লাস করে মদ্যপান করেন। ওকিনাওয়ার মতাে এখানকার মানুষেরাও মনে করেন, সামাজিক দিক থেকে মানুষের মধ্যে যে বন্ধন আছে, সেটাই তাদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

3. লােমলিন্দা, ক্যালিফোর্নিয়া এখানকার 'সেভেন্থডে অন্ডহেনটিস্ট' দলের লােকেদের ওপর নিরীক্ষণ করা হয়। জানা গেছে আমেরিকার মানুষদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বেশি আয়ু লাভ করে। থাকেন।

4. দ্যা নিকোয়া পেনিনসুলা, কোস্টা রিকা

নব্বই বছর বয়সের পরেও এখানকার লােকেরা সক্রিয় থাকে। এখানকার লােকেরা মনের সুখে সকাল ৫:৩০-এ ঘুম থেকে ওঠেন এবং মনের আনন্দে ক্ষেতে কাজ করেন।

5. ইকারিয়া গ্রিস, টার্কি 

এই অঞ্চলের সমুদ্রের ধারে বসবাসকারী প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন ৯০ বছরের বেশি আয়ু লাভ করেন (অথচ আমেরিকায় এর গড় মাত্র ৯%)। এই কারণেই এই অঞ্চলকে বয়স্ক ব্যক্তিদের দ্বীপ বলা হয়। ৫০০ বছর ধরে তারা যে জীবন যাপন করছেন, এর পিছনে সেটার গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে বলে মনে করা হয়।

ওকিনাওয়া দ্বীপের বাসিন্দারা কীভাবে দীর্ঘায়ু লাভ করেন, এই পুস্তকের পরবর্তী ভাগে আমরা সেই কথা জানবাে, এবং তার পিছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটাও বােঝার চেষ্টা করবাে।

এই পাঁচটা অঞ্চলের মধ্যে তিনটি হল দ্বীপ, যেখানে জীবন-যাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় সামগ্রীর যথেষ্ট অভাব আছে। সেই কারণে সেখানকার মানুষদের একে অপরকে সাহায্য করা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। কিছু মানুষের কাছে অন্যদের সাহায্য করাই তাদের জীবনের "ইকিগাই', আর সেটাই তাদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য।

যাঁরা এই বিষয় গুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন, তারা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে, দীর্ঘায়ুলাভের পিছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তাহল খাদ্য-সংস্কৃতি, ব্যায়াম, 'ইকিগাই' সম্পর্কে বােঝা বা জানা ও সামাজিক সংযােগ। 

এই সমাজের লােকেরা নিজেদের জীবন এমনভাবে পরিচালনা করেন। যাতে তাদের মানসিক চাপ অনেক কম হয়। সেই সাথে তারা আমিষ খাদ্যও খুবই কম খান।

উত্তেজক জাতীয় পদার্থের সেবনও কম মাত্রায় করেন। মদ্যপান করেন নাম মাত্র এমন কোনও ব্যায়াম করেন না যাতে তাদের মানসিক বা শারীরিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে, বরং শরীরকে সঠিক ভাবে চালনা করার জন্য প্রতিদিন হাল্কা ও প্রয়ােজনীয় ব্যায়ামের আশ্রয় নেন।

নিজেদের ক্ষেতে কাজ করেন, মাইলের পর মাইল হাঁটেন, গাড়িতে যাতায়াত করার বদলে হেঁটে যাতায়াত করাটাই তাদের কাছে বেশি পছন্দের। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগ লােকেরাই নিজেদের বাগানে কাজ করেন এবং সেই সাথে হাল্কা ব্যায়ামের অভ্যাস করেন।

