View Now
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল
রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, সমতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই রাষ্ট্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য কৌশল হল সমাজ ও রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা এবং দেশে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা।
দীর্ঘ স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ উল্লিখিত মহান আদর্শকে রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে স্থির করেছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ’ রাষ্ট্রপরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং ‘অনুপার্জিত আয়’কে সর্বতােভাবে বারিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে। এই নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। সরকার অব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরই সুসমন্বিত উদ্যোগ হিসাবে ‘সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শিরােনামে এই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “নেশন মাস্ট বি ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট করাপশন। পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজ করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না|”
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বহুবিধ আইন, বিধি-বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আরও কিছু নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এবং এগুলির ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতির উন্নয়ন সাধন করেছে। কিন্তু দুর্নীতিকে কেবল আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয়, উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তােলা। এই কৌশলপত্রটিতে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পদ্ধতিগত সংস্কার, তাদের কৃত্য, কৃতি এবং দক্ষতার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি একটি সমন্বিত ও সংঘবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শুদ্ধাচারকে একটি আন্দোলন হিসাবে গড়ে তােলার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান দলিলপত্র পর্যালােচনা করা হয়েছে; সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও নাগরিকগােষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শসভা আয়ােজনের মাধ্যমে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে; মাননীয় সংসদ সদস্য ও অন্যান্য অংশীজনের অভিমত গ্রহণ করা হয়েছে। জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়া কৌশলপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। কৌশলপত্রটি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লিখিত মতামতও গ্রহণ করা হয়েছে। খসড়াটি পর্যালােচনার জন্য মন্ত্রিসভা কর্তৃক মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কয়েকটি সভায় মিলিত হয়ে দলিলটির কাঠামাে ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেসব মতামত ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেগুলির আলােক সার্বিকভাবে এই দলিলটি বিন্যস্ত করা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা-বৈঠকে কৌশলপত্রটি চূড়ান্তভাবে অনুমােদিত হয়।
Integrity pdf
এই দলিলটি প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে এবং এর খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা কর্তৃক গঠিত কমিটির সকল সম্মানিত সদস্যকে তাদের উপদেশ ও নির্দেশনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে মূল্যবান দিক্-নির্দেশনা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দলিলটি পর্যালােচনান্তে অনুমােদনের জন্য মন্ত্রিসভার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ এই দলিলে বিধৃত কার্যাবলিতে যুক্ত হয়ে শুদ্ধাচারকে একটি আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলবেন এবং তাতে উৎকর্ষ আনয়ন করবেন।
— মােহাম্মদ মােশাররাফ হােসাইন ভূইঞা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সূচিপত্র
নির্বাহী সারসংক্ষেপ
অধ্যায় ১:
- শুদ্ধাচারের ধারণা
- শুদ্ধাচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আইনকানুন ও নিয়মনীতি এবং গৃহীত পদক্ষেপ
- জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের যৌক্তিক ভিত্তি
- জাতীয় শুদ্ধাচার ব্যবস্থা
- রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য
অধ্যায় ২: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল - রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান
- ২.১ নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসন
- ২.২ জাতীয় সংসদ
- ২.৩ বিচার বিভাগ।
- ২.৪ নির্বাচন কমিশন।
- ২.৫ অ্যাটর্নি জেনারেল
- ২.৬ সরকারি কর্ম কমিশন
- ২.৭ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
- ২.৮ ন্যায়পাল
- ২.৯ দুর্নীতি দমন কমিশন
- ২.১০ স্থানীয় সরকার
অধ্যায় ৩: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল –
অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান
- ৩.১ রাজনৈতিক দল।
- ৩.২ বেসরকারি খাতের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
- ৩.৩ এনজিও ও সুশীল সমাজ
- ৩.৪ পরিবার
- ৩.৫ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
- ৩.৬ গণমাধ্যম অধ্যায়
- ৪: বাস্তবায়ন ও উপসংহার
- ৪.১ বাস্তবায়ন ব্যবস্থা
- ৪.২ পরিবীক্ষণ ও পর্যালােচনা
- ৪.৩ উপসংহার।
অধ্যায় ১
পটভূমি
ভূমিকা:
