The Years of Rice and Salt Bangla Pdf : দ্য ইয়ারস অফ রাইস এন্ড সল্ট

0

    The years of rice and salt bangla pdf বইটিতে ৭০০ বছর পূর্বে ইউরোপ না থাকলে ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্ম কিভাবে পৃথিবীর প্রধান ধর্মে পরিণত হতো তা উপন্যাসের আকারে কিম স্ট্যাংলি রবিনসন কল্পনা করেছেন। আমরা জানি কালো মৃত্যু নামে পরিচিত প্লেগ রোগে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। 

    লেখক কল্পনা করেছেন যদি ইউরোপের ৯৯% মানুষ এই প্লেগ রোগে মারা যেতো, তবে কোন জাতির লোকজন বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষমতার অধিকারী হতো? 

    এই ক্ষমতাগুলো অর্জনের জন্য কি ধরণের লড়াই লড়তে হতো তাও এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।

    একটি রূপক অর্থে এই বইটির শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বইটিতে কিভাবে বছরের পর বছর এই পণ্য দুটির সাথে জড়িত গোষ্ঠীর ইতিহাস পরিবর্তনে ধর্ম ও ইউরোপ ক্ষমতার অদলবদলের সাক্ষী হয়েছে তা গল্প আকারে বর্ণনা করা হয়েছে।

    সূচিপত্র

    1. শূন্যতায় জেগে ওঠা
    2. হৃদয়ে হজ্জ
    3. সমুদ্র মহাদেশ
    4. আলকেমিস্ট  
    5. তাঁতের টানা সুতা ও জাল 
    6. বিধবা ক্যাং 
    7. বিশাল অগ্রগতির যুগ
    8. অসুরের যুদ্ধ 
    9. আসর: রাইস এন্ড সল্ট
    10. প্রথম বছর 

    শূন্যতায় জেগে ওঠা

    পশ্চিমে আরেকবার অভিযান, বােন্ড আর সিন একটি শুন্য জায়গা পেল; তৈমুর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন আর সেখানেই সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি বানর কখনাে মরে না। বিপদকালে সে সব সময় ফিরে আসে আমাদের সাহায্যে। ঠিক যেরকম ভারত থেকে চীনে বৌদ্ধধর্ম আনতে পশ্চিমে প্রথম অভিযানের বিপদ কালে ত্রিপিটককে সাহায্য করেছিল। এখন সে বােন্ড বাদাশ নামে তৈমুর লংয়ের সেনাবাহিনীর একজন সাধারণ মােঙ্গল অশ্বারােহীর রূপ নিয়েছে। 

    একজন তিব্বতীয় লবন ব্যবসায়ী আর এক মােঙ্গল সরাইখানার মালিক-পুরােহিত নারীর পুত্র হবার কারণে জন্মের আগে থেকেই সে একজন পর্যটক ছিল। পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গিয়ে, নদী-নালা পার হয়ে, মরুভূমি আর তৃণভূমি অতিক্রম করতে গিয়ে সে সবসময় পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে আসা যাওয়া করেছে। 

    এ কাহিনির সময় সে ইতােমধ্যেই বার্ধক্যে পৌছেছে; চৌকনা মুখ, বাঁকা নাক, ধুসর বেণিবদ্ধ চুল আর চিবুক থেকে চারগাছা দাড়ি নেমে এসেছে। সে জানে এটাই তৈমুরের শেষ অভিযান আর ভাবল হয়তাে তারও শেষ অভিযান।

    এক সন্ধ্যায় অন্ধকারে ওরা কয়েকজন ঘােড়ায় চড়ে সেনাবাহিনীর অনুসন্ধানি দল হিসেবে পাহাড় থেকে বের হয়েছিল। চারপাশের নিস্তব্ধতায় বােল্ড একটু অস্বস্তিবােধ করল। যদিও প্রকৃতপক্ষে স্থানটা নিরব ছিল না, তৃণভূমির তুলনায় বন সবসময় সরব। সামনেই বিরাট একটা নদী, গাছে বাতাসের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবুও কিছু একটা যেন নেই। সম্ভবত পাখির ডাক, কিংবা অন্যকোন শব্দ যা বােন্ড চিহ্নিত করতে পারছে না। 

