হাজারো প্রশ্নের জবাব সকল খন্ড একত্রে ১, ২, ৩ PDF by মহাজাতক

0

    হাজারো প্রশ্নের জবাব by মহাজাতক

    জনপ্রিয় লেখক মহাজাতক এর কোয়ান্টাম হাজারো প্রশ্নের জবাব ১, ২, ৩ সকল খন্ড একত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
    লাখাে মানুষের মতাে আপনিও বলবেন অন্ধকারকে মানুষ ভয় পায়। অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। তাই অজানা আশঙ্কা চেপে বসে তার মনে। ভােরের আলােয় আঁধার কাটতে শুরু করলে অজানা আশঙ্কাও কেটে যায়। সে বেরিয়ে আসে ঘর থেকে। নেমে পড়ে কাজে। এগিয়ে যায় সামনের দিকে।

    সকল অন্ধকারের নিকৃষ্ট অন্ধকার অবিদ্যা। অবিদ্যা জন্ম দেয় নেতিবাচকতা অশান্তি লােভ লাম্পট্য শােষণ বঞ্চনা প্রতারণা ব্যর্থতা রােগ শােক হতাশা। অফুরন্ত সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেও তারুণ্য ও যৌবনের শক্তি পরিণত হয় প্রতারক শােষক লম্পট শােষিত বা দাসে। 

    অবিদ্যার অন্ধকার দূর হয় বিদ্যার আলােয়। বিদ্যার সূচনা হয় মুক্ত বিশ্বাস থেকে। আর মুক্ত বিশ্বাসের পথে অন্তরায় হচ্ছে অহেতুক প্রশ্ন। হাজারো প্রশ্নের জবাব বই অনুসারে শয়তানের কৌশল হচ্ছে বিশ্বাস থেকে বিরত রাখতে না পারলে সংশয় সৃষ্টি করে দেয়া। আর অহেতুক প্রশ্ন ঢুকে পড়ে মানুষের স্বভাবজাত কৌতূহল বা জানার আগ্রহের সদর দরজা দিয়ে। সুষ্টি হয় সংশয়।

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ১, ২, ৩ সকল খন্ড একত্রে PDF

    অবিদ্যার অন্ধকার দূর করার জন্যেই কোয়ান্টাম ডাক দিয়েছে মুক্ত বিশ্বাসের। বলেছে, হে, তরুণ! শক্তি তােমার মধ্যেই রয়েছে। অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করাে। কোনাে অভাব থাকবে না। যা দেখে তুমি বিস্মিত হও, সে বিস্ময় সৃষ্টি করার ক্ষমতা তােমার মধ্যেই আছে।

    হাজার হাজার মানুষের কৌতূহল আর আগ্রহ সৃষ্টির পাশাপাশি এসেছে হাজারাে প্রশ্ন। আর এ প্রশ্নগুলাের জবাব পেতেও তাদের সময় লাগে নি। দ্বিধা সংশয় ভেসে গেছে বাস্তবতা ও বিদ্যার আলােয়। তারা পৌছে গেছেন সাফল্যের স্বর্ণদ্বারে।
    ই কোয়ান্টাম মেথড চর্চার.গত ২৫ বছরের এমনি অসংখ্য প্রশ্নের জবাবের সংকলনই হচ্ছে কোয়ান্টাম হাজারাে প্রশ্নের জবাব। 

    আপনার মধ্যে সন্দেহ সংশয় বলে যদি কিছু থাকে তা দূর হবে অনায়াসে। কৌতুহল ও জানার আগ্রহ পাবে পূর্ণ তৃপ্তি। আপনি উপলব্ধি করবেন জীবনের আসল সত্য। লাখাে মানুষের মতৌ আপনিও বলবেন-আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী। আমি পারি আমি করব। আমার জীবন আমি গড়ব।

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ২

    কোয়ান্টাম হাজারো প্রশ্নের জবাব ২ এর লেখক মহাজাতক এর মতে সকল উত্তর পেয়ে সবাই সুখী হতে চায়। কেউ হয়। কেউ হয় না। কেউ আবার হয়েও তা ধরে রাখতে পারে না। কেন? আসলে কেউ সুখ খোজে অর্থে, কেউ ক্যারিয়ারে, কেউ প্রেমে, কেউ বিয়েতে, কেউ পরিবারে, কেউ-বা ভার্চুয়াল জগতে। 

    অনেকে আবার ভাবে-সে এমনি এমনি সুখী হয়ে যাবে। সুখ এসে ধরা দেবে নিজেই। কিন্তু সে বােঝে না-সুখ হচ্ছে একটা প্রক্রিয়া, যেমন দুঃখও একটা প্রক্রিয়া। সুখের প্রক্রিয়ায় সচেতনভাবে প্রবেশ না করলে সুখী হওয়া কারাে পক্ষে সম্ভব নয়।
    সুখের একটা বড় উৎস পরিবার। আর পরিবার হলাে মানুষের সঘবদ্ধতার প্রাথমিক রূপ, যে সঙ্রদ্ধ শক্তি দিয়েই পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে মানুষ। 

    পরিবার গড়ে ওঠে একজন পুরুষ ও একজন নারীর একসাথে থাকা এবং পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ভাগাভাগি করার চুক্তির মধ্য দিয়ে। পরিবার টিকে থাকে দায়িত্ব-কর্তব্য। যথাযথভাবে পালিত হলে। আর পারস্পরিক বিশ্বাস, সুমমর্মিতা ও সম্মানবােধের বাস্তব প্রতিফলনে পরিবারে আসে সুখ। 

    ভােগবাদী পণ্যদাসত্ব ও ভার্চুয়াল ভাইরাসের আগ্রাসনে পাশ্চাত্যে সুখের এই উৎস শুকিয়ে এখন ধু-ধু মরুভূমি। যে ঘর হওয়ার কথা ছিল নারীর। জন্যে সবচেয়ে নিরাপদ, পাশ্চাত্যে সে ঘরেই নারী হতাহত হয় সবচেয়ে বেশি। 

    মার্কিন পুলিশের হিসাবমতে, ২০১৭ সালে ৪৮ লক্ষ নারী সেখানে। স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের হাতে সহিংসতার শিকার হয়। গড়ে প্রতিদিন তিন বা ততােধিক নারী তার স্বামী, প্রাক্তন স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের হাতে খুন হয়। মার্কিনি নারীর জীবনের হুমকি এখন বাইরের কোনাে খুনি নয়, বরং তাদের বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডরা। 

    ব্রিটেনের অবস্থাও একই। পুলিশি হিসাবে ১২ লক্ষ ব্রিটিশ নারী ঘরে সহিংসতার শিকার। ইউনেস্কোর মতে, সরকারি এসব হিসাবের চেয়ে প্রকৃত ঘটনা অন্তত ৬০% বেশি। 

    উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কেট মস-এর কথায়–,
    ব্রিটেনে নিজের ঘরের চেয়ে অনেক নারী রাস্তায়ই বেশি নিরাপদ।

    তাই হাজারো প্রশ্নের জবাব ২ মানুষের এইসব সমস্যা সহজে সমাধানের পথ বাতলে দিবে।

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ৩

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ৩ বইটিতে মহাজাতক বলেছেন জুটিরা দিনে অন্তত চার ঘণ্টা সময় হয় একসাথে থাকত, নয়তাে একজন আরেকজনের কথা ভাবত।
    এদের ব্লাড স্যাম্পলের সাথে অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি) নামক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত রােগীদের ব্লাড স্যাম্পল মিলিয়ে অধ্যাপক ম্যারাযিতি দেখলেন, দুই দলেরই দেহে সেরােটোনিনের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষ, যারা প্রেমে পড়ে নি বা মানসিক অসুস্থতায়ও আক্রান্ত নয় তাদের চেয়ে ৪০% কম।

    আই-সেরােটোনিন হলাে মস্তিষ্কের এমন এক নিউরােট্রান্সমিটার, যার পরিমাণ কমে গেলেই বিষন্নতা অবসাদ খিটখিটে মেজাজ অর্থাৎ ওসিডির মতাে মানসিক রােগ দেখা দেয়। মনােবিজ্ঞানী অ্যালেন বাঁশাইড বলেন, প্রেমে পড়লে মানুষ যে বােধবুদ্ধিশূন্য হয়ে যায়, প্রেমিক বা প্রেমিকার সবকিছুকেই যে তখন ভালাে লাগে, দোষ থাকলেও তা যে চোখ এড়িয়ে যায়, তার কারণ এটাই। অন্ধ আবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ তখনই ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

    ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সংখ্যায় লাভ দ্য কেমিক্যাল রি-একশন শিরােনামে এই বিস্তারিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ প্রেমাবেগের স্থায়িত্ব আবার খুবই কম। 

    আজকে যাকে না পেলে বাঁচব না বলে মনে হচ্ছে, বছর না ঘুরতেই মনে হতে পারে যে, তাকে না ছাড়লে বাঁচব না। 

    ছয় মাস আগেও যে চেহারাটা এক নজর দেখার জন্যে অস্থির হতাে মন, এখন সে চেহারাটাই হতে পারে সবচেয়ে অসহ্য দৃশ্য। এইরকম হওয়ার কারণ কী? 