৮০ শতাংশের রহস্য ইকিগাই pdf Bangla 

জাপানে প্রায়ই একটা প্রবাদ বাক্য ব্যবহার হতে দেখা যায় 'হারা হাচি বুখাবার'। 

খাওয়ার আগে এই কথার ব্যবহার করা হয়।এতটাই খান যাতে আপনার পেটের ৮০% ভরে। এটা অনেক প্রাচীন প্রবাদ, এতে পেট ভরে না এমনভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওকিনাওয়ার মানুষেরা পেটের ৮০% ভরে খাবার খান, তারা কখনই পুরাে পেট ভরে খাবার খান না। এতে করে, খাবার হজম করতে আমাদের শরীরকে যে উর্জার ব্যবহার করতে হয় তা অনেকটা সঞ্চয় হয়ে যায়, সেই সাথে অকারণে বৃদ্ধি পাওয়া অক্সিডেশন প্রক্রিয়াও কম করা সম্ভব হয়। 

পেট ৮০% ভরলাে কিনা সেটা জানার কোনও উপায় আমাদের কাছে নেই। তাই যখনই আপনার পেট ভরে গেছে বলে মনে হবে, সঙ্গে সঙ্গে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন কখনই বেশি পেট ভরে খাবেন না, অকারণে মুখ চালাবেন না, বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না, খাওয়ার পর ফলের রস বা ঠাণ্ডা পানীয় খেতে আমাদের সকলেরই ভালাে লাগে তবে আপনি যদি এগুলিকে এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে দীর্ঘ জীবনের আনন্দ উপভােগ করতে পারবেন। 

কীভাবে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাপানের লােকেরা ছােট ছােট থালায় খাবার খান। তাতে করে সেখানকার লােকেরা কম খাবার খায়। জাপানে এক অদ্ভুত ধরনের থালায় খাবার পরিবেশন করা হয়। 

চারটে ছােট ছােট থালার সাথে একটা অপেক্ষাকৃত বড়াে থালা সহ মােট পাঁচটি থালায় খাবার পরিবেশন করা হয়। আপনি যখন দেখবেন যে আপনাকে পাঁচটা থালায় খাবার দেওয়া হয়েছে, তখন আপনার মনে হবে আপনি ভরপেট খাবার পেয়ে গিয়েছেন। 

কিন্তু খাবার শেষ হওয়ার পর আপনি বুঝতে পারেন, আপনি কম খাবার খেয়েছেন আর তখনও আপনার পেটে খিদে থেকে যায়। এই কারণেই যখন কোনও বিদেশী মানুষ জাপানে কাজ করতে যান তখন তার ওজন কমে যায়।

সম্প্রতি একটা গবেষণায় দেখা গেছে সেখানকার লােকেরা সারাদিনে ১৮০০ থেকে ১৯০০ ক্যালরিজ গ্রহণ করেন। 

আমেরিকার লােকেদের মাংসপেশির ইনডেক্স ২৬ থেকে ২৭ হয় অন্যদিকে ওকিনাওয়ায় তা ১৯ থেকে ২২ হয়। ওকিনাওয়ায় বসবাসকারী মানুষদের খাদ্য-সংস্কৃতির মান খুবই উচ্চমানের। তারা সপ্তাহে তিনবার টোফু, শালগম এবং মাছ খান। তারা প্রতিদিন ৩০ গ্রাম সজি খান।

পুষ্টি সংক্রান্ত যে অধ্যায়টি এখানে আছে তাতে আমরা বিস্তারিত ভাবে এই ৮০ শতাংশের মধ্যে কী কী আসছে তা জানবাে।

মােআই কি? ইকিগাই কাকে বলে?

জীবনের সাথে মেলবন্ধন ওকিনাওয়ার মানুষদের কাছে জীবনের আর এক নাম বােধহয় বন্ধুত্ব, তারা আশেপাশের লােকেদের সাথে বন্ধুর মতাে ব্যবহার করেন। এটা তাদের সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। 

মােআই এর অর্থ হল একই উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়া জনগােষ্ঠীএই সমাজের বহু লােকের কাছে সমাজ সেবাই হল তাদের 'ইকিগাই'। বহু বছর আগে থেকেই 'মােআই'-এর সংকল্প শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই অনুসারে যাঁর ক্ষেতে শস্য কম হত, অন্য কৃষকেরা তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন।

ইকিগাই দ্বিতীয় অধ্যায় pdf

দ্বিতীয় অধ্যায়

বয়স বাড়তে না দেওয়ার রহস্য ছােট-ঘােট বিষয় আপনাকে আনন্দে ভরা দীর্ঘ জীবন দান করে বয়স বৃদ্ধির পিছনের গল্প গত শতাব্দী থেকে আমরা আমাদের গড় আয়ু প্রতি বছর ০.৩ বছর বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। 