    অশ্বারােহীদের হাঁটুর খোঁচায় ঘােড়াগুলাে চিহি রব করে উঠছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন সত্ত্বেও কোন লাভ হচ্ছে না। আকাশে কমলা রঙের মেঘ, বাতাসের বেগ বেড়ে যাচ্ছে, স্যাতস্যাতে বাতাস-পশ্চিম দিক থেকে ঝড় আসছে। তৃণভূমির বিশাল আকাশে এটা সহজেই বুঝা যায়। কিন্তু এই পাহাড়ঘেরা জঙ্গলে আকাশ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না, বাতাসও কেমন যেন, তারপরও ঝড়ের আভাস রয়েছে।
    ওরা মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে চলল, ফসল তােলা হয়নি, বার্লি গাছগুলাে নেতিয়ে রয়েছে, ডালে ডালে আপেল শুকিয়ে রয়েছে। কিংবা মাটিতে পড়ে কালাে হয়ে রয়েছে। কোন গাড়ির চাকা কিংবা গরুর খুড়ের ছাপ নেই ধুলাে ভরা পথে। সূর্য ডুবে গেল, আকাশে কুজো চাঁদ উঠেছে। মাঠে প্যাচা ঘুরছে। হঠাৎ একটা ঝড়াে হাওয়া। বাতাসে পৃথিবী কত বিশাল মনে হচ্ছে। ঘােড়াগুলাে সতর্ক হয়ে উঠল। বানরও।
    ওরা একটা খালি সেতু পার হল, কাঠের পাটাতনে ঘােড়ার খুড়ের খটখট শব্দ শােনা যাচ্ছে। এবার কতগুলাে খড়ের ছাউনি দেওয়া কাঠের বাড়ির সামনে এল। কিন্তু কোন আগুন নেই, বাতির আলাে নেই। ওরা এগিয়ে চলল। গাছের ফাঁকে ফাঁকে আরও বাড়িঘর দেখা গেল, কিন্তু কোন মানুষজন নেই। অন্ধকার এলাকাটা শূন্য।

    হৃদয়ে হজ্জ

    সিন ওদের সামনে এগিয়ে নিয়ে চলল, চওড়া রাস্তার দুধারে অনেক দালান রয়েছে। পাহাড়ের পর একটা বাঁক ঘুরে ওরা একটা সমতলভূমিতে এসে পৌছল। সামনেই একটি অন্ধকার নিরব শহর। আলাে নেই, মানুষের কণ্ঠস্বর নেই; কেবল বাতাসে গাছের ডালপালা একটা আরেকটার সাথে ঘষাঘষি করছে। জনশূন্য লােকালয়।

    নিশ্চিত আমাদের বার বার পূর্ণজন্ম হয়। হাওয়ার বুদবুদের মতাে আমরা আমাদের দেহ পরিপূর্ণ করি। আর বুদবুদগুলাে ফেটে গেলে আমরা বার্দোয় চলে যাই, ঘুরে বেড়াতে থাকি আবার পৃথিবীর অন্য কোন জায়গায় নতুন কোন জীবনে প্রবেশ করা পর্যন্ত। যুদ্ধের পর যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ত, মাটিতে বিকল দেহ শূন্য পাত্রের মতাে ছড়িয়ে থাকত, তখন এই জ্ঞান বােল্ডকে সান্ত্বনা জোগাতাে।

    কিন্তু যুদ্ধ হয়নি তেমন কোন শহরে আসাটা ভিন্ন ধরনের বিষয়। দেখা যাচ্ছে সেখানে সবাই মৃত। অনেক আগেই মৃত; শবদেহগুলাে শুকিয়ে রয়েছে। গােধুলির আর চাঁদের আলােয় ওরা দেখতে পেল নেকড়ে আর কাকের খেয়ে ছড়িয়ে রাখা উন্মুক্ত হাড়গুলাে চকচক করছে। বােল্ড বার বার হৃদয় মন্ত্র উচ্চারণ করতে লাগল। সত্তা হল শূন্যতা, শূন্যতাই সত্তা। চলে গেছে, সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে, একেবারেই প্রস্থান করেছে সীমার বাইরে। 

    ও, একি জাগ্রত হয়েছে। সবকিছু শুভ হােক!

