শুদ্ধাচার by মহাজাতক | Shuddhachar PDF

0

    শুদ্ধাচার Pdf

    ধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে শুদ্ধাচার আর অধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে দুরাচার। আপনার আচারই বলে দেবে আপনি ধার্মিক, না অধার্মিক। আসলে ধার্মিক যেমন দুরাচারী হতে পারে না, তেমনি দুরাচারীও কখনাে ধার্মিক বলে গণ্য হতে পারে না।

    শুদ্ধাচারী হতে হলে প্রথম প্রয়ােজন ব্যক্তির আচার-আচরণে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। বর্তমান বইয়ের সংকলনে এ ধারণাগুলােই দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে—সুস্পষ্টভাবে, সাবলীল ভাষায়। এগুলাে আন্তরিকতার সাথে। যিনিই অনুসরণের চেষ্টা করবেন, নিঃসন্দেহে তিনি হয়ে উঠবেন পরিশীলিত ভালাে মানুষ। তিনিই হয়ে উঠবেন শুদ্ধাচারী। পরিবার থেকেই শুরু হােক। শুদ্ধাচার বইটির চর্চা ছড়িয়ে পড়ুক সমাজে।

    Shuddhachar pdf

    শুদ্ধাচার ভালাে মানুষের ভূষণ। শুদ্ধাচারী মানুষই ভালাে মানুষ। আসলে যা-কিছু ভালাে, যা-কিছু কল্যাণকর তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু মন্দ, যা-কিছু অকল্যাণকর তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু সত্য, সুন্দর ও শুভ তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অসত্য, পঙ্কিল ও অশুভ তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু ন্যায় ও মানবিক তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অন্যায়, জুলুম ও অমানবিক তা-ই অশুদ্ধ। যা শুদ্ধ ও কল্যাণকর তা-ই ধর্ম আর যা অশুদ্ধ ও অকল্যাণকর তা-ই অধর্ম। ধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে শুদ্ধাচার আর অধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে দুরাচার। আপনার আচারই বলে দেবে আপনি ধার্মিক, না অধার্মিক। আসলে ধার্মিক যেমন দুরাচারী হতে পারে না, তেমনি দুরাচারীও কখনাে ধার্মিক বলে গণ্য হতে পারে না।

    আসুন শুদ্ধাচার হই

    শুদ্ধাচারী হতে হলে, ধার্মিক হতে হলে আপনাকে জানতে হবে ভালাে-মন্দ সম্পর্কে, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে। নৈতিকতার কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিতে হবে প্রতিটি কথা ও কাজকে। আর নৈতিকতার কষ্টিপাথরে আচার-আচরণ বিশ্লেষণ করে করণীয়-বর্জনীয়গুলােকে সহজ ভাষায় লিপিবদ্ধ ও তা সবার কাছে পৌছে দেয়ার কাজটিই কোয়ান্টাম করছে গত সিকি শতাব্দী ধরে। নৈতিক সচেতনতা সৃষ্টির এই অবিরাম প্রয়াসের ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে মােট ১১ পর্বে পকেট ফোল্ডার আকারে প্রকাশ করে ‘শিষ্টাচার কণিকা'। তারপর একযুগেরও বেশি সময় ধরে পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের ফসল হচ্ছে বর্তমান সংকলন 'শুদ্ধাচার'।
    integrity pdf

    সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’কে আমরা অভিনন্দন জানাই। স্বাভাবিকভাবেই শুদ্ধাচারী জাতি নির্মাণে শুদ্ধাচারের চর্চা শুরু হতে হবে পরিবার থেকে। কারণ ব্যক্তির শুদ্ধাচার চর্চার লালনভূমি তার পরিবার। পরিবারে শুদ্ধাচারের চর্চা থাকতেই হবে।

    শুদ্ধাচার পরিচিত

    Book Publisher Author  F Size
    শুদ্ধাচার কোয়ান্টাম প্রকাশনা মহাজাতক ৫ মেগাবাইট
    Bookshop Price Language  T Page
    Durdin Magazine Only 340 Taka Bangla 176