একবার ভেবে দেখুন তাে, যদি আমাদের কাছে। এমন কোনও তন্ত্র জ্ঞান থাকতাে যার দ্বারা আমরা নিজেদের গড় আয়ু প্রতি বছর একবছর করে বৃদ্ধি করতে পারতাম তাহলে আমরা নিজেদের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেকটা পিছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হতাম।

আর জীবশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে অমরত্ব লাভ করতে পারতাম। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুবই পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি পােষণ করেছেন রে কুর্জওয়েল এবং ঔব্রেয় দ্যা গ্রে, তাদের মতে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমার এই লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হতে পারি।তবে বহু পন্ডিত মনে করেছেন এমনটা অসম্ভব, তাদের মতে তন্ত্র জ্ঞান যতই বিকশিত হােক না কেন একটা নির্দিষ্ট সীমার পর বয়স কিছুতেই কম করা সম্ভব না। 

কিছু বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞ মনে করেন ১২০ বছর বয়সের পর আমাদের শরীরে নতুন মাংসপেশি সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

অমরত্ব এবং খরগােশ — ইকিগাই pdf

ইকিগাই এর মতে কিভাবে অমরত্ব লাভ করা যায়?

মনে করা যাক বহু দূরে একটা বাের্ড লাগানাে আছে, তাতে একটা সংখ্যা লেখা আছে। সেই সংখ্যা পর্যন্ত পৌঁছানাের পরে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।এই বাের্ড হল আপনার ভবিষ্যৎ আর আপনি ক্রমাগত সেই বাের্ডের দিকে এগিয়ে চলেছেন।জীবনের একটা করে বছর কাটছে আর আপনি সেই বাের্ডের দিকে এগিয়ে চলেছেন। ওই বাের্ডের কাছে পৌঁছে যাওয়া মানেই আপনি মৃত্যুর মুখে ঢেলে পড়বেন। 

এবার এইভাবে ভেবে দেখুন, ওই বাের্ড ধরা আছে এক খরগােশের হাতে আর সেও ভবিষ্যতের দিকেই এগিয়ে চলেছে। আপনি যখন এক বছর এগিয়ে যান খরগােশ তখন ছয় মাস এগিয়ে যায়, এইভাবে একটা সময় আপনি সেই খরগােশের কাছে গিয়ে পৌঁছাবেন ও আপনার মৃত্যু হবে। 

কিন্তু যদি সেই খরগােশ প্রতি বছর এক বছর করে এগিয়ে যায় তাহলে কী হবে? 

তাতে করে গতি সমান হওয়ার জন্য আপনি কোনও দিনও সেই খরগােশের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না, আর আপনি অমরত্ব লাভ করবেন। 

খরগােশ যে গতিতে ভবিষ্যতে চলছে সেটাই আমাদের তন্ত্রজ্ঞান প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাবে আর আমরা নিজেদের শরীরকে যতটা বুঝতে পারবাে আমাদের খরগােশ ততটাই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে সফল হবে। 

ইকিগাইয়ে অমরত্ব বলতে কি বুঝায়?

ইকিগাইয়ে অমরত্ব বলতে সেই অবস্থাকে বােঝায় যখন আমরা প্রতিবছর খরগােশকে আরও এক বছর এগিয়ে দিতে পারবাে, তবেই তা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে, আমরা অমরত্ব লাভ করতে সক্ষম হব।

কার্যক্ষম মন, যুবা শরীর এক অতি প্রাচীন প্রবাদ আছে, 'সুস্থ শরীরেই সুস্থ মনের বাস',তবে এমন অর্থপূর্ণ প্রাচীন প্রবাদ আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করে। এই প্রবাদ থেকে আমার এটা বুঝতে পারি যে, শরীর ও মন দুটোই কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই দুটির সুস্থ থাকা একে অপরের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ একটা কথা খুবই স্পষ্ট, যৌবনকে ধরে রাখার জন্য সর্বদা খােলা মনে বাঁচতে হবে ও মনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আপনার মন যত বেশি দৃঢ় হবে, আপনার মনে তত বেশি উন্মাদনা থাকবে, তাতে করে আপনার ওপর বয়স বৃদ্ধির প্রভাব খুবই কম দেখা যাবে। 

