The years of rice and salt bangla pdf বইটিতে ৭০০ বছর পূর্বে ইউরোপ না থাকলে ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্ম কিভাবে পৃথিবীর প্রধান ধর্মে পরিণত হতো তা উপন্যাসের আকারে কিম স্ট্যাংলি রবিনসন কল্পনা করেছেন। আমরা জানি কালো মৃত্যু নামে পরিচিত প্লেগ রোগে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল।
লেখক কল্পনা করেছেন যদি ইউরোপের ৯৯% মানুষ এই প্লেগ রোগে মারা যেতো, তবে কোন জাতির লোকজন বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষমতার অধিকারী হতো?
এই ক্ষমতাগুলো অর্জনের জন্য কি ধরণের লড়াই লড়তে হতো তাও এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি রূপক অর্থে এই বইটির শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বইটিতে কিভাবে বছরের পর বছর এই পণ্য দুটির সাথে জড়িত গোষ্ঠীর ইতিহাস পরিবর্তনে ধর্ম ও ইউরোপ ক্ষমতার অদলবদলের সাক্ষী হয়েছে তা গল্প আকারে বর্ণনা করা হয়েছে।
সূচিপত্র
- শূন্যতায় জেগে ওঠা
- হৃদয়ে হজ্জ
- সমুদ্র মহাদেশ
- আলকেমিস্ট
- তাঁতের টানা সুতা ও জাল
- বিধবা ক্যাং
- বিশাল অগ্রগতির যুগ
- অসুরের যুদ্ধ
- আসর: রাইস এন্ড সল্ট
- প্রথম বছর
শূন্যতায় জেগে ওঠা
ওরা মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে চলল, ফসল তােলা হয়নি, বার্লি গাছগুলাে নেতিয়ে রয়েছে, ডালে ডালে আপেল শুকিয়ে রয়েছে। কিংবা মাটিতে পড়ে কালাে হয়ে রয়েছে। কোন গাড়ির চাকা কিংবা গরুর খুড়ের ছাপ নেই ধুলাে ভরা পথে। সূর্য ডুবে গেল, আকাশে কুজো চাঁদ উঠেছে। মাঠে প্যাচা ঘুরছে। হঠাৎ একটা ঝড়াে হাওয়া। বাতাসে পৃথিবী কত বিশাল মনে হচ্ছে। ঘােড়াগুলাে সতর্ক হয়ে উঠল। বানরও।
হৃদয়ে হজ্জ
কিন্তু যুদ্ধ হয়নি তেমন কোন শহরে আসাটা ভিন্ন ধরনের বিষয়। দেখা যাচ্ছে সেখানে সবাই মৃত। অনেক আগেই মৃত; শবদেহগুলাে শুকিয়ে রয়েছে। গােধুলির আর চাঁদের আলােয় ওরা দেখতে পেল নেকড়ে আর কাকের খেয়ে ছড়িয়ে রাখা উন্মুক্ত হাড়গুলাে চকচক করছে। বােল্ড বার বার হৃদয় মন্ত্র উচ্চারণ করতে লাগল। সত্তা হল শূন্যতা, শূন্যতাই সত্তা। চলে গেছে, সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে, একেবারেই প্রস্থান করেছে সীমার বাইরে।
ও, একি জাগ্রত হয়েছে। সবকিছু শুভ হােক!
শহরের প্রান্তসীমায় ঘােড়াগুলাে থমকে দাঁড়াল। নদীর কুলকুল ধ্বনি ছাড়া আর সব নিস্তব্ধ। কাঠের বাড়িগুলাের মাঝে, কয়েকটা ছােট পাথরের দালানের মধ্যে একটা বড় পাথরের দালানে চাঁদের আলাে ঠিকরে পড়ে চকচক করছে।
সিন ওদের সবাইকে কাপড়ে মুখ ঢাকতে নির্দেশ দিল, কিছু স্পর্শ না করে কেবল ঘােড়ার পিঠে বসে থাকতে বলল। ঘােড়ার খুড় যেন মাটি ছাড়া আর কিছুতে না পড়ে। ধীরে ধীরে | ওরা সরু পথটি দিয়ে ঘােড়ায় চড়ে এগােতে লাগল। দুধারে দুই-তিনতলা সমান কাঠের বাড়িঘর, চীনা শহরের মতাে একটা আরেকটার সাথে লাগােয়া। ঘােড়াগুলাে অসন্তুষ্ট হলেও এখনাে একবারে থেমে পড়ে নি।
ওরা নদীর ধারেই একটা খােয়া বসানাে ময়দানে এসে পৌছল।বিশাল পাথরের দালানটার সামনে থামল। দালানটা বিশাল। স্থানীয় অনেক মানুষ এখানে মরবার সময় সময় এসেছিল। খােলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত প্রান্তরে লুমাঠ। জীবনের শেষের দিনগুলােয় ওরা হয়তাে কোন ধর্মীয় বিধি পালন করতে এখানে সমবেত হয়েছিল। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল, জায়গাটা এখন শুধু একটাস্কপিকৃত হাড়ের স্থান। চলে গেছে, চলে গেছে সীমার বাইরে।
সমস্ত সীমা পার হয়ে জর্জে গেছে। কিছুই নড়ছে না। বােন্ডের মনে হল যে গিরিপথ দিয়ে ওরা ঘােড়ায় চড়ে এসেছে সেটা হয়তাে ভুল পথ ছিল, পথটি পশ্চিমে এক মৃতের শহরের দিকে চলে গেছে। একটি মুহূর্ত তার কিছু একটা মনে পড়ল, অন্য আরেক জীবনের কথা।
The years of rice and salt Bangla Pdf
| Book | Publisher | Author | F Size |
|---|---|---|---|
| দ্য ইয়ারস অফ রাইস এন্ড সল্ট | রোদেলা প্রকাশনী | কিম স্ট্যাংলি রবিনসন | ৪২ মেগাবাইট |
| Bookshop | Price | Language | T Page |
| Durdin Magazine | Only 480 Taka | Bangla | 530 |
Read More: খোজা ইতিহাস pdf
এই শহরের চেয়ে ছােট আরেকটি স্থান, হঠাৎ হুড়মুড় করে মাথায় কিছু একটা পড়ে একটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, সবাইকে একসাথে বার্দোয় পাঠিয়ে দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটি ঘরে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষারত; সেকারণেই অনেক সময় সে অনুভব করে যেসব মানুষকে সে দেখে তাদের সে চিনতে পারে। তাদের সবার অস্তিত্ব একই পরিণতির অংশিদার। সিন বলল, ‘প্লেগ। চল, এখান থেকে বেরিয়ে যাই।'
তার চোখ জ্বল জ্বল করছে, কঠিন মুখটিকে রাজকীয় সমাধির উপর খােদাই করা পাথরের সেনানায়কদের মতাে দেখাচ্ছে। বােল্ড কেঁপে উঠল। সে বলল, কিন্তু, ওরা এখান থেকে চলে গেল না কেন? হয়তাে যাওয়ার কোন জায়গা ছিল না।
কয়েক বছর আগে ভারতে মড়ক লেগেছিল। মােঙ্গলদের কচিৎ হয়ে থাকে, মাঝে মধ্যে দু'একটা শিশুর হয়। তুর্কি আর ভারতীয়রা অনেক বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে আর তৈমুরের সেনাবাহিনীতে পারসিক, তুর্কি, মােঙ্গল, তিব্বতি, ভারতীয়, তাজিক, আরব, জর্জিয়ানসব ধরনের জাতির সমাহার ছিল, তারা যে কেউ কিংবা সকলেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারত। তাই যদি সত্য হয় তাহলে এই লােকদের কি হয়েছিল। নিশ্চিতভাবে জানার কোন উপায় নেই। সিন বলল, চল ফিরে গিয়ে ওদেরকে জানাই।
অন্যরা মাথা নেড়ে সায় দিল। ওরা খুশি হল যে সিদ্ধান্তটা সিন নিয়েছে। তৈমুর ওদেরকে বলেছিলেন ম্যাগিয়ার (হাঙ্গেরি) সমভূমি আর তার পশ্চিমে কি আছে খুঁজে দেখতে। ঘােড়ায় চড়ে চার দিনের দূরত্ব পার হয়ে দেখতে বলেছিলেন। তার নির্দেশ পালন না করে কোন অগ্রগামী দলের ফিরে আসাটা তিনি পছন্দ করতেন না, এমনকি তার সবচেয়ে পুরানাে কোয়াচিন সদস্য হলেও। তবে সিন তার মুখােমুখি হতে পারত।
চাঁদের আলােয় ওরা ফিরে চলল, কেবল মাঝে মাঝে ঘােড়াগুলাে ক্লান্ত হলে তাঁবু গেড়ে ক্ষানিকক্ষণ বিশ্রাম নিল। পরদিন ভােরে পর্বতের মাঝের বড় ফাক দিয়ে অগ্রগামী দলটি মােরাভিয়ান গেটে পৌছল। যেসব গ্রাম কিংবা কুঁড়েঘর ওরা পার হল তার কোনটাতেই ধুয়া নেই। ওরা ঘােড়র পেটে লাথি মেরে দ্রুতবেগে ঘােড়া ছুটিয়ে নিয়ে চলল, সারাদিন চলতে লাগল।
পর্বতমালার পুর্বদিকের দীর্ঘ গিরিপথ দিয়ে যখন ওরা তৃণভূমিতে ফিরে এল, তখন পশ্চিমের অর্ধেক আকাশ কালাে মেঘে ছেয়ে গেছে। যেন কালীর কালাে কম্বল ওদেরকে ঢেকে ফেলেছে, মৃত্যুর দেবী ওদেরকে তার এলাকা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করছে। কালাে মেঘ ঢেউ খেলে বেড়াচ্ছে, প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাসের তােড়ে ঘােড়াগুলাে মাথা নিচু করতে লােকগুলাে একে অপরের দিকে তাকাতে পারছিল না।
তৈমুরের বিশাল শিবিরের দিকে ওরা এগিয়ে চলল, কালাে-ঝড়ের মেঘে সারাদিন রাতের মতাে অন্ধকারে ছেয়ে রয়েছে। বােন্ডের ঘাড়ের লােম খাড়া হলো বৃষ্টির বড়বড় কয়েকটা ফোটা গায়ে পড়ল। মাথার উপরে বজ্রধ্বনি দৈত্যাকৃতি লৌহ শকটের মতাে পশ্চিমদিক থেকে ধেয়ে আসছে। ওরা ঘােড়ার পিঠে উবু হয়ে বসে ঘােড়ার পেটে হাঁটুর খোঁচা মেরে এগিয়ে নিয়ে চলল।
কিম স্ট্যাংলি রবিনসন
- ১. যুগে যুগে মুসলিম নারী শাসক ইতিহাস
- ২. ইবনে তােফায়েলের হাঈ ইবনে ইয়াকজান-দর্শন ৩. হােয়েন দ্য উইন্ড বােজ- সায়েন্স ফিকশন
- ৪. চিটি চিটি ব্যাং ব্যাং- শিশু সাহিত্য
- ৫. শেবা-ঐতিহাসিক অ্যাডভেঞ্চার
অনুবাদক কাজী আখতারউদ্দিন, পেশায় অবসরপ্রাপ্ত বিমান কর্মকর্তা, মূলত অনুবাদ সাহিত্যে আগ্রহী।
The years of rice and salt বইটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন