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, স্বল্পােন্নত রাষ্ট্র। এই জাতির লক্ষ্য ‘রূপকল্প ২০২১'-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী এক দশকে দেশটিতে ক্ষুধা, বেকারত্ব, অশিক্ষা, বঞ্চনা ও দারিদ্র্য থাকবে না; দেশে বিরাজ করবে শান্তি, সুখ, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি। সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শােষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা হবে ‘যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।
(খ) রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ জনগণের মঙ্গল এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র উচ্চাদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে ‘জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘের সনদ মেনে চলার’ প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে। ন্যায়ভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল মানবসত্তার সেই মর্যাদা এবং মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ নিশ্চিত করা সম্ভব। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সর্বজনীন এসব আদর্শের বাস্তবায়ন এবং সেইসঙ্গে সাংবিধানিক মৌলনীতি পালনে ন্যায়পরায়ণ, দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট আছে।
নির্বাচনে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষমতাবান লােকদের বছরওয়ারী সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। ঘুষ, বলপ্রয়ােগের মাধ্যমে অর্থ আদায়, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি দূর করার জন্য কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা অনুপার্জিত ও কালাে টাকার মালিক, যারা ব্যাংকের ঋণখেলাপি, টেন্ডারবাজ এবং রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে পেশিশক্তি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একাধিপত্য ভেঙ্গে দেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও অনুরূপ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে।
শুদ্ধাচারের ধারণা
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উত্তৰ্ষ বােঝায়। এর দ্বারা একটি সমাজের কালােত্তীর্ণ মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বােঝানাে হয়।
ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলটিতেও শুদ্ধাচারের এই অর্থকেই গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যক্তির সমষ্টিতেই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয় এবং তাদের সম্মিলিত লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিফলিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; সমন্বিত রূপ হিসাবে প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার অনুশীলনও জরুরি। রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি ও দর্শন এমনভাবে প্রণীত ও অনুসৃত হওয়া প্রয়ােজন যাতে এগুলি শুদ্ধাচারী জীবন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।
বাংলাদেশের সমাজ বিভিন্ন খাত, যথা রাষ্ট্র, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজে বিভিন্ন আইনকানুন, নিয়মনীতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পালন ও লালন করে শুদ্ধাচার অনুশীলন করে চলেছে এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী তাতে সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করছে।
Shuddachar by Mohajatok
১.৩ শুদ্ধাচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আইনকানুন ও নিয়মনীতি এবং গৃহীত পদক্ষেপ:
(ক) বাংলাদেশের সংবিধানের চেতনা নির্দেশ করে যে, বাংলাদেশ হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শুদ্ধাচারী সমাজ; এর নাগরিকবৃন্দ, পরিবার, রাষ্ট্রীয় ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজও হবে দুর্নীতিমুক্ত ও শুদ্ধাচারী। ব্যক্তিমানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণ এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের আইনকানুন ও বিধিবিধান প্রণীত হয়েছে এবং অনুসৃত হচ্ছে। ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে গৃহীত আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনায় কতিপয় মূলনীতি নির্ধারিত হয়।
সেই অনুযায়ী আমাদের প্রত্যয় হল:
১. মানুষের উপর মানুষের শােষণ থেকে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিতকরণ (১০ অনুচ্ছেদ);
২. মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ (১১ অনুচ্ছেদ);
৩. মানব সত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ নিশ্চিতকরণ (১১ অনুচ্ছেদ);
৪. সকল নাগরিকের জন্য সুযােগের সমতা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ);
৫. নাগরিকের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন ও সুষম সুযােগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ);
৬. জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযােগের সমতা নিশ্চিতকরণ (১৯ অনুচ্ছেদ);
৭. প্রত্যেকের যােগ্যতা বিবেচনা করে কর্মানুযায়ী পারিশ্রমিক নিশ্চিতকরণ (২০ অনুচ্ছেদ);
৮. কোন ব্যক্তিকে অনুপার্জিত আয় ভােগ থেকে অসমর্থকরণ (২০ অনুচ্ছেদ)।
এই সূত্রে রাষ্ট্র ও সমাজে কার্যকরভাবে ন্যায় ও সততা প্রতিষ্ঠা এবং সফলতার সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরােধ এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের একটি মূল নীতি।
(খ) যে কোনও ধরনের ক্ষমতা প্রয়ােগ কিংবা সুযােগ ব্যবহারের উদ্যোগে দুর্নীতি সংঘটিত হতে পারে। সেজন্য দুর্নীতি প্রতিরােধের বিধান সুদূর অতীত থেকেই চালু রয়েছে। ১৮৬০ সালের Penal Code-এ দুর্নীতি প্রতিরােধের বিধান রয়েছে।
শুদ্ধাচার বাকি নিয়মনীতি পিডিএফ বইয়ে পড়ুন।