ব্যায়াম করার অর্থ শরীরকে চালনা করা, এই চালনাটুকু না থাকলে আমাদের শরীর ধীরে ধীরে অকেজ হয়ে যায়, এতে করে আমাদের দৃঢ়তা শক্তির উপরেও একটা কুপ্রভাব পড়ে।

ঠিক তেমনি যদি আমরা মানসিক ব্যায়াম না করি তাহলে আমাদের নিউরােলজিক্যাল যন্ত্র ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। 

এতে করে পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনুসারে আমরা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করবে। তাই মস্তিষ্কের ব্যায়াম করাটাও খুবই জরুরি। 

মস্তিষ্ক ও মনের ব্যায়ামও খুবই জরুরি, এমনটাই মনে করেন নিউরােলজিস্ট শলােমাে ব্রেঝনাইট। তিনি মনে করেন, "মস্তিষ্ককে সর্বদা উত্তেজিত ও কার্যক্ষম রাখার জন্য তার ব্যায়াম করাটা খুবই জরুরি।"

স্প্যানিশ টেলিভিশনে একটা সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এডওয়ার্ড পুনসেট বলেছিলেন"কাউর জন্য কোনটা ঠিক বা তার কী করতে ভালাে লাগে তার মধ্যে প্রায়ই দ্বিধা দেখা যায়, যার থেকে সৃষ্টি হয় মানসিক চাপের। সাধারণত কোনও বয়স্ক মানুষ সেটা করতেই ভালােবাসেন যা তিনি আজ পর্যন্ত করে আসছেন। 

আসলে সবক্ষেত্রে তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না। মস্তিষ্কের কাজ করার পদ্ধতিটাই এমন, নতুন কিছু চিন্তা করার বদলে পুরানাে বিষয়কেই বারংবার আওড়াতে পছন্দ করে আমাদের মস্তিষ্ক। আমরা যদি সারাক্ষণ একই ধরনের কাজ করি তাহলে তা আমাদের কাছে অনেক সহজ বলে মনে হয়, যাতে করে তা করতেও আমাদের সুবিধা হয়। 

তবে তাতে করে আমাদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়না, প্রতিদিনকার জীবনেও আমরা কোনও ভাবেই লাভবান হতে পারিনা। তাই বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন জীবনের রুটিং পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনও রকম উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়না। 

কারণ, তিনি সেটা করতেই মজা পান। আপনি যদি এই শৃঙ্খলা ভাঙতে চান তাহলে নিজের মস্তিষ্ককে নতুন নতুন তথ্য প্রদান করতে শুরু করুন। যখনই আপনার মস্তিষ্ক নতুন কোনও তথ্য প্রাপ্ত করে তখনই তা নতুন। সংযােগ গড়ে তােলে এবং পুনর্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই সর্বদা নতুন কিছু নিয়ে আলােচনা করা বা কোনও পরিবর্তনকে মেনে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

প্রথম প্রথম তা আপনার কাছে কঠিন বলে মনে হতে পারে, আপনি মানসিক চাপ বােধ করতে পারেন, তাসত্ত্বেও আপনাকে নিজের আরামের জাল ছিন্ন করে বাইরে বেরাতে হবে। আপনি যদি নিজের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন তাহলে কীভাবে লাভবান হতে পারবেন সেই ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের কাছেও আছে। 

কোলিন্স হেমিংগভে এবং শ্লোমাে ব্রেঝনিটস নিজেদের লেখা পুস্তক 

ম্যাক্সিমাম ব্রেন পাওয়ার - ইকিগাই বাংলা Pdf ❤️ Ikigai Bangla PDF 

চ্যালেঞ্জিং দ্যা ব্রেন ফর হেলথ এণ্ড উইজডম'-এ লিখেছেন মানসিক প্রশিক্ষণের দ্বারা আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্তরে লাভবান হতে পারি। 