    শুদ্ধাচার Pdf মহাজাতক

    এই চর্চায় শুদ্ধাচার শুরু হলে তা ছড়িয়ে পড়বে চারপাশে, সমাজে। তার প্রভাব পড়বে জাতীয় জীবনে। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজ শুদ্ধাচারী হলেই দুর্নীতি ও অনাচারমুক্ত স্বপ্নের সােনার বাংলা গড়ে উঠবে। সম্পদের সুষম বণ্টন হবে। সাধারণ মানুষ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে লাভবান হবে।

    দৈনন্দিন জীবনে শুদ্ধাচার

    সামাজিক মুখােশ নয়, অন্তর্গত শক্তিই হচ্ছে। আপনার সত্যিকার ব্যক্তিত্ব। আর অন্তর্গত শক্তির উৎস হচ্ছে সঠিক জীবনদৃষ্টি। সঠিক জীবনদৃষ্টির প্রকাশ ঘটে সুন্দর কথােপকথন, সদাচরণ আর রুচিসম্মত পােশাক ও প্রসাধনে।
    শুদ্ধাচারের এ পর্বে সঠিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশে দৈনন্দিন আচরণ কেমন হওয়া উচিত তার কিছু উদাহরণ দেয়া হলাে। এর আলােকে আপনার আচরণকে পরিশীলিত করুন। চৌকস মানুষ হিসেবে চারপাশের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হােন।

    Shuddachar Pdf by Mohajatok

    যে শুদ্ধাচার নিয়ম মানতে হবে:

    বিপদে-আপদে প্রতিবেশীর প্রয়ােজনে এগিয়ে আসুন, সান্ত্বনা দিন। প্রতিবেশীর কল্যাণে আপনাকে যদি কিছু ছাড়ও দিতে হয়, অম্লান বদনে তা করুন। প্রাকৃতিক নিয়মেই দানের উত্তম প্রতিদান আপনি পাবেন।

    সচেতনভাবে শুদ্ধাচার বিরোধী এই ১২ টি কাজ করা থেকে বিরত থাকুন:

    ১. জানালা/ খােলা দরজার সামনে দিয়ে চলাফেরার সময় উঁকি দেয়া।

    ২. প্রতিবেশীর বাসার সামনে ময়লা ফেলা।

    ৩. উচ্চশব্দে গান বাজানাে ও টিভি দেখা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়

    ৪. হইহল্লা করে প্রতিবেশীর ঘুম বা বিশ্রামের ক্ষতি করা।

    ৫. প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া।

    ৬. প্রতিবেশীর ফসলের ক্ষতি করা কিংবা প্রতিবেশীর পশু এসে কিছু নষ্ট করেছে বলে পশুটিকে আঘাত করা। 

    ৭. প্রতিবেশীকে গালমন্দ করা।

    ৮. নিজের বাড়ির/ জমির সীমানা পিলার, দেয়াল, জানালা, সিঁড়ি

    ৯. প্রতিবেশীর জমিতে বাড়িয়ে দেয়া।

    ১০. প্রতিবেশীর কাছ থেকে যখন-তখন টাকা বা বিভিন্ন দ্রব্যাদি ধার নেয়া।

    ১১. অন্যের কাছ থেকে যে ব্যবহার প্রত্যাশা করেন,

    ১২. আগে নিজে সে আচরণ করুন।

    মহাজাতক Pdf

    পবিত্র ধর্মবাণীতে শুদ্ধাচার সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

    সকল ধর্মের মূল শিক্ষাই এক। সকল ধর্ম একই উৎস থেকে উৎসারিত। ধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে—এক স্রষ্টার উপাসনা করাে। সবার সাথে সদাচরণ করাে। আর সৃষ্টির সেবা করাে। তাহলেই তুমি পরিত্রাণ পাবে।
    প্রতিটি ধর্ম বলে তুমি এসেছ স্রষ্টার কাছ থেকে। কিছুকাল পৃথিবীতে থাকবে। আবার তার কাছেই ফিরে যাবে। পৃথিবী হচ্ছে কর্মস্থল। যেমন কাজ করবে, তার ফল তুমি পাবে।

    শুদ্ধাচারের এ পর্বে সুন্দর আচরণ ও সুবচনের গুরুত্ব নিয়ে পবিত্র ধর্মবাণীর কিছু নির্দেশনা বিন্যস্ত করা হয়েছে সময়কাল অনুসারে। বেদ, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, ধম্মপদ, বাইবেল এবং কোরআন ও হাদীসের মূল সুরের ঐক্য আপনাকে করবে মুগ্ধ ও বিস্মিত।

    শুদ্ধাচার পিডিএফ 

    ঘরোয়া পরিবেশে শুদ্ধাচার কিভাবে হবেন?

    ঘরােয়া পরিবেশে প্রতিবেশী, অধস্তন ও গৃহকর্মীর সাথে আচরণ একজন মানুষের জীবনবােধের পরিচায়ক। সেইসাথে সুখী-সুন্দর নীড়ের অন্যতম শর্ত পরিচ্ছন্নতা ও রুচিশীলতা। ব্যক্তিত্বের এ দিকগুলাে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায় ঘরােয়া পরিবেশে। এ পর্বে রয়েছে ঘরােয়া পরিবেশে সহজে পালনীয় কিছু শুদ্ধাচার, যা আপনার জীবনকে করে তুলবে আনন্দঘন ও প্রশান্তিময়।

    ঘরোয়া পরিবেশে শুদ্ধাচার হওয়ার নিয়ম

    যে ১০ টি কাজের মাধ্যমে গৃহকর্মী/ অধীনস্থদের সঙ্গে যেভাবে ভাল আচরণ করবেন—

    ১. ভালােভাবে খোঁজখবর না নিয়ে কখনাে গৃহকর্মী নিয়ােগ করবেন না।

    ২. গৃহকর্মী/ অধীনস্থের ওপর অতিরিক্ত কাজের বােঝা চাপাবেন না।

    ৩. তার কাজের তালিকায় প্রাধান্য ঠিক করে দিন। আপনার সাধ্যমতাে গৃহকর্মীদের উত্তম পােশাক প্রদান করুন।

    ৪. কোথাও সাথে করে নিয়ে গেলে পরিচয় করিয়ে দিতে কাজের মেয়ে/ ছেলে, কাজের বুয়া/ বেটি’ না বলে বলুন গৃহকর্মী বা গৃহ-সহকারী।

    ৫. অন্য বাসার গৃহকর্মীকে প্ররােচিত করে নিজের বাসায় নিয়ােগ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

    ৬. কোনাে বাসায় বেড়াতে গিয়ে সে বাসার গৃহকর্মীকে বখশিশ/ সম্মানী দিতে চাইলে মেজবানের মাধ্যমে/ সামনে দিন।

    ৭. বিশ্বস্ত হলেও সবক্ষেত্রে তার ওপর নির্ভরশীল হবেন না। আলমারির চাবি বা মূল্যবান জিনিস তার কাছে গচ্ছিত রাখবেন না। 

    ৮. তার সামনে টাকাপয়সা গুনবেন না, স্বর্ণালঙ্কার নাড়াচাড়া করবেন না। এগুলাে তার মনে বঞ্চনার
    বেদনা বা লােভ সৃষ্টি করতে পারে।

    ৯. ধর্মীয় উৎসবে, সামাজিক পার্বণে, পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিজেরা কিছু কিনলে তাকেও সাধ্যমতাে উপহার দিন।

    ১০. আপনার সময়, সুযােগ ও সাধ্যমতাে তার কাজে সহযােগিতা করুন।

    মহাজাতক এর বই

    প্রতিবেশীদের সাথে শুদ্ধাচার করার আটটি নিয়ম: 