    শহরের প্রান্তসীমায় ঘােড়াগুলাে থমকে দাঁড়াল। নদীর কুলকুল ধ্বনি ছাড়া আর সব নিস্তব্ধ। কাঠের বাড়িগুলাের মাঝে, কয়েকটা ছােট পাথরের দালানের মধ্যে একটা বড় পাথরের দালানে চাঁদের আলাে ঠিকরে পড়ে চকচক করছে।

    সিন ওদের সবাইকে কাপড়ে মুখ ঢাকতে নির্দেশ দিল, কিছু স্পর্শ না করে কেবল ঘােড়ার পিঠে বসে থাকতে বলল। ঘােড়ার খুড় যেন মাটি ছাড়া আর কিছুতে না পড়ে। ধীরে ধীরে | ওরা সরু পথটি দিয়ে ঘােড়ায় চড়ে এগােতে লাগল। দুধারে দুই-তিনতলা সমান কাঠের বাড়িঘর, চীনা শহরের মতাে একটা আরেকটার সাথে লাগােয়া। ঘােড়াগুলাে অসন্তুষ্ট হলেও এখনাে একবারে থেমে পড়ে নি।

    ওরা নদীর ধারেই একটা খােয়া বসানাে ময়দানে এসে পৌছল।বিশাল পাথরের দালানটার সামনে থামল। দালানটা বিশাল। স্থানীয় অনেক মানুষ এখানে মরবার সময় সময় এসেছিল। খােলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত প্রান্তরে লুমাঠ। জীবনের শেষের দিনগুলােয় ওরা হয়তাে কোন ধর্মীয় বিধি পালন করতে এখানে সমবেত হয়েছিল। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল, জায়গাটা এখন শুধু একটাস্কপিকৃত হাড়ের স্থান। চলে গেছে, চলে গেছে সীমার বাইরে। 

    সমস্ত সীমা পার হয়ে জর্জে গেছে। কিছুই নড়ছে না। বােন্ডের মনে হল যে গিরিপথ দিয়ে ওরা ঘােড়ায় চড়ে এসেছে সেটা হয়তাে ভুল পথ ছিল, পথটি পশ্চিমে এক মৃতের শহরের দিকে চলে গেছে। একটি মুহূর্ত তার কিছু একটা মনে পড়ল, অন্য আরেক জীবনের কথা। 


    The years of rice and salt Bangla Pdf

    The years of rice and salt Bangla pdf


    Book Publisher Author  F Size
    দ্য ইয়ারস অফ রাইস এন্ড সল্ট রোদেলা প্রকাশনী কিম স্ট্যাংলি রবিনসন ৪২ মেগাবাইট
    Bookshop Price Language  T Page
    Durdin Magazine Only 480 Taka Bangla 530

    Read More: খোজা ইতিহাস pdf

    এই শহরের চেয়ে ছােট আরেকটি স্থান, হঠাৎ হুড়মুড় করে মাথায় কিছু একটা পড়ে একটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, সবাইকে একসাথে বার্দোয় পাঠিয়ে দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটি ঘরে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষারত; সেকারণেই অনেক সময় সে অনুভব করে যেসব মানুষকে সে দেখে তাদের সে চিনতে পারে। তাদের সবার অস্তিত্ব একই পরিণতির অংশিদার। সিন বলল, ‘প্লেগ। চল, এখান থেকে বেরিয়ে যাই।'

    তার চোখ জ্বল জ্বল করছে, কঠিন মুখটিকে রাজকীয় সমাধির উপর খােদাই করা পাথরের সেনানায়কদের মতাে দেখাচ্ছে। বােল্ড কেঁপে উঠল। সে বলল, কিন্তু, ওরা এখান থেকে চলে গেল না কেন? হয়তাে যাওয়ার কোন জায়গা ছিল না।

    কয়েক বছর আগে ভারতে মড়ক লেগেছিল। মােঙ্গলদের কচিৎ হয়ে থাকে, মাঝে মধ্যে দু'একটা শিশুর হয়। তুর্কি আর ভারতীয়রা অনেক বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে আর তৈমুরের সেনাবাহিনীতে পারসিক, তুর্কি, মােঙ্গল, তিব্বতি, ভারতীয়, তাজিক, আরব, জর্জিয়ানসব ধরনের জাতির সমাহার ছিল, তারা যে কেউ কিংবা সকলেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারত। তাই যদি সত্য হয় তাহলে এই লােকদের কি হয়েছিল। নিশ্চিতভাবে জানার কোন উপায় নেই। সিন বলল, চল ফিরে গিয়ে ওদেরকে জানাই।

    অন্যরা মাথা নেড়ে সায় দিল। ওরা খুশি হল যে সিদ্ধান্তটা সিন নিয়েছে। তৈমুর ওদেরকে বলেছিলেন ম্যাগিয়ার (হাঙ্গেরি) সমভূমি আর তার পশ্চিমে কি আছে খুঁজে দেখতে। ঘােড়ায় চড়ে চার দিনের দূরত্ব পার হয়ে দেখতে বলেছিলেন। তার নির্দেশ পালন না করে কোন অগ্রগামী দলের ফিরে আসাটা তিনি পছন্দ করতেন না, এমনকি তার সবচেয়ে পুরানাে কোয়াচিন সদস্য হলেও। তবে সিন তার মুখােমুখি হতে পারত।

    চাঁদের আলােয় ওরা ফিরে চলল, কেবল মাঝে মাঝে ঘােড়াগুলাে ক্লান্ত হলে তাঁবু গেড়ে ক্ষানিকক্ষণ বিশ্রাম নিল। পরদিন ভােরে পর্বতের মাঝের বড় ফাক দিয়ে অগ্রগামী দলটি মােরাভিয়ান গেটে পৌছল। যেসব গ্রাম কিংবা কুঁড়েঘর ওরা পার হল তার কোনটাতেই ধুয়া নেই। ওরা ঘােড়র পেটে লাথি মেরে দ্রুতবেগে ঘােড়া ছুটিয়ে নিয়ে চলল, সারাদিন চলতে লাগল।

    পর্বতমালার পুর্বদিকের দীর্ঘ গিরিপথ দিয়ে যখন ওরা তৃণভূমিতে ফিরে এল, তখন পশ্চিমের অর্ধেক আকাশ কালাে মেঘে ছেয়ে গেছে। যেন কালীর কালাে কম্বল ওদেরকে ঢেকে ফেলেছে, মৃত্যুর দেবী ওদেরকে তার এলাকা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করছে। কালাে মেঘ ঢেউ খেলে বেড়াচ্ছে, প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাসের তােড়ে ঘােড়াগুলাে মাথা নিচু করতে লােকগুলাে একে অপরের দিকে তাকাতে পারছিল না।

    তৈমুরের বিশাল শিবিরের দিকে ওরা এগিয়ে চলল, কালাে-ঝড়ের মেঘে সারাদিন রাতের মতাে অন্ধকারে ছেয়ে রয়েছে। বােন্ডের ঘাড়ের লােম খাড়া হলো বৃষ্টির বড়বড় কয়েকটা ফোটা গায়ে পড়ল। মাথার উপরে বজ্রধ্বনি দৈত্যাকৃতি লৌহ শকটের মতাে পশ্চিমদিক থেকে ধেয়ে আসছে। ওরা ঘােড়ার পিঠে উবু হয়ে বসে ঘােড়ার পেটে হাঁটুর খোঁচা মেরে এগিয়ে নিয়ে চলল।

    কিম স্ট্যাংলি রবিনসন 

    জীবিত সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কিম স্ট্যানলি রবিনসন এর জন্ম আমেরিকার ইলিনয়সে। বেড়ে উঠেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায়। ইংরেজি সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি পান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রবিনসন রচিত উপন্যাস এগারােটি প্রধান সায়েন্স ফিকশন পুরস্কার লাভ করে এবং ২৯টি অন্যান্য পুরস্কারের জন্য মনােনীত হয়। তার রচিত বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন মার্স ট্রিলজি হুগাে (১৯৯৪/১৯৯৭) এবং নেবুলা পুরস্কার (১৯৯৩) লাভ করে।

    তার রচিত এবং অনুদিত বইয়ের তালিকা
    • ১. যুগে যুগে মুসলিম নারী শাসক ইতিহাস 
    • ২. ইবনে তােফায়েলের হাঈ ইবনে ইয়াকজান-দর্শন ৩. হােয়েন দ্য উইন্ড বােজ- সায়েন্স ফিকশন 
    • ৪. চিটি চিটি ব্যাং ব্যাং- শিশু সাহিত্য 
    • ৫. শেবা-ঐতিহাসিক অ্যাডভেঞ্চার

    অনুবাদক কাজী আখতারউদ্দিন, পেশায় অবসরপ্রাপ্ত বিমান কর্মকর্তা, মূলত অনুবাদ সাহিত্যে আগ্রহী। 

    The years of rice and salt বইটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন 

    Tags

    Post a Comment

    0Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
    Post a Comment (0)

    #buttons=(Accept !) #days=(20)

    Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
    Accept !