তাদের মতে যখনই আপনি কোনও কাজ প্রথমবার করেন তখন তা আপনার কাছে কঠিন বলে মনে হয়। সম্পূর্ণ করতে আপনাকে বহু কষ্ট সহ্য করতে হতে পারে কিন্তু যখন আপনি দ্বিতীয়বার সেই কাজে হাতে দেন তখন আপনার প্রথমবারের অভিজ্ঞতা আপনাকে সাহায্য করে যার ফলে তা অনেকটা সহজ বলে মনে হয়। 

বৃদ্ধ মানুষ চিনবেন কিভাবে?

বৃদ্ধ লোক বেশিরভাগ সময় শান্ত বসে থাকে।

বিশেষ কিছু ঘটনার কারণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। 

প্রকৃত সমস্যার মধ্যে থাকেন। তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা এই সমস্যা তাদের জীবনমরণের মুখােমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

সমস্যার সময় কর্টিসােল ও অড্রেনাইলের বেশি মাত্রার প্রবাহের কারণে শরীরের ক্ষতি করে। রােগকে ডেকে আনতে পারে এমন পরিণাম দেখা যায়।


প্রগতিশীল লোক চিনবেন কিভাবে?

প্রগতিশীল লােক সর্বদা ব্যস্ত ও সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে থাকে। 

সর্বদা অনলাইনে থাকেন, এবং

কখন ফোনে নােটিফিকেশন আসবে।  

অনেক সময় একটা এসএমএস বা

ই-মেলও তাঁদের কাছে সমস্যার সমস্যা প্রকৃত হওয়ার কারণে সঙ্কেত বলে মনে হয়। 

 সমস্যার সময় কর্টিসােল ও অড্রেনাইলের কম মাত্রার প্রবাহ শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে।

আসলে কাজ কিন্তু আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাই তা আমাদের শরীর ও মনের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে, কিন্তু যদি আপনি সময়ের আগেই বুড়াে হতে না চান তাহলে আপনাকে দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে, কীভাবে নিজেকে মানসিক চাপের থেকে দূরে রাখা যায় সেটা দেখতে হবে।

মানসিক চাপ কম করার জন্য আপনাকে সর্বদা সজাগ (মাইন্ডফুল) থাকতে হবে। যে ভয় আপনাকে চেপে ধরেছে তা সত্যি হক বা মিথ্যে, তার থেকে যে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় তা আপনার শরীরে অবশ্যই কু-প্রভাবের সৃষ্টি করবে।


ইকিগাই pdf - ikigai bangla pdf


Ikigai Author: হেক্টর গার্সিয়া, ফান্সিস মিরেলস


ইকিগাই Pdf Size: 5 MB


Total Page: 


File Type: Google Drive Direct 


ikigai bangla pdf copyright © 2021 and Online Publisher: 


Audilua


ইকিগাই Pdf বাংলা অনুবাদ

ইকিগাই বাংলা Pdf পড়ুন নিচে।



তৃতীয় অধ্যায়ের পরের অংশ - ইকিগাই বাংলা Pdf ❤️ Ikigai Bangla PDF in Bengali

এতে করে আমাদের হজম শক্তি তাে কমে যায়ই, সঙ্গে ত্বক ও বিভিন্ন অঙ্গে কু-প্রভাবের সৃষ্টি হয়। তাই সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগেই আমাদের তার সমাধান খুঁজে নিতে হবে। 

অনেকেই তার জন্য মাইন্ডফুল অর্থাৎ সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মানসিক চাপ মুক্ত থাকার জন্য সজাগ থাকাটা খুবই জরুরি।আমরা কোন পরিস্থিতিকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি, তার উপর আমাদের সজাগ থাকার বিষয়টা অনেকটাই নির্ভর করে। এতে করে আমরা বর্তমান নিয়ে বাঁচতে পারি, নিজেদের বিচারগুলিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারি।