    ৮. প্রতিবেশীর আনন্দে শরিক হােন। তার সাথে মমতার বন্ধন গড়ে তুলুন। আবার সম্পর্কের সীমা বজায় রাখুন।

    পাশাপাশি অবস্থানের কারণে পরস্পরের দোষগুণ সহজে জানা হয়ে যায়। এ-ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর দোষগুলাে বলে বেড়ানাে থেকে বিরত থাকুন।

    ১০. প্রতিবেশীর বিপদে যথাসাধ্য পাশে দাঁড়ান। কেউ তার ক্ষতি করতে চাইলে যথাসম্ভব প্রতিহত করুন। কেননা প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে
    তা আপনার ঘরকেও ছারখার করে দিতে পারে।

    ১১. অসুস্থ হলে দেখতে যান। পথ্য, শুশ্রুষাসহ যে সেবা তার প্রয়ােজন তা সাধ্যমতাে তাকে দিন।

    ১২. প্রতিবেশীর কোনাে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন। অবশ্য যদি বেআইনি ও সন্দেহজনক কিছু দৃষ্টিগােচর হয়, তাহলে আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাকে জানান।

    ১৩. তার মন্দ আচরণের জবাবে আপনি সবসময় ভালাে আচরণ করুন।

    ১৪. নিত্যপ্রয়ােজনীয় ছােটখাটো সাহায্য-সহযােগিতায় কখনাে বিরক্ত হবেন না।

    ১৫.নিজের বাড়ি বা জমি বিক্রি করার আগে প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন তিনি কিনতে আগ্রহী কিনা। আগ্রহী হলে ন্যায্য দামে কেনার সুযােগ দিন।

    ১৬. প্রতিবেশী কেউ মৃত্যুবরণ করলে সৎকার/ কাফন-দাফনের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। জানাজায় অংশ নিন।

    Shuddachar by Mohajatok

    শুদ্ধাচার হতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বর্জনীয় যে কাজ: 

    হীরের অলংকার উপহার দেয়া। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হীরা অশুভ।
    কার্ড ছাপানাের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ।
    ফোন করে বা মুখে বলার পরও কার্ড না পাওয়ায় দাওয়াত বর্জন করা।
    আভিজাত্য প্রকাশে বিলাসবহুল কমিউনিটি সেন্টার/ হােটেল ভাড়া করা।
    অন্যপক্ষকে নাজেহাল করার জন্যে লবণ ছাড়া রেজালা/ অতিরিক্ত লবণসহ
    পােলাও/ খেতে পারবেন না এমন কিছু পরিবেশন করা।
    খাবারের মেন্যুর প্রতিযােগিতা করা। খাওয়ার দৃশ্য ভিডিও করা।
    বাসর রাতের জন্যে হােটেল রুম ভাড়া করা।
    শুধু বিয়ের দিনের জন্যে দামি পােশাক কেনা যা আর কখনাে পরা হয় না।
    অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টি।
    গেট ধরা, বরের হাত ধােয়ানাে, জুতাে লুকিয়ে টাকা দাবি করা।
    কনেপক্ষকে অপ্রস্তুত করতে তাদের তৈজসপত্র/ খাবার লুকিয়ে রাখা।
    অতিথি বরণ করতে গিয়ে রং মেশানাে পানি ঢেলে দেয়া।
    শরবত/ পানি খেতে গেলে মাথায় চাটি মারা।
    ঘরে বধূ বরণের আগে দুধে পা ডােবানাে, আয়নায় মুখ দেখা, অনেকগুলাে মিষ্টি খাওয়া, গভীর রাতে আতশবাজি ফোটানাে।

    শুদ্ধাচার - মহাজাতক

    বিয়ের অনুষ্ঠানে একজন শুদ্ধাচার যেভাবে প্রার্থনা করেন: 

    বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রার্থনা

    হে মহামহান স্রষ্টা! তুমি সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছ। হে মহামিলনের মালিক! নবদম্পতির বন্ধনকে তুমি আনন্দময় স্থায়ী আত্মিক মিলনে রূপান্তরিত করাে। তাদের পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত ও সমমর্মী থাকার তওফিক দান করাে। 
    উভয় পরিবারের মধ্যে গভীর হৃদ্যতা সৃষ্টি করাে। তাদের মানবীয় গুণাবলিতে প্রােজ্জ্বল মেধাবী সন্তান দান করাে। তাদের পরিবারকে সমৃদ্ধ ও সৃষ্টির সেবায় নিবেদিত পরিবারে রূপান্তরিত করাে। আমিন!

    নারী পুরুষের অর্ধেক নয়, নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক।

    শুদ্ধাচার বই মহাজাতক

    প্রসঙ্গ : শিক্ষা

    ভালাে রেজাল্ট, ভালাে ছাত্র, ভালাে মানুষ। একজন সফল শিক্ষার্থীর এটাই বিশেষত্ব। সে শুধু ক্লাসে ১ম নয়, জীবনেও হবে ১ম। জীবনে ১ম হওয়ার অন্যতম গুণ সদাচার-শুদ্ধাচার। শুদ্ধাচার কণিকার এ পর্বে জীবনে ১ম হওয়ার হাতেখড়ি হিসেবে ক্লাসে, হােস্টেলে, শিক্ষক ও সহপাঠীর সঙ্গে সঠিক আচরণের কিছু সহজ নীতিমালা তুলে ধরেছে শুদ্ধাচার পিডিএফ।

    শুদ্ধাচার by মহাজাতক | Shuddhachar PDF

    প্রসঙ্গ : ফোনালাপ

    মোবাইল ফোনে ফোনালাপ এখন দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি। ফোনে আপনার কথা বলার ধরন অপরপ্রান্তের শ্রোতার মনে আপনার বিমূর্ত ছবি দাঁড় করিয়ে দেয়। আপনার সম্পর্কে এই প্রাথমিক ধারণা শ্রোতার। মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সচেতন হােন—কোথায় কখন কাকে কী বলছেন, কীভাবে বলছেন।

    এ পর্বে ফোনের ব্যবহার/ ফোনালাপ প্রসঙ্গে কিছু শুদ্ধাচার নিয়েই আলােকপাত করা হয়েছে।

    Shuddachar Pdf Free


    View Now


    জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল

    রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, সমতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই রাষ্ট্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য কৌশল হল সমাজ ও রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা এবং দেশে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা।

    দীর্ঘ স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ উল্লিখিত মহান আদর্শকে রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে স্থির করেছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ’ রাষ্ট্রপরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং ‘অনুপার্জিত আয়’কে সর্বতােভাবে বারিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে। এই নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। সরকার অব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরই সুসমন্বিত উদ্যোগ হিসাবে ‘সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শিরােনামে এই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “নেশন মাস্ট বি ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট করাপশন। পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজ করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না|” 

    দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বহুবিধ আইন, বিধি-বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আরও কিছু নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এবং এগুলির ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতির উন্নয়ন সাধন করেছে। কিন্তু দুর্নীতিকে কেবল আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয়, উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তােলা। এই কৌশলপত্রটিতে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পদ্ধতিগত সংস্কার, তাদের কৃত্য, কৃতি এবং দক্ষতার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি একটি সমন্বিত ও সংঘবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শুদ্ধাচারকে একটি আন্দোলন হিসাবে গড়ে তােলার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।

    Integrity Pdf : শুদ্ধাচার by মহাজাতক | Shuddhachar PDF

    জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান দলিলপত্র পর্যালােচনা করা হয়েছে; সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও নাগরিকগােষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শসভা আয়ােজনের মাধ্যমে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে; মাননীয় সংসদ সদস্য ও অন্যান্য অংশীজনের অভিমত গ্রহণ করা হয়েছে। জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়া কৌশলপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। কৌশলপত্রটি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লিখিত মতামতও গ্রহণ করা হয়েছে। খসড়াটি পর্যালােচনার জন্য মন্ত্রিসভা কর্তৃক মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কয়েকটি সভায় মিলিত হয়ে দলিলটির কাঠামাে ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেসব মতামত ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেগুলির আলােক সার্বিকভাবে এই দলিলটি বিন্যস্ত করা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা-বৈঠকে কৌশলপত্রটি চূড়ান্তভাবে অনুমােদিত হয়।