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর পেছনে আছে ডােপামিন নামে আরেক নিউরােট্রান্সমিটারের ভূমিকা। প্রেমিক/প্রেমিকাকে দেখলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ এই ডােপামিন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। এর প্রভাবে শরীরমনে সৃষ্টি হতে পারে বাঁধভাঙা আনন্দ, অসাধারণ প্রাণশক্তি, গভীর মনােযােগ ও সীমাহীন অনুপ্রেরণা। 

    এজন্যেই হয়তাে যারা সদ্য প্রেমে পড়ে, হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে এক ধরনের বেয়াড়া, একগুয়ে, দুঃসাহসী চরিত্র ফুটে ওঠে। ঘর ছাড়বে, সিংহাসন ছাড়বে, জীবন দেবে; তবু প্রেম ছাড়বে না।

    এমনই এক বেয়াড়াপনা দেখা যায় তাদের মধ্যে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মাদকাসক্তির সাথে এ অবস্থার প্রচণ্ড মিল রয়েছে। কারণ পরিমাণ যাই হােক, দেখা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই মাদকসেবী ঐ পরিমাণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং নেশা হওয়ার জন্যে আরাে বেশি পরিমাণে মাদক সে নিতে চায় বা নেয়।

    প্রেমের ক্ষেত্রেও তাই। তীব্র প্রেমাবেগের আতিশয্য খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না, যদি নতুন নতুন উদ্দীপক সংযােজিত না হয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাে আর তা সম্ভব নয়। ফলে অল্পতেই ঘােলাটে হয়ে যায় প্রেমাবেগের রঙিন চশমা, থমকে যায় মনে জমে থাকা হাজারাে প্রশ্নের জবাব ৩ বই।

    BookPublisherAuthor F Size
    হাজারো প্রশ্নের জবাব ১, ২, ৩রকমারি কালেকশনমহাজাতক৮ মেগাবাইট
    BookshopPriceLanguage T Page
    Durdin MagazineOnly 550 TakaBangla1444

    হাজারো প্রশ্নের জবাব Pdf

    প্রেমে পড়া নিয়ে হাজারো প্রশ্নের জবাব Pdf বইয়ের মতামত হলো প্রেম স্বর্গীয়। নিজেকে বিশ্বপ্রেমিক ভাবতেই ভালাে লাগে। আগে সুন্দর কাউকে দেখলেই ভালাে লাগত। প্রেম করতে ইচ্ছে করত। বন্ধুরাও উৎসাহ দিত। কখন যে জড়িয়ে পড়তাম টেরও পেতাম না! কিন্তু কোনাে সম্পর্কই বেশিদিন টেকে নি। 

    এখনাে আমি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করি! আবার হতাশায়ও ভুগি। এ থেকে মুক্তির উপায় কী?

    উত্তর: প্রেম নিঃসন্দেহে স্বর্গীয়। তবে মর্ত্যে আসতে আসতে এর মধ্যে নানা বৈষয়িক মিশেলে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে এটা হয়ে গেছে পণ্য। স্বর্গীয় প্রেম হচ্ছে অকাতরে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার নাম। যেমন, দেশপ্রেম-দেশের জন্যে নিজের সবকিছু উজাড় করে দেয়ার নাম; স্রষ্টাপ্রেম-স্রষ্টার চিন্তায় বিভাের থাকার নাম; মানবপ্রেম-মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার নাম। 

    স্থানকাল ভেদে প্রেমের প্রকাশ ঘটে কখনাে মমতায়, কখনাে শ্রদ্ধায়, কখনাে ভালােবাসায়, কখনাে সমমর্মিতায়। আপনি নিজেকে ‘বিশ্বপ্রেমিক’ ভাবলে দোষ নেই, যদি বিশ্বের কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন।

    আবার সুন্দর কাউকে বা কিছুকে ভালাে লাগাঁর মধ্যেও কোনাে দোষ নেই, যদি বিষয়টি সীমার মধ্যে থাকে। তবে আপনি যাকে প্রেম বলছেন, এটা আসলে নর-নারীর পরস্পরের প্রতি একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ। এর শুরুটা ভালােলাগা থেকে। কিন্তু সময় এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তা শুধু ভালােলাগায় সীমিত থাকে না। সৃষ্টি হয় তীব্র আবেগ ও জৈবিক আকর্ষণ। 

    যার সুস্থ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে ও সুন্দর পরিবার। আর অসুস্থ পরিণতি হচ্ছে আসক্তি ও অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার। একেই তখন বলা হয় প্রেমাসক্তি বা প্রেমরােগ, যা মাদকাসক্তির চেয়েও ক্ষতিকর। এ মাদক যে-রকম একজন মানুষের সুস্থ বােধবুদ্ধি নাশ করে ফেলে, প্রেমরােগ বা প্রেমাসক্তিও তা-ই করে। 


    এটা আমাদের কথা নয়, বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ ফল। এ সম্পর্কে এক সাড়া জাগানাে গবেষণা চালান ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনােবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডােনাতেলা ম্যারাফিতি। মাত্র ছয় মাস বা তারও কম সময় ধরে প্রেম করছে, এমন ২০ জুটিকে নিয়ে তিনি এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। এ ধরনের জুটিদের বেছে নেয়ার কারণ ছিল, প্রেমে পড়ার এই ধাপটায় প্রেমিক-প্রেমিকারা আসলে একজন আরেকজনের কথা ভেবেই বেশিরভাগ সময় পার করে। তা-ই হচ্ছিল। তাদের মনেও তৈরি হচ্ছিল হাজারো প্রশ্নের জবাব pdf.

    হাজার প্রশ্নের জবাব ২ Pdf

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ২ pdf বইয়ে সফল হতে হলে কি করা দরকার তা বলা হয়েছে। 

    প্রশ্ন : সফলতা বলতে কী বােঝায়?

    উত্তর : সাফল্য শুধু অর্থ ক্ষমতা শক্তি বা খ্যাতির নাম নয়। সাফল্য হচ্ছে জীবনের এমন এক অবস্থান যেখানে পৌছে আপনার মনে হবে, আপনার বেঁচে থাকাটা সার্থক হয়েছে। মনে হবে, নিজের মেধার কিছুটা হলেও স্ফুরণ ঘটাতে পেরেছেন। নিজের এবং মানুষের কিছু হলেও কল্যাণ করতে পেরেছেন। যখন আপনি তৃপ্তির সাথে চোখ বন্ধ করে বলতে পারবেন-আমার যা কিছু করার ছিলাে করেছি, যা কিছু দেখার ছিলাে দেখেছি, যা কিছু বলার ছিলাে বলেছি। আর তখনই বলা যাবে, আপনি একজন সফল মানুষ।

    একই সাথে সাফল্যকে আমরা বলতে পারি এমন একটা অনুভূতি, মেধাক্ষমতা এবং দক্ষতার এমন এক স্ফুরণ যেখানে প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়া পাওয়ায় রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে। আপনি যা চাচ্ছেন, এই মুহূর্তে আপনি সেটা না-ও পেতে পারেন, কিন্তু পাওয়ার প্রক্রিয়ায় তা প্রবেশ করেছে এবং আজ হােক, কাল হােক তা আপনি পাবেনই। আর নিজের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরিত করার পাশাপাশি আরাে বহু মানুষের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করতে পারবেন তখন।

    আসলে সাফল্যের ধরন অনেক। মানসিক সাফল্য হলাে প্রশান্তি, শারীরিক সাফল্য সুস্বাস্থ্য আর আর্থিক সাফল্য হচ্ছে সচ্ছলতা। আত্মিক সাফল্য হচ্ছে আত্ম উপলব্ধি। অর্থবিত্ত, খ্যাতি-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি সাফল্যের একেকটি উপকরণ হলেও এককভাবে এগুলাে কোনােটাই সাফল্য নয়। সাফল্য মানে অভাববােধের অনুপস্থিতি। | সাফল্য এক বিরামহীন প্রক্রিয়া। সফল তিনিই যিনি আপাত ব্যর্থতার ছাই থেকে গড়ে নিতে পারেন নতুন প্রাসাদ। প্রতিটি অর্জনকেই মনে করেন নতুন শুরুর ভিত্তি। প্রতিটি অর্জন শেষে শুরু করেন আরাে বড় অর্জনের অভিযাত্রা।


    প্রশ্ন : সফল হওয়ার জন্যে তাে অনেক উপকরণ প্রয়ােজন। আমি একজন অভাবী মানুষ। আমার তাে কোনাে উপকরণ নেই। তাছাড়া আমি জিনিয়াসও নই। আমার কী হবে?

    উত্তর : এটা একটা সুন্দর প্রশ্ন। আসলে সফল হওয়ার জন্যে উপকরণ অবশ্যই প্রয়ােজন। সাফল্য পেতে হাজারো প্রশ্নের জবাব Pdf ২ এর প্রশ্নগুলো একটু ঘেঁটে দেখতে হবে।

    হাজারো প্রশ্নের জবাব ৩ Pdf 

    হাজারো প্রশ্নের জবাব pdf ৩ এর উত্তর সবটাই আছে আপনার নিজের মধ্যে। ধরুন, আপনার দেহ পাঁচ শতাধিক মাংসপেশি, দুই শতাধিক হাড়, ৭০ থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বা সেলের সমন্বয়ে গঠিত। এই শরীরের প্রতিটি সেলে খাবার পৌঁছানাের জন্যে রয়েছে শিরা ও ধমনীর ৬০ হাজার মাইল দীর্ঘ পাইপ লাইন। 

    আর আপনার হার্ট কোনােরকম ক্লান্তি বা প্রতিবাদ ছাড়াই প্রতিদিন এক লক্ষবার স্পন্দনের মাধ্যমে ১৬ শত গ্যালনেরও বেশি রক্ত পাম্প করে দেহকে সচল রাখছে। আর এ সবকিছুই হচ্ছে এক অসাধারণ দক্ষ স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এরকম বিস্ময়কর কর্মক্ষমতাসম্পন্ন দেহ ধারণ করার পরও যদি আপনি মনে করেন আপনার কোনাে উপকরণ নেই, তাহলে এর চেয়ে ভ্রান্তি আর কিছু হতে পারে না। 

    আবার আপনি যদি নিজেকে অভাবী মনে করেন, তাহলে আপনার জানা থাকা দরকার যে, মস্তিষ্ককে নিউরােসায়েন্টিস্টরা সবচেয়ে আধুনিক কম্পিউটারের চেয়েও কমপক্ষে ১০ লক্ষ গুণ শক্তিশালীরূপে বর্ণনা করেছেন। তাহলে কম্পিউটারের দামের অনুপাতে আপনার ব্রেনের মূল্য কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ হাজার কোটি টাকা পুঁজির মালিক আপনি। এরপরও আপনি অভাবী হন কীভাবে? 

    মস্তিষ্কের মাত্র একটি বিষয়ও যদি আপনি দেখেন, তাহলেও এর বিশাল কর্মক্ষমতা ও প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবেন। মস্তিষ্কের ১০০ বিলিয়ন নিউরােন সেলের প্রতিটি নিউরােন এক হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ নিউরােনের সাথে সংযুক্ত। প্রতিমুহূর্তে কমপক্ষে ১০০ ট্রিলিয়ন যােগাযােগ ঘটছে মস্তিষ্কে। প্রতিটি নিউরােন মস্তিষ্কের যেকোনাে নিউরােনের সাথে সংযােগ স্থাপনে সক্ষম। কতগুলাে সংযােগ সম্ভব?


    যুক্তরাষ্ট্রে মেডিটেশন সংক্রান্ত গবেষণার অগ্রপথিক হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর ডা. হার্বার্ট বেনসন খুব চমৎকারভাবে বলেছেন, সংখ্যাটি হবে : ২৫,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০। 

    এটাকে অন্যভাবেও দেখতে পারেন, আপনি আপনার টেবিলে একটার ওপর একটা সাধারণ সাইজের টাইপ করার কাগজ রাখুন। রাখতে থাকুন। এটা উঁচু হতে থাকবে। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের সম্ভাব্য নিউরােন সংযােগ-সংখ্যার সমসংখ্যক কাগজ রাখতে যান, তাহলে কাগজের ঢিবি উঁচু হতে হতে চাঁদ পার হয়ে সৌরজগৎ পার হয়ে গ্যালাক্সি পার হয়ে যাবে। এমনকি আমাদের জানা মহাবিশ্বের সীমানা ১৬ বিলিয়ন আলােকবর্ষ পার হয়ে যাবে। তারপরও কাগজ রয়ে যাবে।

    তাই কোয়ান্টাম হাজারো প্রশ্নের জবাব ৩ Pdf বইয়ের মহাজাতক এর বাকি উত্তরের সন্ধানে পুরো বইটি পড়ুন।


    Tags

    Post a Comment

    0Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
    Post a Comment (0)

    #buttons=(Accept !) #days=(20)

    Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
    Accept !