কোনও এক সময় অসুস্থতা ও মানসিক চাপ রবাট অলসিবারকে জর্জরিত করে দিয়েছিল, কিন্তু মাইন্ডফুলনেসের সাহায্যে তিনি যে শুধু নিজেকে বাঁচাতে পড়েছিলেন তাই নয়, সেই সঙ্গে সার্টিফাইড ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন। এর জন্য তিনি সবার আগে নিজের ব্যস্ত জীবন শৈলী পরিত্যাগ করেন।

তার মতে, আমরা আমাদের বিচারগুলি নিয়েও বিচার করতে বসি, সেটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যে কারণে আমরা একটা চক্ৰৰূহ্যের মধ্যে আটকে পড়ি। আমাদের এই চক্ৰৰূহ্যের থেকে বাইরে আসার কলা শিখতে হবে।

আমরা এমন বহু লােককে চিনি যারা খাবার খেতে খেতে ফোনে কথা বলে বা টিভি দেখে আপনি যদি এমন কাউকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এখনি যে অমলেটটা খেলেন তাতে পেঁয়াজ ছিল কি? উনি উত্তর দিতে পারবেন না। 

সজাগ থাকার জন্য আপনাকে সবার আগে যে পথটা বেছে নিতে হবে তাহল ধ্যান অর্থাৎ মেডিটেশন।

এই বিশ্ব প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন রকম বার্তা প্রেরণ করে, ধ্যান সেই বার্তা গ্রহণের ব্যাপারে ছাকনির কাজ করে, অর্থাৎ কোন বার্তা আপনার মস্তিষ্ক পর্যন্ত যাওয়া উচিত আর কোনটা না তা ধ্যানের সাহায্যে সহজেই ঠিক করা যেতে পারে। শ্বাসবায়ুর সাথে সম্পর্কিত ব্যায়াম এবং বডি স্ক্যানের মাধ্যমেও আমরা এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারি।

মাইন্ডফুলনেস, অর্থাৎ সজাগ থাকার জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ নেওয়াটা খুবই জরুরি। যদি আমরা সবর্দা মনােযােগ সহকারে এই কাজ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

সামান্য মানসিক চাপ কিন্তু আপনার জন্য ভালাে: অত্যাধিক মানসিক চাপ আপনার শরীর ও দীর্ঘায়ুর ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তা আপনার জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে কিন্তু সামান্য মানসিক চাপ আপনার জন্য খুবই লাভজনক।

ড. হবার্ড এস. ফ্রিডমন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনােবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। প্রায় কুড়ি বছর তিনি মানসিক চাপ নিয়ে বিভিন্ন কাজ করেছেন, মানুষের জীবনের উপর চাপ কতটা প্রভাব বিস্তার করে সেটাই ছিল তার গবেষণার মূল বিষয়। 

তার মতে, মানুষের মধ্যে যদি সামান্য পরিমাণ মানসিক চাপ থাকে তাহলে তা যেকোনও সমস্যার সাথে লড়াই করার শক্তি সরবরাহ করে।এই ধরনের মানুষেরা বহু দিন বাঁচেন এবং একটা সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হন ।এর থেকে একটা বিষয় প্রমাণিত, যারা নিজেদের মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাদের ওপর মানসিক চাপ পজেটিভ প্রভাব সৃষ্টি করে।

এরফলে তাদের জীবন আনন্দে ভরে ওঠে এবং তারা মদ্যপান বা ধূম্রপানের মতাে অভ্যাসের থেকে দূরে থাকে। এই পুস্তকে আপনি এমন কিছু মানুষের সাথে পরিচিত হবেন যাঁরা ১০০ বা ১১০ বছরের দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন তারা কতটা ভালাে জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, সবচেয়ে বড়াে কথা হল তারা একটা কমর্ময় জীবন অতিবাহিত করতে পেরেছেন।

বসে থাকা বয়স বৃদ্ধির কারণ হতে পারে

পশ্চিমের এক স্থানে বসে কাজ করার সংস্কৃতি মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এতে করে উচ্চরক্তচাপ ও স্থূলতার মতাে রােগকে তারা আহ্বান জানাচ্ছে সেই সাথে বয়সের ওপরেও বিশেষ প্রভাবের সৃষ্টি হয়। 