    Integrity pdf 

    এই দলিলটি প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে এবং এর খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা কর্তৃক গঠিত কমিটির সকল সম্মানিত সদস্যকে তাদের উপদেশ ও নির্দেশনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে মূল্যবান দিক্-নির্দেশনা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দলিলটি পর্যালােচনান্তে অনুমােদনের জন্য মন্ত্রিসভার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ এই দলিলে বিধৃত কার্যাবলিতে যুক্ত হয়ে শুদ্ধাচারকে একটি আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলবেন এবং তাতে উৎকর্ষ আনয়ন করবেন।

    — মােহাম্মদ মােশাররাফ হােসাইন ভূইঞা
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

    সূচিপত্র

    নির্বাহী সারসংক্ষেপ

    অধ্যায় ১:
    • শুদ্ধাচারের ধারণা
    • শুদ্ধাচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আইনকানুন ও নিয়মনীতি এবং গৃহীত পদক্ষেপ
    • জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের যৌক্তিক ভিত্তি 
    • জাতীয় শুদ্ধাচার ব্যবস্থা 
    • রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য

    অধ্যায় ২: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল - রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান 
    • ২.১ নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসন 
    • ২.২ জাতীয় সংসদ 
    • ২.৩ বিচার বিভাগ। 
    • ২.৪ নির্বাচন কমিশন। 
    • ২.৫ অ্যাটর্নি জেনারেল 
    • ২.৬ সরকারি কর্ম কমিশন 
    • ২.৭ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক 
    • ২.৮ ন্যায়পাল 
    • ২.৯ দুর্নীতি দমন কমিশন 
    • ২.১০ স্থানীয় সরকার

    অধ্যায় ৩: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল – 
    অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান 

    • ৩.১ রাজনৈতিক দল। 
    • ৩.২ বেসরকারি খাতের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান 
    • ৩.৩ এনজিও ও সুশীল সমাজ 
    • ৩.৪ পরিবার 
    • ৩.৫ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান 
    • ৩.৬ গণমাধ্যম অধ্যায় 
    • ৪: বাস্তবায়ন ও উপসংহার 
    • ৪.১ বাস্তবায়ন ব্যবস্থা 
    • ৪.২ পরিবীক্ষণ ও পর্যালােচনা 
    • ৪.৩ উপসংহার।

    অধ্যায় ১ 
    পটভূমি

    ভূমিকা: 

    বাংলাদেশ একটি উদীয়মান, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, স্বল্পােন্নত রাষ্ট্র। এই জাতির লক্ষ্য ‘রূপকল্প ২০২১'-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী এক দশকে দেশটিতে ক্ষুধা, বেকারত্ব, অশিক্ষা, বঞ্চনা ও দারিদ্র্য থাকবে না; দেশে বিরাজ করবে শান্তি, সুখ, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি। সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শােষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা হবে ‘যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।

    (খ) রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ জনগণের মঙ্গল এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র উচ্চাদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে ‘জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘের সনদ মেনে চলার’ প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে। ন্যায়ভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল মানবসত্তার সেই মর্যাদা এবং মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ নিশ্চিত করা সম্ভব। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সর্বজনীন এসব আদর্শের বাস্তবায়ন এবং সেইসঙ্গে সাংবিধানিক মৌলনীতি পালনে ন্যায়পরায়ণ, দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট আছে। 

    নির্বাচনে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষমতাবান লােকদের বছরওয়ারী সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। ঘুষ, বলপ্রয়ােগের মাধ্যমে অর্থ আদায়, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি দূর করার জন্য কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা অনুপার্জিত ও কালাে টাকার মালিক, যারা ব্যাংকের ঋণখেলাপি, টেন্ডারবাজ এবং রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে পেশিশক্তি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একাধিপত্য ভেঙ্গে দেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও অনুরূপ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে।

    শুদ্ধাচারের ধারণা

    শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উত্তৰ্ষ বােঝায়। এর দ্বারা একটি সমাজের কালােত্তীর্ণ মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বােঝানাে হয়। 

    ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলটিতেও শুদ্ধাচারের এই অর্থকেই গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যক্তির সমষ্টিতেই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয় এবং তাদের সম্মিলিত লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিফলিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; সমন্বিত রূপ হিসাবে প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার অনুশীলনও জরুরি। রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি ও দর্শন এমনভাবে প্রণীত ও অনুসৃত হওয়া প্রয়ােজন যাতে এগুলি শুদ্ধাচারী জীবন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়। 

    বাংলাদেশের সমাজ বিভিন্ন খাত, যথা রাষ্ট্র, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজে বিভিন্ন আইনকানুন, নিয়মনীতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পালন ও লালন করে শুদ্ধাচার অনুশীলন করে চলেছে এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী তাতে সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করছে। 

    Shuddachar by Mohajatok

    ১.৩ শুদ্ধাচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আইনকানুন ও নিয়মনীতি এবং গৃহীত পদক্ষেপ:

    (ক) বাংলাদেশের সংবিধানের চেতনা নির্দেশ করে যে, বাংলাদেশ হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শুদ্ধাচারী সমাজ; এর নাগরিকবৃন্দ, পরিবার, রাষ্ট্রীয় ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজও হবে দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী। ব্যক্তিমানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণ এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের আইনকানুন ও বিধিবিধান প্রণীত হয়েছে এবং অনুসৃত হচ্ছে। ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে গৃহীত আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনায় কতিপয় মূলনীতি নির্ধারিত হয়। 

    সেই অনুযায়ী আমাদের প্রত্যয় হল:

    ১. মানুষের উপর মানুষের শােষণ থেকে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিতকরণ (১০ অনুচ্ছেদ); 

    ২. মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ (১১ অনুচ্ছেদ); 

    ৩. মানব সত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ নিশ্চিতকরণ (১১ অনুচ্ছেদ); 

    ৪. সকল নাগরিকের জন্য সুযােগের সমতা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ); 

    ৫. নাগরিকের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন ও সুষম সুযােগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ); 

    ৬. জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযােগের সমতা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ); 

    ৭. প্রত্যেকের যােগ্যতা বিবেচনা করে কর্মানুযায়ী পারিশ্রমিক নিশ্চিতকরণ (২০ অনুচ্ছেদ);

    ৮. কোন ব্যক্তিকে অনুপার্জিত আয় ভােগ থেকে অসমর্থকরণ (২০ অনুচ্ছেদ)। 

    এই সূত্রে রাষ্ট্র ও সমাজে কার্যকরভাবে ন্যায় ও সততা প্রতিষ্ঠা এবং সফলতার সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরােধ এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের একটি মূল নীতি। 


    (খ) যে কোনও ধরনের ক্ষমতা প্রয়ােগ কিংবা সুযােগ ব্যবহারের উদ্যোগে দুর্নীতি সংঘটিত হতে পারে। সেজন্য দুর্নীতি প্রতিরােধের বিধান সুদূর অতীত থেকেই চালু রয়েছে। ১৮৬০ সালের Penal Code-এ দুর্নীতি প্রতিরােধের বিধান রয়েছে। 

    শুদ্ধাচার বাকি নিয়মনীতি পিডিএফ বইয়ে পড়ুন।
    Tags

    Post a Comment

    0Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
    Post a Comment (0)

    #buttons=(Accept !) #days=(20)

    Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
    Accept !