আপনি যদি ঘরে বা বাইরে যেকোনও স্থানে অনেকক্ষণ একই জায়গায় বসে কাজ করেন তাহলে তা আপনার মাংসপেশী গুলিকে দুর্বল করে তােলে। তাতে করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। একই জায়গায় বসে থাকার কারণে হাইপারটেনশন, বদহজম, হৃদরােগ বা হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি একটা গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, যারা একই জায়গায় বসে কাজ করেন তাদের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় কম, এদের শরীরের কার্যক্ষমতা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। 

যাঁরা কোনও অফিস বা কম্পানিতে কাজ করেন শুধুমাত্র তারাই যে এমন সমস্যায় পড়েন তা নয়, সব বয়সের সমস্ত রকম মানুষের ক্ষেত্রেই এমন সমস্যা দেখা যায় কিছু বাচ্চাদের মধ্যেও একই স্থানে বসে থাকার অভ্যাস দেখা যায়, তাদের মােটা হতেও খুব বেশি সময় লাগেনা। 

মােটা হওয়ার এই প্রবণতা পরবর্তীকালে বিভিন্ন রকম রােগকে আমন্ত্রণ জানায়, তাই ছােট বয়সে সক্রিয় জীবন অতিবাহিত করার অভ্যাস করাটা খুবই জরুরি। এক জায়গায় বসে না থাকাটা খুব কঠিন কাজ নয়। আপনি নিজের দৈন্দিন জীবনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এমন সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।

ইকিগাই এর মতে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন 

আপনি যদি নিজেকে ভেতর ও বাইরে সমান ভাবে সক্রিয় রাখতে চান, তাহলে আপনাকে জীবনে খানিকটা পরিবর্তন আনতেই হবে। 

তার জন্য আপনাকে কয়েকটা বিষয়কে নিজের জীবনের অঙ্গ করে তুলতে হবে:

• অফিস যাওয়ার সময় হেঁটে যান। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবেই হােক দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন।

• লিফটের বদলে সিঁড়ির ব্যবহার করুন।এতে করে আপনার মাংসপেশি গুলি দৃঢ় হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়াও ভালাে হয়ে যাবে।

• বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। এতে করে টিভির সামনে বসে আপনি যে ব্যর্থ সময় অতিবাহিত করছেন তার পরিবর্তে আপনার শরীর খানিকটা হাঁটা চলার সুযােগ লাভ করবে। 

• জাঙ্ক ফুডের বদলে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনাকে বারংবার খেতে হবে না, আপনার শরীরও একটা ভালাে খাবার পাবে। 

• সঠিক মাত্রায় ঘুমটা খুবই জরুরি। প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি।কিন্তু তার চেয়ে বেশি সময় ঘুমালে আপনার শরীরকে অলসতা ঘিরে ধরবে। 

• ছােট বাচ্চা বা গৃহপালিত পশুদের সাথে খেলুন বা কোনও সংঘের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার শরীর ভেতর থেকে দৃঢ়তা লাভ করে, সেই সাথে মনেও নতুনশক্তির সঞ্চার ঘটে।সেই সাথে নিজের প্রতিভা বিকশিত হয়। 

• আপনি প্রতিদিন যে কাজ গুলি করেন, সেই বিষয়ে অবশ্যই সজাগ থাকবেন। কী কারণে আপনার শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেই কারণের সন্ধান করে তা বর্জন করুন, তার পরিবর্তে সুঅভ্যাস গড়ে তােলার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনে ছােট ছােট পরিবর্তন আনতে পারেন, তাতে করে আপনার শরীর ও মন দুইই সতেজ হয়ে ওঠে।আর সেই সাথে আপনি দীর্ঘ জীবনের বীজ বপন করতে সক্ষম হবেন।

  1. Ikigay pdf Bangla book
  2. Ikigay bangla book pdf
  3. Ikigay pdf Bangla books

Ikigai bangla pdf - ইকিগাই বাংলা pdf বাকি অংশগুলো পড়তে পাঠককে বইটি কেনার জন্য উৎসাহিত করা হলো।

Read More: Sophir Jogot Pdf Bangla

Tags

Post a Comment

0Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !